এক্সক্লুসিভ
ভিক্ষা করে শিশু হোসাইনের চিকিৎসা খরচ যোগাচ্ছে পরিবার
শুভ্র দেব ও কাজী আল-আমিন
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:১৭ পূর্বাহ্ন
এগারো বছরের শিশু মোহাম্মদ হোসাইন। বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চরদেলুয়ায়। স্থানীয় একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। বাবা শরিফ আহমেদ দিনমজুরের কাজ করেন। মা হোসনে আরা গৃহিণী। অভাব অনটনের সংসারেই হোসাইনের বেড়ে উঠা। তাদের থাকার মত কোনো জায়গা নেই। অন্যের জমিতে পলিথিনের চাল দিয়ে ছোট্ট এক খুপরি ঘরে তারা থাকে। আলসারের রোগী বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। যা আয় করেন তা দিয়েই চলে তাদের সংসার।
হোসাইনের স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে বড় হয়ে চাকরি করবে। সেই চাকরির আয় দিয়েই তার বাবাকে জমি কিনে দেবে। কিন্তু তার আশা এখন অনেকটা মিইয়ে গেছে। একটি দুর্ঘটনায় তার শরীর থেকে বা হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পিঠের মাংস পচে খসে খসে পড়ছে। মাথায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পাঁচ তলার গ্রিন ইউনিটে এখন সে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চিকিৎসা ব্যয়বহুল। প্রতিদিন তার পেছনে খরচ হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু তার গরীব বাবা এই টাকা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সন্তানকে বাঁচাতে তিনি এখন হাট-বাজারে ভিক্ষা করছেন।
হোসাইনের ফুফু রোজিনা বেগম সাফি বলেন, আমার ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল হোসাইনকে লেখাপড়া করাবে। তাই সে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পরিবারের খরচ চালাতো। কিন্তু হোসাইন তার বাবার কষ্ট মেনে নিতে পারতো না। তার বাবাকে বলতো প্রতিবেশী জরিনা বেগম (৪০) সঙ্গে সে হোটেলে কাজ করতে যাবে। জরিনা আগে থেকেই হোটেলে কাজ করেন। সেখানে কাজ করে যা আয় হবে তা দিয়ে একটা সমিতি করবে। সমিতির টাকা দিয়েই সে একটি জমি কিনবে। তার পাশাপাশি লেখাপড়া করবে। তার বাবা রাজি হননি। তবুও সে জোর করে ১৯শে আগস্ট বেলকুচি ডিগ্রি কলেজ মোড়ে রেইনবো হোটেলে কাজ করতে যায়। সেদিন দুপুরের দিকে হোটেলের মালিক শামসুল ও আরেক কর্মচারি হোসাইনকে পানির খালি বোতল ছাদে নিয়ে রাখার কথা বলেন। ছাদের উপর দিয়েই বয়ে গেছে বিদ্যুতের লাইন। পানির বোতল নিয়ে যাওয়ার পরই হোসাইন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে সদর
হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে চায়। কিন্তু হোসাইনের অবস্থা বেগতিক দেখে তারা ভর্তি নেয়নি। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ওইদিনই তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি।
হোসাইনের বাবা শরিফ বলেন, ঘটনাটা ঘটেছে দুপুর দেড়টার দিকে। অথচ আমরা জেনেছি বিকাল চারটার দিকে। সেটা আবার ঘটনাস্থলের পাশে থাকা আমাদের এক পরিচিত ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। হোটেলের পক্ষ থেকে কেউ জানায়নি। এমনকি হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রথমদিন শুধু অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ও সিটি স্ক্যান বাবত কিছু টাকা খরচ করেছিলো। এরপর থেকে তারা আর কোনো খোঁজও নেয়নি। ফোন দিলে ফোন ধরে না। যখন ধরে তখন আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দেয়। আমরা পুলিশ এবং সাংবাদিককে যেন কোনো অভিযোগ না করি। করলে অবস্থা খারাপ হবে। এখন প্রতিদিনের চিকিৎসা খরচ আমার পক্ষে যোগানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি আমার বোনকে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করে টাকা যোগাড় করছি।
হোসাইনের স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে বড় হয়ে চাকরি করবে। সেই চাকরির আয় দিয়েই তার বাবাকে জমি কিনে দেবে। কিন্তু তার আশা এখন অনেকটা মিইয়ে গেছে। একটি দুর্ঘটনায় তার শরীর থেকে বা হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পিঠের মাংস পচে খসে খসে পড়ছে। মাথায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পাঁচ তলার গ্রিন ইউনিটে এখন সে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চিকিৎসা ব্যয়বহুল। প্রতিদিন তার পেছনে খরচ হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু তার গরীব বাবা এই টাকা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সন্তানকে বাঁচাতে তিনি এখন হাট-বাজারে ভিক্ষা করছেন।
হোসাইনের ফুফু রোজিনা বেগম সাফি বলেন, আমার ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল হোসাইনকে লেখাপড়া করাবে। তাই সে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পরিবারের খরচ চালাতো। কিন্তু হোসাইন তার বাবার কষ্ট মেনে নিতে পারতো না। তার বাবাকে বলতো প্রতিবেশী জরিনা বেগম (৪০) সঙ্গে সে হোটেলে কাজ করতে যাবে। জরিনা আগে থেকেই হোটেলে কাজ করেন। সেখানে কাজ করে যা আয় হবে তা দিয়ে একটা সমিতি করবে। সমিতির টাকা দিয়েই সে একটি জমি কিনবে। তার পাশাপাশি লেখাপড়া করবে। তার বাবা রাজি হননি। তবুও সে জোর করে ১৯শে আগস্ট বেলকুচি ডিগ্রি কলেজ মোড়ে রেইনবো হোটেলে কাজ করতে যায়। সেদিন দুপুরের দিকে হোটেলের মালিক শামসুল ও আরেক কর্মচারি হোসাইনকে পানির খালি বোতল ছাদে নিয়ে রাখার কথা বলেন। ছাদের উপর দিয়েই বয়ে গেছে বিদ্যুতের লাইন। পানির বোতল নিয়ে যাওয়ার পরই হোসাইন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে সদর
হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে চায়। কিন্তু হোসাইনের অবস্থা বেগতিক দেখে তারা ভর্তি নেয়নি। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ওইদিনই তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি।
হোসাইনের বাবা শরিফ বলেন, ঘটনাটা ঘটেছে দুপুর দেড়টার দিকে। অথচ আমরা জেনেছি বিকাল চারটার দিকে। সেটা আবার ঘটনাস্থলের পাশে থাকা আমাদের এক পরিচিত ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। হোটেলের পক্ষ থেকে কেউ জানায়নি। এমনকি হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রথমদিন শুধু অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ও সিটি স্ক্যান বাবত কিছু টাকা খরচ করেছিলো। এরপর থেকে তারা আর কোনো খোঁজও নেয়নি। ফোন দিলে ফোন ধরে না। যখন ধরে তখন আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দেয়। আমরা পুলিশ এবং সাংবাদিককে যেন কোনো অভিযোগ না করি। করলে অবস্থা খারাপ হবে। এখন প্রতিদিনের চিকিৎসা খরচ আমার পক্ষে যোগানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি আমার বোনকে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করে টাকা যোগাড় করছি।