এক্সক্লুসিভ
সেই প্রতিবন্ধী সুরভীর পরিবারকে ঘর ও সোলার দিলেন স্থানীয় প্রশাসন
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:১৬ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার জুম্মাপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের কন্যা সুরভী (৮)। জন্মের কিছুদিন পর হঠাৎই দেহে বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগ। স্থানীয় চিকিৎসকরাও তার রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেকে পিছিয়ে আসে তার পরিবার। এর মধ্যে সুরভীর মানসিক অবস্থায় পরিবর্তন শুরু হয়। তাই অভাবী সংসার দেখাশুনার অভাবে বিভিন্ন সময় তাকে বেঁধে রাখতো পরিবারের লোকজন। বিষয়টি জানতে পেরে কিছুদিন আগে যৌথ উদ্যোগে তাকে শিকল মুক্ত করেন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেই সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা তাকে সাহায্য করা ছাড়াও প্রতিশ্রুতি দেন তার পরিবারকে ঘর ও সোলারসহ সুরভীকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেয়ার। সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তার পরিবারকে একটি ঘর, ল্যাট্রিনসহ সোলার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। রোববার বিকালে সুরভীর বাড়ি পরিদর্শ করেন এবং ঘর, সোলার হস্তান্তর করেন নির্বাহী অফিসার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কহিনুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবু সাঈদ হোসেন আনছারী, চিলমারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামছুজ্জোহা বলেন, আমরা সরকারিভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সুরভী ও তার পরিবারকে মেঝে পাকা ঘর, ল্যাট্রিন, সোলার দিয়েছি। এ ছাড়াও সুরভীর প্রতিবন্ধী কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম ইতিমধ্যে সুরভীকে ডাক্তার দেখাসহ ওষুধসামগ্রী প্রদান এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি সিজোফ্রেনিয়া নামক সাইকোসিস রোগে আক্রান্ত তাই শিশুটি দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে এবং পানিতে লাফ দেয়। এ জন্য তার পরিবার তাকে বেঁধে রাখে। ঘর ও সোলার পেয়ে সুরভীর পরিবারের মাঝে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। এ সময় প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।