বিশ্বজমিন
পাকিস্তানের ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কৌশলে’ ইরানের বাধা
মানবজমিন ডেস্ক
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ১:০৫ পূর্বাহ্ন
কনসুলেট ব্যবহার করে ভারতবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইরান। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশাদে অবস্থিত পাকিস্তান কনস্যুলেট থেকে ভারত বিরোধী প্রচারণার ব্যবহারের পোস্টার জোর করে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। এ ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ই আগস্ট। ভারতের সংবাদ মাধ্যম অনলাইন জি নিউজের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে পাকিস্তান পালন করে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এ উপলক্ষে ভারত বিরোধী ব্যানার ও পোস্টার মধ্যরাতে পাকিস্তান কনস্যুলেটের দেয়াল থেকে উদ্ধার করে মাশাদের স্থানীয় পুলিশ। পাকিস্তানের এমন কর্মকান্ডকে ‘কূটনৈতিক কৌশল পরিপন্থি’ বলে আখ্যায়িত করে ইসলামাবাদকে জানিয়ে দিয়েছে তেহরান। বলা হয়েছে, তৃতীয় একটি দেশের বিরুদ্ধে এমন ব্যানার কূটনৈতিক আদর্শের বিরোধী। জবাবে ইরানের কাছে একটি ভার্বাল নোট পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এতে হতাশা প্রকাশ করে এমন ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ওদিকে যদি ইসলামাবাদে অবস্থিত ইরানি মিশন ব্যবহার করে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যানার টানানো হয় তাহলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুভূতি কি হবে- পাকিস্তানি কূটনীতিকদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন তেহরানের কর্মকর্তারা। তাদের কাছে তেহরান জানতে চেয়েছে, পাকিস্তান কি এমন কর্মকান্ড অনুমোদন করবে কিনা। জবাবে পাকিস্তান তার অবস্থানে অটল। তারা ইরানকে বলেছে, বার্তা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তাদের অধিকার আছে।
জি নিউজ আরো লিখেছে, কাশ্মীর ইস্যুতে ইরান তার অবস্থানের পরিবর্তন করেনি তা তারা আবারও জানিয়ে দিয়েছে। ইরান বলেছে, পাকিস্তান তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। তবে ভারত তাদের শত্রুরাষ্ট্রও নয়। ওদিকে ইরানে পাকিস্তানি মিশনকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী প্রতিবাদের বিষয়টি দিল্লির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইরানের রাষ্ট্রদূততে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। এর আগে কোনো অনুমোদন ছাড়াই ইরানে পাকিস্তানি মিশন আয়োজিত দুটি ভারত বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানি মিশন ও বিদেশী অবস্থান করা পাকিস্তানিরা ভারত বিরোধী তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছেন। নয়া দিল্লি গত ৫ই আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে নেয়ার পর তা তীব্র হয়েছে।
গত সপ্তাহে লন্ডনে ভারতীয় মিশনের বাইরে বিশাল এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়। এতে অংশ নেন সেখানে অবস্থানরত পাকিস্তানি ও খালিস্তানিরা। এ সময় বিক্ষোভ থেকে ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে জুতা, ডিম, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ ক্ষতি হয় হাইকমিশনের। পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির ঘোষণার পর এটা লন্ডনে পাকিস্তানিদের দ্বিতীয় বড় বিক্ষোভ। এ ছাড়া ওয়াশিংটন ডিসি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতে ভারতীয় মিশনের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন পাকিস্তানিরা। এর মাধ্যমে তারা কাশ্মীর ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিকীকরণ করার চেষ্টা করছেন।
এতে বলা হয়, ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে পাকিস্তান পালন করে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এ উপলক্ষে ভারত বিরোধী ব্যানার ও পোস্টার মধ্যরাতে পাকিস্তান কনস্যুলেটের দেয়াল থেকে উদ্ধার করে মাশাদের স্থানীয় পুলিশ। পাকিস্তানের এমন কর্মকান্ডকে ‘কূটনৈতিক কৌশল পরিপন্থি’ বলে আখ্যায়িত করে ইসলামাবাদকে জানিয়ে দিয়েছে তেহরান। বলা হয়েছে, তৃতীয় একটি দেশের বিরুদ্ধে এমন ব্যানার কূটনৈতিক আদর্শের বিরোধী। জবাবে ইরানের কাছে একটি ভার্বাল নোট পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এতে হতাশা প্রকাশ করে এমন ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ওদিকে যদি ইসলামাবাদে অবস্থিত ইরানি মিশন ব্যবহার করে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যানার টানানো হয় তাহলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুভূতি কি হবে- পাকিস্তানি কূটনীতিকদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন তেহরানের কর্মকর্তারা। তাদের কাছে তেহরান জানতে চেয়েছে, পাকিস্তান কি এমন কর্মকান্ড অনুমোদন করবে কিনা। জবাবে পাকিস্তান তার অবস্থানে অটল। তারা ইরানকে বলেছে, বার্তা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তাদের অধিকার আছে।
জি নিউজ আরো লিখেছে, কাশ্মীর ইস্যুতে ইরান তার অবস্থানের পরিবর্তন করেনি তা তারা আবারও জানিয়ে দিয়েছে। ইরান বলেছে, পাকিস্তান তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। তবে ভারত তাদের শত্রুরাষ্ট্রও নয়। ওদিকে ইরানে পাকিস্তানি মিশনকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী প্রতিবাদের বিষয়টি দিল্লির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইরানের রাষ্ট্রদূততে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। এর আগে কোনো অনুমোদন ছাড়াই ইরানে পাকিস্তানি মিশন আয়োজিত দুটি ভারত বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানি মিশন ও বিদেশী অবস্থান করা পাকিস্তানিরা ভারত বিরোধী তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছেন। নয়া দিল্লি গত ৫ই আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে নেয়ার পর তা তীব্র হয়েছে।
গত সপ্তাহে লন্ডনে ভারতীয় মিশনের বাইরে বিশাল এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়। এতে অংশ নেন সেখানে অবস্থানরত পাকিস্তানি ও খালিস্তানিরা। এ সময় বিক্ষোভ থেকে ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে জুতা, ডিম, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ ক্ষতি হয় হাইকমিশনের। পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির ঘোষণার পর এটা লন্ডনে পাকিস্তানিদের দ্বিতীয় বড় বিক্ষোভ। এ ছাড়া ওয়াশিংটন ডিসি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতে ভারতীয় মিশনের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন পাকিস্তানিরা। এর মাধ্যমে তারা কাশ্মীর ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিকীকরণ করার চেষ্টা করছেন।