অনলাইন
১১ ছাত্রীর চুল কেটে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জোরপূর্বক ১১ ছাত্রীর চুল কেটে দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগ ওঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং দপ্তরির বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে এলাকাবসী। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্বজনরা। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে আজ সোমবার অভিযোগের তদন্তে বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মশিউল আজম হিরক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
সরজমিনে জানা যায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অবস্থিত ২৯ নং ডিএমখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী, মারিয়া, তাজরিন, ফাহমিদা, সুমাইয়া, শ্রাবন্তি, ইতি, ফারহানা, নাহিদা ও ফাতেমাসহ ১১ ছাত্রীর চুল এবড়ো-থেবড়োভাবে কেটে দেন বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী জুমান। জুমান চুলকাটতে আসলে ছাত্রীরা বারবার নিষেধ করে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কাবেরী গোপ দাঁড়িয়ে থেকে জুমানকে চুল কাটতে হুকুম দেন। তার নির্দেশে জোরপূর্বক ছাত্রীদের চুল কেটে দেন জুমান।
চুল কাটার একপর্যায়ে ছাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করে। এ সময় আশপাশ থেকে অভিভাবকরা এগিয়ে এলে প্রধান শিক্ষক কাউকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি।
এদিকে ছেলে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী মেয়েদের চুল কেটে দিয়েছে- এ খবর জানাজানি হওয়ায় লজ্জায় ভেঙ্গে পড়েছে ছাত্রীরা। কেউ কেউ বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকার শাস্তি দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী নাহিদা জানায়, আমার চুল অনেক বড় ছিল। আমি কাটতে বারবার নিষেধ করেছি। কিন্তু ম্যাডাম দপ্তরিকে কাটতে বলেছেন, দপ্তরি জোর করে আমার চুল কেটে দিয়েছেন। আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি। যেভাবে এবড়োথেবড়োভাবে চুল কেটেছে, এখন সব চুল ফেলে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আমি লজ্জায় স্কুলে যাইনি। আমি এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগী আরেক ছাত্রী সাথী জানায়, আমরা কান্না করেছি। ম্যাডাম বলে মাথায় চুল থাকলে ব্রেণ খারাপ হয়ে যায়। উঁকুনে রক্ত খেয়ে ফেলে। তাই চুল কেটে দিয়েছে। চুল কেটেছে দপ্তরি। তাই আমার সব চুল ফেলে টাক হয়ে গেছি।
নাহিদার বাবা দেলোয়ার ব্যাপারী বলেন, আমার মেয়ে বড় হয়ে গেছে। কিছুদিন পড়ে হাইস্কুলে যাবে। একজন পুরুষ দিয়ে আমার মেয়ের চুল কাটার সাহস প্রধান শিক্ষিকা পেলেন কোথায়? চুল হল মেয়েদের অলংকার। এখন মেয়ে স্কুলে যায় না। ঘর থেকে লজ্জায় বের হয় না। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।
স্থানীয় আবদুর রহমান বলেন, একজন শিক্ষিকা কিভাবে ছেলে দপ্তরি দিয়ে এই বড় বড় মেয়েদের চুল কাটার হুকুম দিতে পারে আমি বুঝি না। চুলগুলো যেভাবে এবড়ো থেবড়োভাবে কেটেছে, দেখলে যে কারো কষ্ট লাগবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।
বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী জুমান বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষিকা চুল কাটতে বলেছে। আমি বিদ্যালয়ে থাকা কেঁচি দিয়ে চুল কেটেছি। আমার কোন দোষ নেই।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী গোপ বলেন, আমি মাস খানেক আগে মা সমাবেশে মেয়েদের চুল সেটিংস করে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা আমার কথা বুঝেনি। তাই আমরা উপস্থিত থেকে দপ্তরিকে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর করতে মেয়েদের চুল কেটেছি। এ নিয়ে কিছু লোক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, আমি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করতে বলেছি।
শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রধান শিক্ষক জোরপূর্বক ছাত্রীদের চুল কাটতে পারেন না। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে এলাকাবসী। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্বজনরা। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে আজ সোমবার অভিযোগের তদন্তে বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মশিউল আজম হিরক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
সরজমিনে জানা যায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অবস্থিত ২৯ নং ডিএমখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী, মারিয়া, তাজরিন, ফাহমিদা, সুমাইয়া, শ্রাবন্তি, ইতি, ফারহানা, নাহিদা ও ফাতেমাসহ ১১ ছাত্রীর চুল এবড়ো-থেবড়োভাবে কেটে দেন বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী জুমান। জুমান চুলকাটতে আসলে ছাত্রীরা বারবার নিষেধ করে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কাবেরী গোপ দাঁড়িয়ে থেকে জুমানকে চুল কাটতে হুকুম দেন। তার নির্দেশে জোরপূর্বক ছাত্রীদের চুল কেটে দেন জুমান।
চুল কাটার একপর্যায়ে ছাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করে। এ সময় আশপাশ থেকে অভিভাবকরা এগিয়ে এলে প্রধান শিক্ষক কাউকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি।
এদিকে ছেলে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী মেয়েদের চুল কেটে দিয়েছে- এ খবর জানাজানি হওয়ায় লজ্জায় ভেঙ্গে পড়েছে ছাত্রীরা। কেউ কেউ বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকার শাস্তি দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী নাহিদা জানায়, আমার চুল অনেক বড় ছিল। আমি কাটতে বারবার নিষেধ করেছি। কিন্তু ম্যাডাম দপ্তরিকে কাটতে বলেছেন, দপ্তরি জোর করে আমার চুল কেটে দিয়েছেন। আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি। যেভাবে এবড়োথেবড়োভাবে চুল কেটেছে, এখন সব চুল ফেলে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আমি লজ্জায় স্কুলে যাইনি। আমি এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগী আরেক ছাত্রী সাথী জানায়, আমরা কান্না করেছি। ম্যাডাম বলে মাথায় চুল থাকলে ব্রেণ খারাপ হয়ে যায়। উঁকুনে রক্ত খেয়ে ফেলে। তাই চুল কেটে দিয়েছে। চুল কেটেছে দপ্তরি। তাই আমার সব চুল ফেলে টাক হয়ে গেছি।
নাহিদার বাবা দেলোয়ার ব্যাপারী বলেন, আমার মেয়ে বড় হয়ে গেছে। কিছুদিন পড়ে হাইস্কুলে যাবে। একজন পুরুষ দিয়ে আমার মেয়ের চুল কাটার সাহস প্রধান শিক্ষিকা পেলেন কোথায়? চুল হল মেয়েদের অলংকার। এখন মেয়ে স্কুলে যায় না। ঘর থেকে লজ্জায় বের হয় না। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।
স্থানীয় আবদুর রহমান বলেন, একজন শিক্ষিকা কিভাবে ছেলে দপ্তরি দিয়ে এই বড় বড় মেয়েদের চুল কাটার হুকুম দিতে পারে আমি বুঝি না। চুলগুলো যেভাবে এবড়ো থেবড়োভাবে কেটেছে, দেখলে যে কারো কষ্ট লাগবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।
বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী জুমান বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষিকা চুল কাটতে বলেছে। আমি বিদ্যালয়ে থাকা কেঁচি দিয়ে চুল কেটেছি। আমার কোন দোষ নেই।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী গোপ বলেন, আমি মাস খানেক আগে মা সমাবেশে মেয়েদের চুল সেটিংস করে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা আমার কথা বুঝেনি। তাই আমরা উপস্থিত থেকে দপ্তরিকে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর করতে মেয়েদের চুল কেটেছি। এ নিয়ে কিছু লোক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, আমি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করতে বলেছি।
শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রধান শিক্ষক জোরপূর্বক ছাত্রীদের চুল কাটতে পারেন না। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।