দেশ বিদেশ
ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই কম বেশি ডেঙ্গু জ্বর শুরু হয় রাজধানীতে। তা মাস গড়াতেই বাড়তে থাকে। মে, জুন মাসে এসে প্রকোপ আকার ধারণ করে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই এবং আগস্ট মাসে প্রায় দুই দশকের রেকর্ড ব্রেক করে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। একই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকালও কমপক্ষে দুইজন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭৬ হা্জার ছাড়িয়েছে। চলতি মাসের আট দিনে ৫ হাজার ৪১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে নতুন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ওঠা-নামার মধ্যে রয়েছে। তবে এখনও রাজধানী ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেক বেশি। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন- ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে। অন্যদিকে ডেঙ্গু কেন্দ্রীক বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতাও ঝিমিয়ে পড়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকে। তারা আরো বলেন, এখন থেকে সারা বছরই ডেঙ্গুর বিষয়ে তৎপরতা থাকতে হবে। না হলে ২০১৯ সালে যা ঘটছে ভবিষ্যতে এর চেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অক্টোবরের পর শীত আসলেই ডেঙ্গু আক্রান্তের হার আস্তে আস্তে কমে আসবে। তবে সংশ্লিষ্টদের তৎপর থাকার পরামর্শ দেন তিনি। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৬১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৬০৭ জন। রাজধানী ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে ৩১৪ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৪৪৭ জন। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ৫২ জন, মিটফোর্ডে ৫৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৮ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২২ জন, বিএসএমএমইউতে ১৬ জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ৬ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৫ জন, বিজিবি হাসপাতালে ১ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ১২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৯ জন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ১ জন, নিটোরে ১ জনসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ২৪৬ জন ভর্তি হন। বেসরকারি অন্যান্য হাসপাতাল-ক্লিনিকে ৬৮ জনসহ ঢাকা শহরে সর্বমোট ৩১৪ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভাগীয় হাসপাতালে ৪৪৭ জন ভর্তি হন। ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ জন, খুলনায় ১৩৯ জন, রংপুরে ১৩ জন, রাজশাহীতে ৪২ জন, বরিশালে ৬৬ জন, সিলেটে ৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৩ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।