বিশ্বজমিন
৭৩ বছর বয়সে যমজ সন্তানের মা
মানবজমিন ডেস্ক
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, ১:৫৯ পূর্বাহ্ন
৭৩ বছর বয়সে যমজ কন্যাসন্তানের মা হলেন ভারতের এক নারী। বর্তমানে ওই মা ও তার সন্তানরা ভাল আছে। অন্ধ্র প্রদেশের ওই মায়ের নাম মাঙ্গাইয়াম্মা যারামতি। এ ঘটনায় রাজ্যে তো বটেই, সারা ভারতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মিডিয়ার কল্যাণে এখন এ খবর সারা দুনিয়ায় ভাইরাল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই যমজ কন্যাদের প্রসব করান চিকিৎসকরা।
মাঙ্গাইয়াম্মা যারামতি ও তার স্বামী সীতারামা রাজারাও (৮২) বিয়ের পর থেকে সন্তান ধারণের জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই সন্তানের মা-বাবা হতে পারছিলেন না। ফলে সন্তানের জন্য তাদের বুকে সৃষ্টি হয় এক হাহাকার। তাই এক ডাক্তারের কাছ থেকে তারা ছুটছিলেন আরেক ডাক্তারের কাছে। অবশেষে কৃত্রিম পদ্ধতিতে (আইভিএফ) যারামতির গর্ভে সন্তান আসে। সেই সুবাদে তিনি মা হন। তাও একটি নয়, একসঙ্গে দুটি কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন। এ জন্য তার স্বামী সীতারামা রাজারাও আনন্দে আত্মহারা। তিনি বলেছেন, আমি সীমাহীন এক আনন্দে ভাসছি।
কিন্তু সুখ বা আনন্দ বোধহয় বেশি স্থায়ী হয় না। তাই এ ঘটনার ঠিক পরদিন শুক্রবার আকস্মিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হন সীতারামা রাজারাও। বর্তমানে তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাদের বয়স অনেক বেশি। যদি আকস্মিক তাদের দু’জনের কেউ একজন বা উভয় জনের কিছু হয়ে যায় তাহলে এই দুটি কন্যা সন্তানের দেখভাল কে করবেন বা তাদের কি হবে? এর জবাবে রাজারাও বলেছেন, কোনো কিছুই আমাদের হাতে নেই। যা হবার তাই হবে। সবই তো ঈশ্বরের হাতে।
এই দম্পতির কাছে সন্তানের পিতামাতা হওয়া ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গ্রামে তাদেরকে অপয়া বলে মনে করা হতো। মাঙ্গাইয়াম্মা যারামতি বলেন, গ্রামের মানুষজন আমাকে নিঃসন্তান বা বন্ধ্যা নারী বলে ডাকতো। আমরা সন্তান নেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। বহু ডাক্তার দেখিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ঈশ্বর আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা সন্তানের পিতামামা হতে পেরেছি। তাই এটা হলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত। উল্লেখ্য, মাঙ্গাইয়াম্মা যারামতির ওই যমজ কন্যাদেরকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসব করানো হয়। এর আগে ২০১৬ সালে ৭০ ঊর্ধ্ব আরেকজন ভারতীয় নারী দলজিন্দর কাউর একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছিলেন।
মাঙ্গাইয়াম্মা যারামতি ও তার স্বামী সীতারামা রাজারাও (৮২) বিয়ের পর থেকে সন্তান ধারণের জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই সন্তানের মা-বাবা হতে পারছিলেন না। ফলে সন্তানের জন্য তাদের বুকে সৃষ্টি হয় এক হাহাকার। তাই এক ডাক্তারের কাছ থেকে তারা ছুটছিলেন আরেক ডাক্তারের কাছে। অবশেষে কৃত্রিম পদ্ধতিতে (আইভিএফ) যারামতির গর্ভে সন্তান আসে। সেই সুবাদে তিনি মা হন। তাও একটি নয়, একসঙ্গে দুটি কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন। এ জন্য তার স্বামী সীতারামা রাজারাও আনন্দে আত্মহারা। তিনি বলেছেন, আমি সীমাহীন এক আনন্দে ভাসছি।
কিন্তু সুখ বা আনন্দ বোধহয় বেশি স্থায়ী হয় না। তাই এ ঘটনার ঠিক পরদিন শুক্রবার আকস্মিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হন সীতারামা রাজারাও। বর্তমানে তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাদের বয়স অনেক বেশি। যদি আকস্মিক তাদের দু’জনের কেউ একজন বা উভয় জনের কিছু হয়ে যায় তাহলে এই দুটি কন্যা সন্তানের দেখভাল কে করবেন বা তাদের কি হবে? এর জবাবে রাজারাও বলেছেন, কোনো কিছুই আমাদের হাতে নেই। যা হবার তাই হবে। সবই তো ঈশ্বরের হাতে।
এই দম্পতির কাছে সন্তানের পিতামাতা হওয়া ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গ্রামে তাদেরকে অপয়া বলে মনে করা হতো। মাঙ্গাইয়াম্মা যারামতি বলেন, গ্রামের মানুষজন আমাকে নিঃসন্তান বা বন্ধ্যা নারী বলে ডাকতো। আমরা সন্তান নেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। বহু ডাক্তার দেখিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ঈশ্বর আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা সন্তানের পিতামামা হতে পেরেছি। তাই এটা হলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত। উল্লেখ্য, মাঙ্গাইয়াম্মা যারামতির ওই যমজ কন্যাদেরকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসব করানো হয়। এর আগে ২০১৬ সালে ৭০ ঊর্ধ্ব আরেকজন ভারতীয় নারী দলজিন্দর কাউর একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছিলেন।