অনলাইন

মিয়ানমার চুপ, চীনের প্রতিনিধি বললেন আমরা প্রত্যাবাসনে মধ্যস্থতার দায়িত্ব নিয়েছি

মিজানুর রহমান

২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন

চীনের মধ্যস্থতা এবং তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায়। দ্বিতীয় দফায় ব্যর্থ হওয়া প্রত্যাবাসন চেষ্টায় দেশটির দু’জন প্রতিনিধি বুধবার থেকে কক্সবাজারে স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন মিয়ানমারের একজন প্রতিনিধিও। তারা স্বচক্ষে দেখেছেন বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনে কতটা উদগ্রিব। কিন্তু যে কাজটি বাংলাদেশের হাতে নেই তা হল রোহিঙ্গাদের রাজী করানো। এটি একান্তভাবে মিয়ানমারের হাতে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমার যাদের গ্রহণে অনাপত্তি দিয়েছে তাদের প্রত্যেকের সাক্ষাতকার নেয়া হবে। জানতে চাওয়া হবে তারা স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী কি-না? যদি একজনও পাওয়া যায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তের নির্ধারিত ট্রানজিট পয়েন্টে পূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে পৌছাবে বাংলাদেশ। এ প্রস্তুতি সব সময় রাখা হবে। প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বলছেন, এবারের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও এটা প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত ছিল। এতে বাংলাদেশের কোন গাফলতি যে ছিল না সেটা সারা দুনিয়া দেখেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেনও তাই বলেছেন বাংলাদেশ পূর্ণ মাত্রায় প্রস্তুত। কিন্তু জোর করে তো কিছু করা যায় না। তার সরকার এটা করবেও না। বিবিসি বাংলার রিপোর্ট মতে, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম যখন সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে টেকনাফে ব্রিফ করছিলেন তখন ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের দু’জন প্রতিনিধি এবং মিয়ানমার দূতাবাসের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মি. কালাম প্রত্যাবাসন চেষ্টা চলমান থাকাৱ কথাই জানাচ্ছিলেন। বলছিলেন, এ পর্যন্ত ২৯৫টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। যাদের কেউই মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। তবে এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী কাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাস ও ট্রাকগুলো উপস্থিত থাকবে সেখানে। প্রত্যাবাসনে আগ্রহী কোন শরণার্থী এলেই পরিবহণগুলোতে করে তাদের সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হবে। এ সময় চীনের প্রতিনিধি ঝেং তিয়াানঝু বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় মধ্যস্থতার দায়িত্ব তার দেশ নিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন, রোহিঙ্গারা কেন নিজ দেশে ফিরতে চায় না? কেন তারা মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা পায় না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মিয়ানমারের কূটনীতিকের কাছে সাংবাদিকেরা এই প্রশ্নগুলি বারবার তুললেও কোন সাড়া বা জবাব মিলেনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status