বাংলারজমিন
বানিয়াচংয়ের ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
২৩ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের ২ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাসিম রেজা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার পুরান পাথারিয়া গ্রামের আলী মোহাম্মদ ও করম আলীর মধ্যে একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। পূর্ববিরোধ থেকে ১৯৯৮ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর সকালে করম আলীর পক্ষের সায়েদ মিয়া ও আলী মোহাম্মদের কথাকাটিকাটি হয়। পরে এর জের ধরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আলী মোহাম্মদের পক্ষের নুর মোহাম্মদ এবং করম আলীর পক্ষের শামসুল হক ও আফিল উদ্দিন মারা যায়। নুর মোহাম্মদ হত্যা ঘটনায় আলী মোহাম্মদ বাদী হয়ে ১শ’ জনকে আসামি করে ও অপরপক্ষ আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যার ঘটনায় আতিকুনেচ্ছা বাদী হয়ে ৪৬ জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় মামলা করেন। উভয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বানিয়াচং থানার তৎকালীন এসআই অমরেন্দ্র মল্লিক ১৯৯৯ সালের ১১ই আগস্ট নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১০৩ জনকে এবং আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যা মামলায় ৬২ জনকে আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যা মামলায় ১৭ জনের মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তোরাব আলী, সুরুজ মিয়া ও আলী মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরদিকে নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১৬ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে করম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- উপজেলার পুরান পাথারিয়া গ্রামের তোরাব আলী, সুরুজ মিয়া, আলী মোহাম্মদ ও করম আলী। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার পুরান পাথারিয়া গ্রামের আলী মোহাম্মদ ও করম আলীর মধ্যে একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। পূর্ববিরোধ থেকে ১৯৯৮ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর সকালে করম আলীর পক্ষের সায়েদ মিয়া ও আলী মোহাম্মদের কথাকাটিকাটি হয়। পরে এর জের ধরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আলী মোহাম্মদের পক্ষের নুর মোহাম্মদ এবং করম আলীর পক্ষের শামসুল হক ও আফিল উদ্দিন মারা যায়। নুর মোহাম্মদ হত্যা ঘটনায় আলী মোহাম্মদ বাদী হয়ে ১শ’ জনকে আসামি করে ও অপরপক্ষ আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যার ঘটনায় আতিকুনেচ্ছা বাদী হয়ে ৪৬ জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় মামলা করেন। উভয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বানিয়াচং থানার তৎকালীন এসআই অমরেন্দ্র মল্লিক ১৯৯৯ সালের ১১ই আগস্ট নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১০৩ জনকে এবং আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যা মামলায় ৬২ জনকে আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যা মামলায় ১৭ জনের মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তোরাব আলী, সুরুজ মিয়া ও আলী মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরদিকে নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১৬ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে করম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- উপজেলার পুরান পাথারিয়া গ্রামের তোরাব আলী, সুরুজ মিয়া, আলী মোহাম্মদ ও করম আলী। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।