বাংলারজমিন
পটিয়ায় ৫ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৩ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকায় কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ৫ মাস ২২ দিন পর হোছনে আরা বেগম নামের এক নারীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির রাহ্মান সানির তত্ত্বাবধানে নিহতের পুত্রের উপস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশের দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উত্তোলনের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘নিহত হোছনে আরা বেগমের (৪০) এর স্বামী আবুল হাশেমের সাথে তার ভাই আবুল বশরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে গত ২১শে ফেব্রুয়ারি আবুল হাশেম ও আবুল বশর দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া হয়। দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে আবুল বশরের স্ত্রী হোছনে আরা বেগমকে কিল ঘুষি মারতে থাকে হাশেম ও তার পুত্র শাহেদ। এ সময় হোছনে আরা গুরুতর আহত হলে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ বিভাগে আসন না পাওয়াতে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিউতে ৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিল। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম ইউএসটিসি হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগে ১৩ দিন পর ২রা মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোছনে আরার মৃত্যু ঘটে।
ঘটনার একমাস পর ৪ঠা এপ্রিল নিহতের পুত্র এনামূল হাসান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আবুল বশর (৪৫), মোহাম্মদ শাহেদ (২০) দুইজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। পরে এ মামলার ২ নম্বর আসামী মোহাম্মদ শাহেদকে পটিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে।
বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে।’ এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রাহ্মান সানি জানান, ‘আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘নিহত হোছনে আরা বেগমের (৪০) এর স্বামী আবুল হাশেমের সাথে তার ভাই আবুল বশরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে গত ২১শে ফেব্রুয়ারি আবুল হাশেম ও আবুল বশর দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া হয়। দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে আবুল বশরের স্ত্রী হোছনে আরা বেগমকে কিল ঘুষি মারতে থাকে হাশেম ও তার পুত্র শাহেদ। এ সময় হোছনে আরা গুরুতর আহত হলে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ বিভাগে আসন না পাওয়াতে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিউতে ৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিল। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম ইউএসটিসি হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগে ১৩ দিন পর ২রা মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোছনে আরার মৃত্যু ঘটে।
ঘটনার একমাস পর ৪ঠা এপ্রিল নিহতের পুত্র এনামূল হাসান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আবুল বশর (৪৫), মোহাম্মদ শাহেদ (২০) দুইজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। পরে এ মামলার ২ নম্বর আসামী মোহাম্মদ শাহেদকে পটিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে।
বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে।’ এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রাহ্মান সানি জানান, ‘আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’