প্রথম পাতা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়টিকে ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ বলে মনে করে বাংলাদেশ। দিল্লির বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করে ঢাকা সফরের সমাপনী দিনে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক এবং সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের সহকারী সচিব মো. মাসুদ পারভেজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মনে করে, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সবসময় বিশ্বাস করে প্রত্যেকটি দেশেরই উচিত আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়কে অগ্রাধিকার দেয়া। সমপ্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়নের জন্যই ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে। ৩৭০ ধারা হলো ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী বিধান (‘টেম্পোরারি প্রভিশন’)। এই ধারার আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছিল। ৩৭০ ধারা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারার আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেয়া হয়। ৩৭০ ধারা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া, অন্য কোনও বিষয়ে জম্মু কাশ্মিরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না কেন্দ্রীয় সরকারের। এমনকি, কোনও আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না কেন্দ্র বা সংসদেরও। আইন প্রণয়নে জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের সম্মতি নিতে হতো। গত ৫ আগস্ট সেই ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন একদিন আগে দিল্লির বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজ দপ্তরে ফিরে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপেও বলেছিলেন, এ ইস্যুতে ঢাকা বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি। তবে বাংলাদেশ এটাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলেই মনে করে।