দেশ বিদেশ

ডেঙ্গু নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার

২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন

ডেঙ্গুর উৎস এডিস মশা নির্মূলে ওয়ার্ডভিত্তিক এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসকরণ ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ‘চিরুনী অভিযান’ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গতকাল ডিএনসিসির ১৯নং ওয়ার্ডের গুলশান শহীদ ডা. ফজলে রাব্বী পার্ক থেকে বিশেষ এ অভিযান উদ্বোধন করা হয়। প্রথমে এই ওয়ার্ডের গুলশান-বনানী এলাকা থেকে অভিযানের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ওয়ার্ডেও তা শুরু করা হবে। এই ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়। ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মীগণ স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রতিদিন একটি ব্লকের ১০টি সাব-ব্লককে ১০টি উপদলে বিভক্ত হয়ে অভিযান সম্পন্ন করবে। এভাবে আগামী ১০দিনে এ ওয়ার্ডটি থেকে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসকরণ ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পূর্ণ হবে। এ ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ডিএনসিসির অন্যান্য ওয়ার্ডেও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, পরিচ্ছন্ন হলেই আলোকিত মানুষ হওয়া যায়। অপরিচ্ছন্ন মানুষ কখনো আলোকিত মানুষ হতে পারে না। আমাদের মধ্যে নোংরামির অভ্যাস আছে। খুব অল্প কয়েকজনকে বাদ দিলে আমাদের কারো বাড়িঘর পরিপাটি না। আমাদের সমাজেই একটা বিশৃঙ্খলা আছে। এসব থেকে নিস্তার পেতে হলে আশেপাশের সবকিছু আমাদেরকেই পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে। আমাদের বাসাবাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশে এডিস মশার বংশবিস্তারের স্থানগুলো ধ্বংসের কাজটি নিয়মিত নগরবাসীকে করে যেতে হবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনগণ এ অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেই অভিযানটি সফল হবে। এ অভিযানে ডিএনসিসির সঙ্গে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা করা হয়েছে। আমরা বাসা-বাড়িতে গিয়ে এডিস মশার লার্ভা পেলে তাকে সতর্ক করবো। ‘সাবধান! এ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে’ লেখা একটি স্টিকার লাগিয়ে দেব। আমাদের বিশ্বাস এরপর তারা নিজেদের শুধরে নেবেন। যদি শুধরে না নেন, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অভিযান চলাকালে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের সচেতনভাবে সহযোগিতা করার জন্য মেয়র বাড়ি মালিকদের প্রতি মেয়র আহ্বান জানান। এ কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে আতিকুল ইসলাম অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের নিকটস্থ গুলশান ১নং সড়কের ১নং বাড়িতে যান। এটি একটি বাণিজ্যিক ভবন। সেখানে ছাদে পরিত্যক্ত একটি কমোডের ফ্লাশে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। উপস্থিত ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ভবনের মালিককে ১ লাখ টাকা অনাদায়ে বিনাশ্রম ৩০দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে তারা বাড়ির সামনে একটি স্টিকার লাগিয়ে দেন।
এরপরই ১৪০নং সড়কের ১০নং নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবনের মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই অপরাধে ১৪০নং সড়কের নির্মাণাধীন ৭/এ নং ভবন এবং গুলশান-২ এর ৬২নং সড়কের নির্মাণাধীন ৭নং ভবনের মালিকদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, বিভিন্ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status