দেশ বিদেশ
জাগুয়ার চালক আরসালান নয় মাসে ৪৮ বার আইন ভেঙেছে
কলকাতা প্রতিনিধি
২০ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
কলকাতায় চিকিৎসা নিতে আসা এক বাংলাদেশি যুবক ও তার বাংলাদেশি সঙ্গীর মৃত্যুর ঘটনায় যুক্ত জাগুয়ার গাড়ি দুর্ঘটনার তদন্তভার নিজেদের হাতে নিয়েছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। ইতিমধ্যে ফরেন্সিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার রাতে অভিযুক্ত জাগুয়ার গাড়িটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কি.মি। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক শাখা থেকে জানা গেছে, জাগুয়ার গাড়িটি গত নয় মাসে ৪৮ বার আইন ভঙ্গ করেছে। দুর্ঘটনার দিনই সেই গাড়ির চালক ২২ বছরের আরসালান পারভেজ দু’দুবার ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করে দুরন্ত গতিতে গাড়ি ছুটিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়িটি ঘিরে নয় মাসে ৪৮টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ওভার স্প্রিডিংয়ের মামলাই ৪৩টি। শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার এই জাগুয়ার দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি মৃত্যুর পর থেকেই খবরের শিরোনামে। জানা গেছে, গাড়িটি ছিল রেসিং মুডে। যার জেরে প্রচণ্ড গতিতে ছুটছিল গাড়িটি। আর তাতেই সিগন্যাল অমান্য করে সোজা গিয়ে গাড়িটি ধাক্কা মারে আড়াআড়ি রাস্তা দিয়ে আসা একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িকে। এই ধাক্কার জেরে সেই মার্সিডিজ গাড়িটি রাস্তার ধারের পুলিশ কিয়স্কে সজোরে আছড়ে পড়ে। সেখানেই ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তিন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন আহত হয়েছেন। তদন্তে পুলিশ আরসালান পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, শুধু ওই রাতেই ওভার স্পিডিং নয়, জাগুয়ারের স্টিয়ারিংয়ে বসে চার চাকায় ঝড় তোলাকে রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন নামি রেস্তরাঁ চেনের মালিকের পুত্র আরসালান। সোমবার তদন্তের ভার নেয়ার পর, আরসালান পারভেজকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা। এদিকে, গত রোববার আরসালানকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ২৯শে আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে। শনিবারই তার বিরুদ্ধে দু’জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি তিনজন জখম হওয়ায় অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে ধারা এবং সরকারি সম্পতির ক্ষতিসাধন করায় পিডিপিপি অ্যাক্টের ৩ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে।