শেষের পাতা
ডেঙ্গুর প্রজননস্থলে কতটা যেতে পারছেন মশক নিধন কর্মীরা?
হাফিজ মুহাম্মদ
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
বাড়ছে ডেঙ্গু, বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। নগরীতে এমন সব স্থান রয়েছে যেখানে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মীরাও যাচ্ছে না। মূলত সেসব স্থান থেকেই এখন ডেঙ্গু জ্বরের উৎস এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। এরইমধ্যে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিধনে ক্রাশ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। আনা হয়েছে নতুন ওষুধ। তবে এসব ওষুধ ছিটানোর পরেও ডেঙ্গু কতটা নির্মূল করা যাবে এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন ১৯টি জায়গা নির্দিষ্ট করেছে যেখানে সিটি করপোরেশন মশার ওষুধ প্রয়োগ করতে পারছে না।
কিংবা এসব স্থানে তাদের যাওয়ার অনুমতি নেই। এতদিন ধারণা করা হতো এডিস মশা বাসাবাড়ি ও আশপাশে জমে থাকা পানিতে বেশি থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কিটতত্ত্ববিদ ডা. ভূপেন্দর নাগপাল জানান, এডিস মশা সবচেয়ে বেশি থাকে সরকারি পরিবহন পুলে। এসব জায়গায় সারিবদ্ধ গাড়ি, টায়ার ও পরিত্যক্ত টিউব যন্ত্রপাতিতে এডিসের বেশি লার্ভা পাওয়া গেছে। এর পরপরই এডিস থাকে হাসপাতালের নিচে খোলা জায়গায়, ছাদে, পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রে। পুলিশের পরিবহন পুলে ও আটকের পর পুলিশ যেখানে যানবাহন স্তুপ করে রাখে সেখানেও এডিস মশা বেশি থাকে। বিমানবন্দরের চৌবাচ্চা ও রানওয়ের আশপাশে, পার্ক, নার্সারি, ফোয়ারা, সিভিল ডিপার্টমেন্টের নির্মাণাধীন ভবনে। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলো এডিসের বিস্তার বেশি। এছাড়া বাসাবাড়ির গ্যারেজে, বাড়ির মূল ফটকের লোহার গেটের কার্নিসে, পরিত্যক্ত কমোডে, বিদ্যুতের তার আটকানোর সরঞ্জামাদিতে মশা ডিম পাড়ে।
এছাড়া নির্মাণাধীন ভবনের ব্লক, ফেলে রাখা বোতল ও টিনের ক্যান, গাছের ফোকর ও বাঁশ, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত খেলনা, ছাদে, অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদ, বাগান পরিচর্যার জিনিসপত্র, ইটের গর্ত ও অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে এডিস মশা ডিম পাড়ে। যার বেশিরভাগ স্থানে সিটির মশক নিধন কর্মীরা যান না। এসব জায়গা থেকে এডিস মশার ছড়াচ্ছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন এর মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এডিস মশার লার্ভা জন্মে এমন অনেক স্থানেই তাদের প্রবেশের অনুমতি নেই। তারা কেবল উন্মুক্ত স্থান এবং বাসা বাড়ির সামনে ওষুধ স্প্রে করে থাকেন। এছাড়া নালা বা ড্রেনে ওষুধ দেয়া হয়।
বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেলের কাজ। এ প্রকল্পের মিরপুর ১২ থেকে কাওরানবাজার আসতে দেখা নির্মানাধীন পিলারের গর্তে পানি জমে আছে অনেক জায়গায়। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে পানি জমায় সেখানে এডিস মশা সহজে বংশ বিস্তার করতে পারে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়া সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেড দেয়া চলমান এ প্রকল্পের মধ্যে বিভিন্নস্থানে গর্ত দেখা গেছে। এসব জায়গায়ও দিনের পর দিন পানি জমে থাকে। এর ভিতরে সিটি করপোরেশন তাদের মশার ওষুধ ছিটাতে পারছে না। এছাড়া ঢাকার বেশ কয়েকটি থানার ডাম্পিংয়ে গাড়ির স্তুপ রয়েছে। এর মধ্যে শেরে-বাংলানগর, মিরপুর মডেল থানা, রমনা থানায় এসব গাড়িতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এডিস মশার উৎস দেখা গেছে হাসপাতালগুলোতেও। যদিও আলোচনা হওয়ায় হাসপাতালগুলো এখন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। বাংলাদেশ বেতারের মূল ভবনের পিছনেও পুরাতন গাড়ির পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এরইমধ্যে গতকাল মিরপুর গোল চত্তরে মেট্রোরেলের পিলারের গোড়ায় গর্তে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার অসংখ্য লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মিরপুর অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লার্ভার উপস্থিতির কথা জানান। ডিএনসিসির একজন স্বাস্থ্যকর্মকর্তা জানান, ঢাকার মিরপুর অঞ্চলের বিশাল একটি অংশ জুড়ে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। এখানে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে বলে আমরা শংকিত ছিলাম। সেটা এখন বাস্তব হল। এখানে আমরা ব্যবস্থা নিব। এছাড়া নাগরিকদের বাড়ির ভিতরে ভিতরে যেসব মশার উপস্থিতি রয়েছে সেখানে যাওয়া যাচ্ছে না। অনেক বাড়িতে ঢুকার অুনমতি পাচ্ছে না মশক নিধন কর্মীরা। এছাড়া যেসব বাড়িতে মশার উৎস নির্ণয় করা যায় সেখানে গেলাম কিন্তু এর বাইরের বাড়িতে তো থেকে যাচ্ছে। এ জন্য সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ সচেতনতা বাড়াতে হবে। ওই কর্মকর্তা দুই তিন দিনের মধ্যে চিরুনী অভিযান শুরুর কথাও জানান। তিনি বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল দেখা হবে। এবং সেসব স্থানে ওষুধ প্রয়োগ করে ধ্বংস করা হবে। এছাড়া বর্তমানে যে ওষুধ ‘ম্যালেথিয়ন’ প্রয়োগ করা হচ্ছে সেটার ফল অনেক ভালো। শতভাগ কার্যকর।
একইভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন স্থানে এখনো মশার প্রজননস্থল রয়ে গেছে। এরমধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্প। রাজধানীর কাওরানবাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশেও পিলারের গোড়ায়, বিভিন্ন কূপে পান জমে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের কিছু কিছু উন্মুক্ত অংশে, মার্কেট ও হোটেলের কার্নিশে, সড়কের পাশে দিনের পর দিন পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এসব স্থানে সিটি করপোরশেন তাদের ওষুধ প্রয়োগ করতে পারলেও তাদের দেখা মিলে না বলে জানায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তবে মেট্রোরেলের অংশ ভিতরে উন্মুক্ত থাকলেও সড়কের দুই পাশ দিয়ে ব্যারিকেট দেয়া থাকায় তা লোক চক্ষুর আড়ালেই থাকছে।
কিংবা এসব স্থানে তাদের যাওয়ার অনুমতি নেই। এতদিন ধারণা করা হতো এডিস মশা বাসাবাড়ি ও আশপাশে জমে থাকা পানিতে বেশি থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কিটতত্ত্ববিদ ডা. ভূপেন্দর নাগপাল জানান, এডিস মশা সবচেয়ে বেশি থাকে সরকারি পরিবহন পুলে। এসব জায়গায় সারিবদ্ধ গাড়ি, টায়ার ও পরিত্যক্ত টিউব যন্ত্রপাতিতে এডিসের বেশি লার্ভা পাওয়া গেছে। এর পরপরই এডিস থাকে হাসপাতালের নিচে খোলা জায়গায়, ছাদে, পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রে। পুলিশের পরিবহন পুলে ও আটকের পর পুলিশ যেখানে যানবাহন স্তুপ করে রাখে সেখানেও এডিস মশা বেশি থাকে। বিমানবন্দরের চৌবাচ্চা ও রানওয়ের আশপাশে, পার্ক, নার্সারি, ফোয়ারা, সিভিল ডিপার্টমেন্টের নির্মাণাধীন ভবনে। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলো এডিসের বিস্তার বেশি। এছাড়া বাসাবাড়ির গ্যারেজে, বাড়ির মূল ফটকের লোহার গেটের কার্নিসে, পরিত্যক্ত কমোডে, বিদ্যুতের তার আটকানোর সরঞ্জামাদিতে মশা ডিম পাড়ে।
এছাড়া নির্মাণাধীন ভবনের ব্লক, ফেলে রাখা বোতল ও টিনের ক্যান, গাছের ফোকর ও বাঁশ, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত খেলনা, ছাদে, অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদ, বাগান পরিচর্যার জিনিসপত্র, ইটের গর্ত ও অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে এডিস মশা ডিম পাড়ে। যার বেশিরভাগ স্থানে সিটির মশক নিধন কর্মীরা যান না। এসব জায়গা থেকে এডিস মশার ছড়াচ্ছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন এর মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এডিস মশার লার্ভা জন্মে এমন অনেক স্থানেই তাদের প্রবেশের অনুমতি নেই। তারা কেবল উন্মুক্ত স্থান এবং বাসা বাড়ির সামনে ওষুধ স্প্রে করে থাকেন। এছাড়া নালা বা ড্রেনে ওষুধ দেয়া হয়।
বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেলের কাজ। এ প্রকল্পের মিরপুর ১২ থেকে কাওরানবাজার আসতে দেখা নির্মানাধীন পিলারের গর্তে পানি জমে আছে অনেক জায়গায়। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে পানি জমায় সেখানে এডিস মশা সহজে বংশ বিস্তার করতে পারে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়া সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেড দেয়া চলমান এ প্রকল্পের মধ্যে বিভিন্নস্থানে গর্ত দেখা গেছে। এসব জায়গায়ও দিনের পর দিন পানি জমে থাকে। এর ভিতরে সিটি করপোরেশন তাদের মশার ওষুধ ছিটাতে পারছে না। এছাড়া ঢাকার বেশ কয়েকটি থানার ডাম্পিংয়ে গাড়ির স্তুপ রয়েছে। এর মধ্যে শেরে-বাংলানগর, মিরপুর মডেল থানা, রমনা থানায় এসব গাড়িতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এডিস মশার উৎস দেখা গেছে হাসপাতালগুলোতেও। যদিও আলোচনা হওয়ায় হাসপাতালগুলো এখন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। বাংলাদেশ বেতারের মূল ভবনের পিছনেও পুরাতন গাড়ির পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এরইমধ্যে গতকাল মিরপুর গোল চত্তরে মেট্রোরেলের পিলারের গোড়ায় গর্তে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার অসংখ্য লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মিরপুর অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লার্ভার উপস্থিতির কথা জানান। ডিএনসিসির একজন স্বাস্থ্যকর্মকর্তা জানান, ঢাকার মিরপুর অঞ্চলের বিশাল একটি অংশ জুড়ে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। এখানে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে বলে আমরা শংকিত ছিলাম। সেটা এখন বাস্তব হল। এখানে আমরা ব্যবস্থা নিব। এছাড়া নাগরিকদের বাড়ির ভিতরে ভিতরে যেসব মশার উপস্থিতি রয়েছে সেখানে যাওয়া যাচ্ছে না। অনেক বাড়িতে ঢুকার অুনমতি পাচ্ছে না মশক নিধন কর্মীরা। এছাড়া যেসব বাড়িতে মশার উৎস নির্ণয় করা যায় সেখানে গেলাম কিন্তু এর বাইরের বাড়িতে তো থেকে যাচ্ছে। এ জন্য সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ সচেতনতা বাড়াতে হবে। ওই কর্মকর্তা দুই তিন দিনের মধ্যে চিরুনী অভিযান শুরুর কথাও জানান। তিনি বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল দেখা হবে। এবং সেসব স্থানে ওষুধ প্রয়োগ করে ধ্বংস করা হবে। এছাড়া বর্তমানে যে ওষুধ ‘ম্যালেথিয়ন’ প্রয়োগ করা হচ্ছে সেটার ফল অনেক ভালো। শতভাগ কার্যকর।
একইভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন স্থানে এখনো মশার প্রজননস্থল রয়ে গেছে। এরমধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্প। রাজধানীর কাওরানবাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশেও পিলারের গোড়ায়, বিভিন্ন কূপে পান জমে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের কিছু কিছু উন্মুক্ত অংশে, মার্কেট ও হোটেলের কার্নিশে, সড়কের পাশে দিনের পর দিন পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এসব স্থানে সিটি করপোরশেন তাদের ওষুধ প্রয়োগ করতে পারলেও তাদের দেখা মিলে না বলে জানায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তবে মেট্রোরেলের অংশ ভিতরে উন্মুক্ত থাকলেও সড়কের দুই পাশ দিয়ে ব্যারিকেট দেয়া থাকায় তা লোক চক্ষুর আড়ালেই থাকছে।