দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে ২২ রানে

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ২৪৯ রানে গুটিয়ে দিয়েও স্বস্তিতে নেই শ্রীলঙ্কা। গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সাত উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। এদিন লঙ্কান ইনিংসে ধস নামান স্পিনার এজাজ প্যাটেল। শ্রীলঙ্কার সাত উইকেট পরেছিল ১৬১ রানে। যার পাঁচটি নিয়েছেন এই স্পিনার। সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটি গড়েন নিরোশান ডিকভেলা ও সুরঙ্গা লাকমাল। এদের কল্যানেই ২২৭ রানে দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। ডিকভেলা ৩৯ রানে আর লাকমাল ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অষ্টম উইকেটে এদের  জুটিতে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ২২ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা।   
বৃষ্টির কারণে প্রথমদিন খেলা হয়েছে ২২ ওভার কম। না হয়, গল টেস্টের প্রথম দিনই ব্যাট করতে নামতে পারতো স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এদিন ২০৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করার পর শুরুতেই সুরঙ্গা লাকমালের শিকারে পরিণত হন রস টেইলর। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই লাকমালের বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন আগের দিন ৮৬ রানে ব্যাট করতে থাকা এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় দিন কোনো রানই যোগ করতে পারেননি টেইলর। রস টেইলর ফিরে যেতেই ধস নামে নিউজিল্যান্ড ইনিংসে। ২০৫ থেকে ২৪৯, মাঝে ৪৪ রানের ব্যবধানে তারা হারায় বাকি ৫ উইকেট। মিচেল স্যান্টনার ১৩ এবং ট্রেন্ট বোল্ট করেন ১৮ রান। ১৪ রান করে রানআউট হন টিম সাউদি। প্রথম দিন কিউইদের আতঙ্ক ছিলেন আকিলা ধনাঞ্জয়া। গতকাল আতঙ্কে পরিণত হন সুরাঙ্গা লাকমাল। তিনি একাই নেন ৪ উইকেট। আকিলা ধনঞ্জয়া নেন ৫ উইকেট। একটি রানআউট।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মহাবিপদে পড়ে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাও। ১৬১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। কুসাল মেন্ডিস আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস জোড়া হাফ সেঞ্চুরি করার পরও রক্ষা হয়নি। ওপেনার লাহিরু থিরিমানে ১০ রানে আউট হন। ৩৯ রান করে ফিরে যান দিমুথ করুণারত্নে। কুসাল মেন্ডিস করেন ৫৩ রান। ম্যাথিউস আউট হন ৫০ রান করে। এরপরের ব্যাটসম্যানরা আর দাঁড়াতেই পারেননি। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে নিরোশান ডিকভেলা এবং সুরাঙ্গা লাকমাল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটিতে দিন শেষে ২২৭ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পতন হওয়া সাত উইকেটের পাঁচটিই নিয়েছেন কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল।