শেষের পাতা
চামড়া নিয়ে কারসাজি
অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে কি না,তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ রেহাই পাবে না। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সিন্ডিকেটের বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে জানা দরকার। সিন্ডিকেটের একটা ব্যাপার আমাদের দেশে আছে। ফায়দা লোটার জন্য একটা মহল সিন্ডিকেট করে। এ ধরনের কিছু হয়েছে কি না, সেটা খোঁজখবর নিয়ে জানাব। যার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ রেহাই পাবে না। মন্ত্রী বলেন, তদন্তে যদি ধরা পড়ে যে চামড়ার দাম কমে যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করেছে, তাহলে যে ব্যক্তি যে মাত্রায় এই শিল্পের ক্ষতি করেছে, তার বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম কমেছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যিনি অভিযোগ করেছেন, তথ্য-প্রমাণসহ তাকে বলতে হবে, কার কারসাজির জন্য চামড়া শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিরোধী দলের একটা পুরোনো অভ্যাসই হচ্ছে ঢালাও অভিযোগ করা। বাস্তবে তাদের ইতিবাচক কাজ নেই। তারা সব সময় নেতিবাচক বিষয়কে আঁকড়ে সরকারের সামান্য কিছু পেলেই ঢালাও বিষোদগার করতে থাকে। এজন্য এটা বিরোধী দলের ঢালাও বিষোদ্গার কি না, সেটাও আমাদের খতিয়ে দেখা দরকার। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থ ও জনস্বার্থ বিঘ্নিত হলে সেটা দেখা সরকারের দায়িত্ব। ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হয়েছে। তবে কিছু ভুল ছিল। সেই ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেব। এলেঙ্গা থেকে রংপুর মহাসড়ক চার লেন না হওয়া পর্যন্ত এই দুর্ভোগ থাকবে। তবে ক্রমান্বয়ে এই দুর্ভোগ শেষ হবে। আমরা তার জন্য কাজ করছি। মন্ত্রী বলেন,টাঙ্গাইলে দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে আট লেনের গাড়ি দুই লেনের ব্রিজ পার হতে গিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আবার ফেরার পথে চার লেনের গাড়ি দুই লেনের ব্রিজে ওঠার কারণেও সমস্যার সৃষ্টি হয়। যে কারণে দুদিন যাত্রাটা স্বস্তিদায়ক ছিল না, ভোগান্তি হয়েছে। অনেক মানুষ কষ্ট করেছে। গাড়ি দেরিতে আসার কারণে টার্মিনালেও বহু মানুষের কষ্টের সীমা ছিল না। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামে নিয়মিত নির্ধারিত সময়েই গাড়ি পৌঁছেছে এবং সাড়ে তিন-চার ঘণ্টায় চট্টগ্রাম যাত্রা- এটা ইতিহাসে প্রথম ছিল। ঢাকা-সিলেটও ভালো ছিল। ভুলতা ফ্লাইওভার খুলে দেয়া হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহেও আমরা যতটা খারাপ হবে ভেবেছিলাম সেটা হয়নি। ঢাকা-ময়মনসিংহে স্বস্তিদায়ক ছিল। এবার ঈদে দক্ষিণাঞ্চলে ফেরি সংকট ছিল জানিয়ে তিনি বলেন,পদ্মা, যমুনার তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। যে কারণে উভয় পাড়ে লম্বা টেইলব্যাকের সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেক মানুষের কষ্ট হয়েছে। ৬ থেকে ১৩ই আগস্ট পর্যন্ত সড়ক পথে দুর্ঘটনায় ৪৩টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এবার দুর্ঘটনা গতবারের থেকে কম এবং প্রাণহানিও কম হয়েছে। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, এবার ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৩৬ হাজার ২০২টি গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করেছে। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে মনিটরিং অত্যন্ত কড়া ছিল এবং ভিজিল্যান্স টিমও তৎপর ছিল। পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ সবাই মিলে তৎপরতায় ৬৯টি মামলায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সর্বমোট ৩৮১টি মামলায় ৭ লাখ ৬৭ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করেছি। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেয়া হয়েছে।