খেলা
সেই ‘ওভার থ্রো’ পর্যালোচনা করবে এমসিসি
স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের খেলা চলছিল। প্রসঙ্গত ভারতের সাবেক তারকা ও বর্তমানে বোদ্ধা ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কারের কণ্ঠে উঠে আসলো বিশ্বকাপ ফাইনালের বিতর্কিত ঘটনাটি। গাভাস্কার বলে ওঠেন, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ‘নিরীহ’ দেশ বলেই ওই ঘটনা নিয়ে ততটা হৈ চৈ হলো না। যাদের শক্তিশালী মিডিয়া রয়েছে, এমন দেশের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়াটা অন্যরকম হতো। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে মার্টিন গাপটিলের সেই ওভার থ্রো নিয়ে এখনো চলছে বিতর্ক। সেই বিতর্কিত ওভার থ্রো সেপ্টেম্বর মাসে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ম নির্ধারক সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব বা এমসিসি।
ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইনিংসে জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে দরকার ছিল ৯ রান। এমন পরিস্থিতিতে মার্টিন গাপটিলের থ্রো বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি সীমানা টপকে যায়। আর ব্যাটসম্যানরা দৌড়ে ২ রান নেয়ায় আম্পায়ার মোট ৬ রান যোগ করতে বলেন স্কোরবোর্ডে। এটা নিয়েই যত বিতর্ক। সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হওয়ায় শিরোপার নিষ্পত্তি হয়েছে বাউন্ডারি সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে, যেখানে এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। আর হৃদয় জিতেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। ট্রেন্ট বোল্টের করা চতুর্থ বলটি ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন বেন স্টোকস। মার্টিন গাপটিল বেশ ভালো থ্রো করেছিলেন। স্টাম্পে সরাসরি লাগলে হয়তো রানআউট হতে পারত। সে শঙ্কাতেই পড়িমরি করে ডাইভ দিয়েছিলেন স্টোকস। বল তার ব্যাটে লেগে থার্ড ম্যান দিয়ে পার হয় সীমানা! পুরো ঘটনা এবং স্টোকসের ক্ষমা প্রার্থনাসুলভ চাহনি দেখে তখনই বোঝা গেছে, এটি তার ইচ্ছাকৃত ঘটনা ছিল না। নিতান্ত অনিচ্ছাকৃতভাবেই ঘটে গেছে। মাঠের সহকর্মী আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে স্কোরবোর্ডে ৬ রান (দৌড়ে ২ রান ও ওভার থ্রোতে ৪ রান) যোগ করার সিগন্যাল দেন আরেক আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। কিন্তু আম্পায়ারের দেয়া ৬ রান নিয়েই বিতর্ক। কারণ ওটা ৬ রান নয়, ৫ রান হবে। কারণ আইনের ১৯.৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ফিল্ডারের ওভার থ্রো কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে করা কোনো কিছু থেকে বাউন্ডারি হলে...বাউন্ডারি যোগ হবে এবং ব্যাটসম্যানরা একসঙ্গে যত রান নিয়েছেন সেটাও, যদি থ্রোয়ের সময় তারা ইতিমধ্যেই একে অপরকে পার হয়ে যান। আইনের শেষের কথাটি নিয়েই প্যাঁচ লেগেছে। ওই ঘটনার ভিডিও রিপ্লে দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, গাপটিল থ্রো করার সময় ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ দ্বিতীয় রান নেয়ার জন্য একে অপরকে ক্রস (পার হওয়া) করেননি। অর্থাৎ গাপটিল যখন থ্রোয়ের জন্য বল তুলছিলেন, স্টোকস ননস্ট্রাইক প্রান্তে আর আদিল রশিদ স্ট্রাইকারের প্রান্তে ছিলেন। অর্থাৎ দৌড়ে ২ রান নয়, ১ রান হবে আর সঙ্গে বাউন্ডারি- মোট ৫ রান।
আইনটির অস্পষ্টতার কারণেই এ প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ফিল্ডারদের থ্রো নিয়ে যেমন পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি, তেমনি গোটা প্রক্রিয়ায় ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা নিয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। গাপটিলের থ্রো কিন্তু উইকেটরক্ষক বরাবরই ছিল। ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লাগার কারণে তা ওভার থ্রো হয়েছে। এবার ওভার থ্রো এর নিয়ম নিয়ে পর্যালোচনায় বসছে ক্রিকেটের নিয়ম নির্ধারক সংস্থা এমসিসি। তাদের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে ওভার থ্রো বিতর্কের দিকে নজর রেখে ওভার থ্রোর ১৯.৮ ধারা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই বিষয়ে আইনে যা আছে, তা স্পষ্ট হলেও ফাইনালের বিতর্কিত ওভার থ্রো নিয়ে সেপ্টেম্বরে পর্যালোচনায় বসবে সাব কমিটি।
ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইনিংসে জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে দরকার ছিল ৯ রান। এমন পরিস্থিতিতে মার্টিন গাপটিলের থ্রো বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি সীমানা টপকে যায়। আর ব্যাটসম্যানরা দৌড়ে ২ রান নেয়ায় আম্পায়ার মোট ৬ রান যোগ করতে বলেন স্কোরবোর্ডে। এটা নিয়েই যত বিতর্ক। সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হওয়ায় শিরোপার নিষ্পত্তি হয়েছে বাউন্ডারি সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে, যেখানে এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। আর হৃদয় জিতেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। ট্রেন্ট বোল্টের করা চতুর্থ বলটি ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন বেন স্টোকস। মার্টিন গাপটিল বেশ ভালো থ্রো করেছিলেন। স্টাম্পে সরাসরি লাগলে হয়তো রানআউট হতে পারত। সে শঙ্কাতেই পড়িমরি করে ডাইভ দিয়েছিলেন স্টোকস। বল তার ব্যাটে লেগে থার্ড ম্যান দিয়ে পার হয় সীমানা! পুরো ঘটনা এবং স্টোকসের ক্ষমা প্রার্থনাসুলভ চাহনি দেখে তখনই বোঝা গেছে, এটি তার ইচ্ছাকৃত ঘটনা ছিল না। নিতান্ত অনিচ্ছাকৃতভাবেই ঘটে গেছে। মাঠের সহকর্মী আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে স্কোরবোর্ডে ৬ রান (দৌড়ে ২ রান ও ওভার থ্রোতে ৪ রান) যোগ করার সিগন্যাল দেন আরেক আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। কিন্তু আম্পায়ারের দেয়া ৬ রান নিয়েই বিতর্ক। কারণ ওটা ৬ রান নয়, ৫ রান হবে। কারণ আইনের ১৯.৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ফিল্ডারের ওভার থ্রো কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে করা কোনো কিছু থেকে বাউন্ডারি হলে...বাউন্ডারি যোগ হবে এবং ব্যাটসম্যানরা একসঙ্গে যত রান নিয়েছেন সেটাও, যদি থ্রোয়ের সময় তারা ইতিমধ্যেই একে অপরকে পার হয়ে যান। আইনের শেষের কথাটি নিয়েই প্যাঁচ লেগেছে। ওই ঘটনার ভিডিও রিপ্লে দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, গাপটিল থ্রো করার সময় ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ দ্বিতীয় রান নেয়ার জন্য একে অপরকে ক্রস (পার হওয়া) করেননি। অর্থাৎ গাপটিল যখন থ্রোয়ের জন্য বল তুলছিলেন, স্টোকস ননস্ট্রাইক প্রান্তে আর আদিল রশিদ স্ট্রাইকারের প্রান্তে ছিলেন। অর্থাৎ দৌড়ে ২ রান নয়, ১ রান হবে আর সঙ্গে বাউন্ডারি- মোট ৫ রান।
আইনটির অস্পষ্টতার কারণেই এ প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ফিল্ডারদের থ্রো নিয়ে যেমন পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি, তেমনি গোটা প্রক্রিয়ায় ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা নিয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। গাপটিলের থ্রো কিন্তু উইকেটরক্ষক বরাবরই ছিল। ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লাগার কারণে তা ওভার থ্রো হয়েছে। এবার ওভার থ্রো এর নিয়ম নিয়ে পর্যালোচনায় বসছে ক্রিকেটের নিয়ম নির্ধারক সংস্থা এমসিসি। তাদের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে ওভার থ্রো বিতর্কের দিকে নজর রেখে ওভার থ্রোর ১৯.৮ ধারা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই বিষয়ে আইনে যা আছে, তা স্পষ্ট হলেও ফাইনালের বিতর্কিত ওভার থ্রো নিয়ে সেপ্টেম্বরে পর্যালোচনায় বসবে সাব কমিটি।