বাংলারজমিন
ঈশ্বরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় পিতা পুত্রসহ ৩ খুন
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৫ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:১৯ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় পিতাপুত্রসহ ৩ জন খুন হয়েছেন এবং ৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ডিবি পুলিশ রুহুল আমিন নামে একজনকে আটক করেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের কাঁঠালডাংরী গ্রামে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। সরজমিনে গিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে ওই গ্রামের হাবুলের পুত্র মিজান (৮) স্থানীয় একটি জামে মসজিদের চালায় উঠায় প্রতিবেশী হাসিম উদ্দিন তাকে চড় মারেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এবং উভয় পক্ষ থানায় মামলা করে। প্রতিবেশী প্রবাসী হারুন বিবদমান দুপক্ষ হাসিম ও রাশিদের মামলা মীমাংসা করার জন্য গতকাল সকাল ৮টায় শালিস বৈঠকের উদ্যোগ নেন। বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই হাসিমের পুত্র জহিরুল তার মুরগির খামারে পানি দিতে গেলে রাশিদ ও তার পরিবারের লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় তাকে আক্রমণ করে। এসময় পিতা হাসিম উদ্দিন (৬০) তার পুত্রকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় প্রতিপক্ষের রাশিদের পুত্র আজিবুলও (৩২) গুরুতর জখম হন। স্থানীয় লোকজন তাদের হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। সংঘর্ষে নিহত হাসিমের পুত্র মাজহারুল (২৫) খায়রুল (৩০) মেয়ে রোকসানা (২০) ও পুত্রবধূ পপি (২৫) গুরুতর আহত হন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মেয়ে রোকসানার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এস এ নেওয়াজি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল শাখের হোসেন সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হৃদয়বিদারক এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এ সময় ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি উপস্থিত জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।