বিশ্বজমিন

কাতারের আমিরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা ষড়যন্ত্রের মামলা

মানবজমিন ডেস্ক

১৪ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, ১:২১ পূর্বাহ্ন

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির ভাই শেখ খালেদ আল থানির বিরুদ্ধে দু’জন ব্যক্তিকে হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক আদালতে। এতে বলা হয়েছে, দু’জন ব্যক্তিকে হত্যার জন্য নিজের নিরাপত্তা বিষয়ক স্টাফদের একজনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ খালেদ আল থানি। এ অভিযোগে মামলা করেছেন তার সাবেক দু’জন অধীনস্ত কর্মচারী। তারা হলেন ম্যাথিউ পিটার্ড এবং ম্যাথিউ অ্যালেন্ডে। প্রথমজন নিরাপত্তা বিষয়ক পেশাদার। দ্বিতীয়জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল শেখ খালেদের সার্বক্ষণিক ডাক্তার হিসেবে। তারা দু’জন ২৩ শে জুলাই ফ্লোরিডার আদালতে ওই অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।
এতে ম্যাথিউ পিটার্ড বলেছেন, তাকে অজ্ঞাত একজন পুরুষ ও মহিলাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ খালেদ। তিনি এই নির্দেশ অমান্য করার পর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখান তিনি। ওই পুরুষ ও নারী শেখ খালেদের সামাজিক সুনামের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছিল। আর পুরো ঘটনা ঘটে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যানজেলেসে।
মামলায় বলা হয়েছে, এক বছর পরে কাতারে নিজের প্রাসাদে একজন মার্কিনিকে আটক করেন শেখ খালেদ। তার নির্দেশে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর তাকে দোহা’য় ওনাইজা পুলিশ স্টেশনে কিছু সময় রাখা হয়। আবার তার বাসভবনেও রাখা হয়। যখন তিনি দেখতে পান আটক ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন পিটার্ড, তখন তিনি তাকে বলেন, তিনি তাকে হত্যা করবেন এবং মৃতদেহ মরুভূমিতে সমাহিত করবেন। হত্যা করবেন পিটার্ডের পরিবারকে। মামলায় পিটার্ড আরো অভিযোগ করেছেন, ওই মার্কিনি কোথায় আছে তা বলতে গ্লোক ২৬ স্বয়ংক্রিয় পিস্তল হাতে তাকে হুমকি দেন শেখ খালেদ। কোথায় আছে তা জানাতে না পারলে তাকে মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দেন। পরে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আদালতের ডকুমেন্ট অনুযায়ী, অ্যালেন্ডে’কেও অস্ত্রের ভয় দেখানো হয়েছে। সামান্য সময় বিরতি দিয়ে তাকে দীর্ঘ সময় কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আগে থেকে একদিন ছুটি চেয়েছিলেন অ্যালেন। কিন্তু তাকে সেই ছুটি দিতে অস্বীকৃতি জানান শেখ খালেদ। এরপর শেখ খালেদের কাতারের বাসা থেকে পালাতে ২ মিটার উঁচু নিরাপত্তা বেড়া বেড়ে উপরে ওঠেন এবং ৬ মিটার উঁচু একটি দেয়ালের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে পালান।
তাদের পক্ষে আইনী লড়াই করছেন আইনজীবী রেবেকা লিন ক্যাস্তানেডা। তিনি বলেছেন, এমন কোনো দেশে এমন কোনো নিয়ম নেই যেখানে কারো পক্ষে কাউকে নির্দেশ দেয়া হবে দু’জন মানুষকে হত্যা করতে। এটা যথার্থ নয়। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা অবৈধ। শেখ খালেদের কর্মকা-ের জন্য তার মক্কেলরা তাদের ক্যারিয়ার ঠিকমতো গড়তে পারেন নি। এ জন্য তারা ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। এই মামলায় শেখ খালেদকে ব্যক্তিগতভাবে আসামী করা হয়েছে। এ ছাড়া তার দুটি কোম্পানি জিইও স্ট্রাটেজিক ডিফেন্স সল্যুশনস এবং কে এইজচ হোল্ডিংয়ের নামও রয়েছে এতে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status