বিশ্বজমিন
সিঙ্গাপুরের দৈনিক পত্রিকায় চৌ-লতিফের বন্ধুত্বের গল্প
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশ থেকে যারা নিয়মিত সিঙ্গাপুর যাতায়াত করেন, তারা প্রায় সবাই লিটল ইন্ডিয়া চেনেন। বাংলাদেশীরা সেখানে গিজ গিজ করেন। ব্যস্ততম বাণিজ্য কেন্দ্র এটি। তবে বৈদ্যুতিক পাখা মেরামতকারী পিটার চৌ এখনও বাংলাদেশি নির্মাণকর্মী লতিফ সিকদারের সাথে ব্রিজ খেলার সময় ঠিকই বের করে নেন।
এই দুই অসম বন্ধুকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ পত্রিকা দি স্ট্রেইট টাইমস একটি ফিচার ছেপেছে। দু’জনের বন্ধুত্বের কাহিনী চমকপ্রদ ও ব্যতিক্রম বলেই পত্রিকাটির কাছে তাদের এতটা গুরুত্ব। পত্রিকাটির সাংবাদিক শিনতারো তে ৯ই আগস্ট লিখেছেন, মি. চৌ একবার মি. লতিফের কাছে তার একটি সাইকেল বিক্রি করেছিলেন। দু’জনের সেই প্রথম সাক্ষাত। এরপর গত ৭ বছর কেটে গেছে। দু’জনের বয়সের ব্যবধান ৩০ বছর। বয়সের এতটা ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও গত ৭ বছর ধরে প্রতিটি রবিবার দুপুরে তারা চ্যাট এবং কফি উপভোগ করেছেন। ৪৫ বছর বয়সী লতিফ বলেছেন, চৌ-এর সঙ্গে জীবনের কথা বলতে পারলে আমি খুশি বোধ করি। তার সঙ্গে সবকিছু নিয়ে নিঃখরচায় কথা বলতে পারি। আমার হৃদয়ে আনন্দের প্রস্রবন বইছে, এ কারণেই আমি এখানে এসেছি। আমি তাকে (মি. চৌ) পছন্দ করি।
গত সাত বছরে কোনো বিরতি নেই। লতিফ থাকেন কাকি বুকিতে। সেখান থেকে তিনি এই লিটল ইন্ডিয়ায় বিশ্বস্ততার সঙ্গে ৭৪ বছর বয়স্ক চৌয়ের কাছে আসেন, প্রতিটি রোববারে।
মি. চৌ তখন সুনগেই রোডের ফ্লেয়া মার্কেটে একজন স্ট্রিট হকার। ২০ বছর আগে একজন খুচরা বিক্রয়কর্মী হিসাবে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বাবা তিনি । সানগেই রোডের হকারের জীবন বেছে নিয়েছিলেন। এটা ছিল নিজকে সক্রিয় রাখার জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করা।
মিঃ চৌ লক্ষ্য করেছেন যে, মানুষ সহজেই ফ্যান ব্যবহার করে বা না করেই ছুড়ে ফেলে দেয়। তাই তিনি ভাবলেন, ব্যবহৃত বা অকেজো ফ্যান সংগ্রহ করে তাকে কি করে উপযোগী করে তোলা সম্ভব। চৌ আপার ওয়েল্ড রোডে একটি জায়গা খুঁজে বের করলেন। সেখানে তিনি সুলভমূল্যে ফ্যান সারানো, বিক্রি ইত্যাদিতে মগ্ন হলেন। ১৫ থেকে ৪০ ডলারে চৌয়ের কাছ থেকে ফ্যান মেরামত বা ব্যবহৃত ফ্যান মেলে। তার দোকানটিতে ভীড় কিন্তু লেগেই থাকে। মূলত অভিবাসী শ্রমিক এবং দরিদ্র মানুষ তার ফ্যানের ক্রেতা। তিনি অবশ্য অন্যান্য গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি এবং সাইকেলও মেরামত করেন।
চৌ বলেছেন- আমি টিভি দেখে বাড়িতে বসে বা কফি শপে গিয়ে খামোখা আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করতে চাই না।
মি. চৌ-এর স্টল লিটল ইন্ডিয়ার মানুষের কাছে রীতিমতো একটি বাতিঘর হয়ে উঠেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অভিবাসী শ্রমিকরা তার দোকানটিকে ঘিরে ভীড় জমাতে থাকেন। তিনি সাদরে অভ্যর্থনা জানান। সুতরাং চৌয়ের দোকানটি আর পুরাতান ফ্যানের একটি দোকানমাত্র নয়। একজন বাংলাদেশী লতিফের কারণে চৌয়ের স্টলটি ঘিরে প্রধানত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মিলনক্ষেত্র। কেউ মুদি শপিং করা বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য বেরুলে, একটু সময় করে চৌয়ের দোকানের আশেপাশে তাদেরকে বসে থাকতে দেখা যায়।
জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে চৌ বলেন, আজকের সিঙ্গাপুরে নতুন নতুন বিল্ডিং এবং আধুনিক অঞ্চল রয়েছে । কিন্তু লিটল ইন্ডিয়ায় দেখবেন অনেক পুরানো ভবন। অনেক বিচিত্র ব্যবসা।' তার কথায়, লিটল ইন্ডিয়া একটি বিশেষ জায়গা।
এই দুই অসম বন্ধুকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ পত্রিকা দি স্ট্রেইট টাইমস একটি ফিচার ছেপেছে। দু’জনের বন্ধুত্বের কাহিনী চমকপ্রদ ও ব্যতিক্রম বলেই পত্রিকাটির কাছে তাদের এতটা গুরুত্ব। পত্রিকাটির সাংবাদিক শিনতারো তে ৯ই আগস্ট লিখেছেন, মি. চৌ একবার মি. লতিফের কাছে তার একটি সাইকেল বিক্রি করেছিলেন। দু’জনের সেই প্রথম সাক্ষাত। এরপর গত ৭ বছর কেটে গেছে। দু’জনের বয়সের ব্যবধান ৩০ বছর। বয়সের এতটা ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও গত ৭ বছর ধরে প্রতিটি রবিবার দুপুরে তারা চ্যাট এবং কফি উপভোগ করেছেন। ৪৫ বছর বয়সী লতিফ বলেছেন, চৌ-এর সঙ্গে জীবনের কথা বলতে পারলে আমি খুশি বোধ করি। তার সঙ্গে সবকিছু নিয়ে নিঃখরচায় কথা বলতে পারি। আমার হৃদয়ে আনন্দের প্রস্রবন বইছে, এ কারণেই আমি এখানে এসেছি। আমি তাকে (মি. চৌ) পছন্দ করি।
গত সাত বছরে কোনো বিরতি নেই। লতিফ থাকেন কাকি বুকিতে। সেখান থেকে তিনি এই লিটল ইন্ডিয়ায় বিশ্বস্ততার সঙ্গে ৭৪ বছর বয়স্ক চৌয়ের কাছে আসেন, প্রতিটি রোববারে।
মি. চৌ তখন সুনগেই রোডের ফ্লেয়া মার্কেটে একজন স্ট্রিট হকার। ২০ বছর আগে একজন খুচরা বিক্রয়কর্মী হিসাবে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বাবা তিনি । সানগেই রোডের হকারের জীবন বেছে নিয়েছিলেন। এটা ছিল নিজকে সক্রিয় রাখার জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করা।
মিঃ চৌ লক্ষ্য করেছেন যে, মানুষ সহজেই ফ্যান ব্যবহার করে বা না করেই ছুড়ে ফেলে দেয়। তাই তিনি ভাবলেন, ব্যবহৃত বা অকেজো ফ্যান সংগ্রহ করে তাকে কি করে উপযোগী করে তোলা সম্ভব। চৌ আপার ওয়েল্ড রোডে একটি জায়গা খুঁজে বের করলেন। সেখানে তিনি সুলভমূল্যে ফ্যান সারানো, বিক্রি ইত্যাদিতে মগ্ন হলেন। ১৫ থেকে ৪০ ডলারে চৌয়ের কাছ থেকে ফ্যান মেরামত বা ব্যবহৃত ফ্যান মেলে। তার দোকানটিতে ভীড় কিন্তু লেগেই থাকে। মূলত অভিবাসী শ্রমিক এবং দরিদ্র মানুষ তার ফ্যানের ক্রেতা। তিনি অবশ্য অন্যান্য গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি এবং সাইকেলও মেরামত করেন।
চৌ বলেছেন- আমি টিভি দেখে বাড়িতে বসে বা কফি শপে গিয়ে খামোখা আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করতে চাই না।
মি. চৌ-এর স্টল লিটল ইন্ডিয়ার মানুষের কাছে রীতিমতো একটি বাতিঘর হয়ে উঠেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অভিবাসী শ্রমিকরা তার দোকানটিকে ঘিরে ভীড় জমাতে থাকেন। তিনি সাদরে অভ্যর্থনা জানান। সুতরাং চৌয়ের দোকানটি আর পুরাতান ফ্যানের একটি দোকানমাত্র নয়। একজন বাংলাদেশী লতিফের কারণে চৌয়ের স্টলটি ঘিরে প্রধানত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মিলনক্ষেত্র। কেউ মুদি শপিং করা বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য বেরুলে, একটু সময় করে চৌয়ের দোকানের আশেপাশে তাদেরকে বসে থাকতে দেখা যায়।
জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে চৌ বলেন, আজকের সিঙ্গাপুরে নতুন নতুন বিল্ডিং এবং আধুনিক অঞ্চল রয়েছে । কিন্তু লিটল ইন্ডিয়ায় দেখবেন অনেক পুরানো ভবন। অনেক বিচিত্র ব্যবসা।' তার কথায়, লিটল ইন্ডিয়া একটি বিশেষ জায়গা।