অনলাইন
বায়তুল মোকাররমের খুতবায় প্রশ্ন
১৫-২০ লাখ টাকার কোরবানি দাতারা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন কি-না? (অডিও)
মিজানুর রহমান
১৩ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:১৭ অপরাহ্ন
"আমি বড় কোরবানির বিরোধী নই। কিন্তু বড় কোরবানির নামে যেন লোক দেখানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতা না হয়। ইসলামে এমন প্রদর্শনেচ্ছার কোন স্থান নেই।"
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শেষ ঈদ জামাতের খুতবায় কোরবানি ও ইসলাম প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন পঞ্চম জামাতের খতিব আল আজহার একাডেমির প্রিন্সিপাল শায়খুল হাদিস, মুফতি মাওলানা ড. আব্দুল কাইয়ূম আযহারী। বিশ্বনন্দিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে ১৯৭৮ সনে বাংলাদেশ থেকে প্রথম ছাত্র হিসাবে পড়তে যাওয়া ওই আলেমে দ্বীনের মতে সম্পদশালী মুসলিমের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। কিন্তু এটা করার আগে পূর্ণ ঈমান বা বিশ্বাস জরুরি। এতে কোনো ধরনের ঘাটতি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, কোরবানি নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। এটা দুঃখজনক। ইসলামে এসবের কোনো স্থান নেই। আমি বড় কোরবানির বিরুদ্ধে নই, আমার বক্তব্যে ধনাঢ্য সম্প্রদায় কষ্ট পেতে পরেন। ব্যবসায়ীরা মনে করতে পারেন আমি তাদের ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছি। আমি ইসলামের বিধানের কথা বলছি- সাম্য, শান্তি ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের নীতি-বিধান খুবই স্পষ্ট। আপনার কোরবানি অবশ্যই হালাল বা বৈধ উপার্জনে হতে হবে। এটা ঘুষের বা সুদের টাকায় হতে পারবে না। যারা ১৫-২০ লাখ টাকার কোরবানি করেন তাদের আয়ের উৎস স্বচ্ছ হতে হবে। যারা এমন কোববানি দিয়েছেন বা দিচ্ছেন তারা ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। আপনি দামি মসজিদ বানালেও সেটা খতিয়ে দেখতে হবে সেখানে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া হয়েছে কি না? মাওলানা কাইয়ুম বলেন মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার শিক্ষা হচ্ছে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই নিজেদের মধ্যে এই আনন্দ উপভোগ করবেন। ধনীরা গরীব আত্মীয়ের বাড়িতে কুরবানির গোস্ত পৌঁছে দিবেন। এর মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে। সম্প্রীতি বাড়বে। তিনি দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা এবং কাশ্মীরসহ বিশ্বের নির্যাতিত সব মানুষের শান্তি ও অধিকার ফিরে পেতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। মোনাজাতে ডেঙ্গুকে মহামারি উল্লেখ করে তিনি এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লোকজনের রুহের মাগফেরাত ও এখনও অসুস্থদের রোগ মুক্তি কামনা করেন।
নামাজ শেষে মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারেও প্রায় অভিন্ন ভাষায় কোরবানির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি এ-ও বলেন খুতবায় সব সময় সব কথা বলা যায় না।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শেষ ঈদ জামাতের খুতবায় কোরবানি ও ইসলাম প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন পঞ্চম জামাতের খতিব আল আজহার একাডেমির প্রিন্সিপাল শায়খুল হাদিস, মুফতি মাওলানা ড. আব্দুল কাইয়ূম আযহারী। বিশ্বনন্দিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে ১৯৭৮ সনে বাংলাদেশ থেকে প্রথম ছাত্র হিসাবে পড়তে যাওয়া ওই আলেমে দ্বীনের মতে সম্পদশালী মুসলিমের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। কিন্তু এটা করার আগে পূর্ণ ঈমান বা বিশ্বাস জরুরি। এতে কোনো ধরনের ঘাটতি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, কোরবানি নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। এটা দুঃখজনক। ইসলামে এসবের কোনো স্থান নেই। আমি বড় কোরবানির বিরুদ্ধে নই, আমার বক্তব্যে ধনাঢ্য সম্প্রদায় কষ্ট পেতে পরেন। ব্যবসায়ীরা মনে করতে পারেন আমি তাদের ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছি। আমি ইসলামের বিধানের কথা বলছি- সাম্য, শান্তি ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের নীতি-বিধান খুবই স্পষ্ট। আপনার কোরবানি অবশ্যই হালাল বা বৈধ উপার্জনে হতে হবে। এটা ঘুষের বা সুদের টাকায় হতে পারবে না। যারা ১৫-২০ লাখ টাকার কোরবানি করেন তাদের আয়ের উৎস স্বচ্ছ হতে হবে। যারা এমন কোববানি দিয়েছেন বা দিচ্ছেন তারা ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। আপনি দামি মসজিদ বানালেও সেটা খতিয়ে দেখতে হবে সেখানে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া হয়েছে কি না? মাওলানা কাইয়ুম বলেন মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার শিক্ষা হচ্ছে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই নিজেদের মধ্যে এই আনন্দ উপভোগ করবেন। ধনীরা গরীব আত্মীয়ের বাড়িতে কুরবানির গোস্ত পৌঁছে দিবেন। এর মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে। সম্প্রীতি বাড়বে। তিনি দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা এবং কাশ্মীরসহ বিশ্বের নির্যাতিত সব মানুষের শান্তি ও অধিকার ফিরে পেতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। মোনাজাতে ডেঙ্গুকে মহামারি উল্লেখ করে তিনি এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লোকজনের রুহের মাগফেরাত ও এখনও অসুস্থদের রোগ মুক্তি কামনা করেন।
নামাজ শেষে মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারেও প্রায় অভিন্ন ভাষায় কোরবানির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি এ-ও বলেন খুতবায় সব সময় সব কথা বলা যায় না।