বাসর রাতে স্বামীর লাশ উদ্ধার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বাসর রাতে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম অজিত বর্মণ (২৬)। অজিত উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের মুজরাই গ্রামের নিরবর্ধন বর্মণের ছেলে। শুক্রবার দিনগত রাত ১টার দিকে বাসরঘরের পেছন থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। এমন মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার অজিত বর্মণের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ফহেতপুর ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ গ্রামের সুধন বর্মণের মেয়ে সানজিদা বর্মণের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার অজিত বর্মণের বাড়িতে বৌ ভাতের অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে কনে ও বর পক্ষের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। বিকালে কনে পক্ষের লোকজন তাদের বাড়িতে ফিরে যান। একপর্যায়ে অজিত বর্মণের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের লোকজন ঘরে ফুলসজ্জার আয়োজন করেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী স্ত্রীকে বাসরঘরে দিয়ে বন্ধু-বান্ধব নিজ নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে প্রতিবেশীরা দেখতে পান অজিত বর্মণ তার বাসরঘরের পেছনে টাঙ্গুয়া হাওরের তীরে করচগাছে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে রয়েছে। পরে চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী লাশ গাছ থেকে নামিয়ে শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে সকালে এসে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। নিহতের নববিবাহিত স্ত্রী সানজিদা বর্মণ জানান, তার স্বামী বাসরঘরে ঢোকার ঘণ্টাখানেক পর প্রকৃতির ঢাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান। প্রায় ১ ঘণ্টার পর পরিবারের লোকজনের কাছে জানতে পারেন তার স্বামী গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, বাসর রাতে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি শুনে গতকাল সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে, ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি পরিষ্কার করে বলা যাবে।