বাংলারজমিন
ঈদে ঘুরে আসতে পারেন কুলাউড়ার পালেরমোড়া
আলাউদ্দিন কবির, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) থেকে
১১ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন
হাকালুকির অপরূপ সৌন্দর্য স্থানীয়, দেশ ও বিদেশিদের মন কাড়ে। সেই সৌন্দর্যের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে নতুন সংযোজন ‘পালেরমোড়া ব্রিজ’। স্থানীয়দের কাছে সেলফি ব্রিজ হিসেবে পরিচিত। ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি তীরবর্তী পালের মোড়া ব্রিজ এলাকা।
স্থানীয় উদ্যমী কিছু ছাত্র-যুবক মিলে সাদামাটা এ ব্রিজসহ সড়কের আশেপাশের এলাকাকে আধুনিকায়ন করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ার কল্যাণে প্রকাশ পায়। ফলে প্রতিদিনই পালেরমোড়ায় ছুটে আসছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার কাদিপুরের শেষ অংশ ও ভুকশিমইলের অগ্রভাগে কুলাউড়া-ভুকশিমইল-বরমচাল সড়কের উপর পালেরমোড়া সেতুর অবস্থান। রেল, সড়ক ও নৌ সব ক্ষেত্রে রয়েছে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু অনেক সম্ভাবনার এই কুলাউড়া উপজেলায় পর্যটকদের আগমন ছিল নামমাত্র। তবে, গত কয়েক বছর ধরে পাল্টে যাচ্ছে কুলাউড়ার দৃশ্যপট। এরকম প্রকৃতিসৃষ্ট নয়নাভিরাম দৃশ্যের সব রকম উপমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুলাউড়া। তাই পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ কুলাউড়ার ‘পালেরমোড়া’। চারপাশে হাওরের অথৈ জলরাশি। জলের ওপর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ। সেই জলরাশির বুক চিরে বেরিয়ে এসেছে কুলাউড়া-ভুকশিমইল-বরমচাল আঞ্চলিক সড়ক। তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে সুদৃশ্য পাকা সেতু। লাল-সাদা রঙে আঁকা সেতুটি দূর থেকে দেখলে মনে হয় বিশালাকারের একটি সামুদ্রিক জাহাজ। সেতুটির একটু আগে রয়েছে নৌকাঘাট।
অথৈ জলরাশি ভেদ করে হরদম সেখানে যাতায়াত করছে ছোট-বড় সাইজের নৌকা। কেউ মাছ ধরার কাজে, কেউবা যাতায়াতের স্বার্থে নৌকাগুলো ব্যবহার করছেন। আবার হাওরের বুক চিরে বের হওয়া সড়কে চলছে শত শত ছোট-বড় গাড়ির বহর। চলতি বর্ষায় ভুকশিমইলে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে এমন সব নয়নাভিরাম দৃশ্য। কুলাউড়া-ভুকশিমইল-বরমচাল সড়ক সংস্কার ও বিভিন্ন কালভার্টের রঙ দেয়ার পর থেকে এই জায়গাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তাই পালেরমোড়া এখন একটি দর্শনীয় স্থান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকার নানা বয়সী যুবক, তরুণরা সময় পার করতে এখানে বেড়াতে আসছেন। কুলাউড়া শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর দিকে অবস্থিত পালেরমোড়া সেতু। অনেকের মতে, সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চেয়ে কোন অংশে কম নয় পালেরমোড়ার দৃশ্য। তাই বর্ষা শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই পালেরমোড়ায় বাড়ছে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়।
পালেরমোড়া ঘাটে দাঁড়িয়ে উত্তর, পূর্ব বা দক্ষিণের যেকোনো দিকে তাকালেই চোখে পড়বে সমুদ্রাকৃতির বিশাল হাওর হাকালুকির মনোরম দৃশ্য। চোখের দৃষ্টিসীমায় হাওরের সীমানা শেষ হবে না। আপাতদৃষ্টিতে অমিল মনে হবে না হাওর আর সমুদ্রের আকার-আকৃতির মধ্যেও। দূরে ঘন-কালো মেঘের মতো দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামগুলোকে মনে হবে একেকটা দ্বীপ। আর এর মধ্য দিয়ে ধারণা পাওয়া যাবে বর্ষায় প্রকৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার নিরন্তর সংগ্রাম সম্পর্কেও। লিলুয়া বাতাসের দিকে একটু কান পাতলে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের গর্জনও শোনা যাবে হামেশাই। পাকা ঘাটের দু’পাশে দাঁড়ালে স্বচ্ছ জলে ভিজে যাবে দুই পা। মন-প্রাণ তখন নেচে উঠবে অপার আনন্দে। মন চাইলে পালেরমোড়া থেকে ভাড়ায় চালিত নৌকা নিয়ে হাওরের মাঝখানেও যাওয়া যায়। কুলহীন হাওরের মাঝখানে গেলে দেখা যায় মাঝিদের মাছ ধরার দৃশ্য। ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুলতে থাকে মাঝিদের ছোট ছোট নৌকা।
হাকালুকি পাড় ঘেঁষা পালেরমোড়া এলাকার আশেপাশে বানের পানি আসায় পরিবেশটা আরো বেশি শান্ত ও মনোরম হয়ে উঠেছে। এছাড়াও এলাকায় মানুষের আগমনকে আরো ত্বরান্বিত করতে স্থানীয়রা পালেরমোড়া কালভার্টের আশেপাশে রঙতুলি, ফুলের গাছ রোপণ, আগত পর্যটকদের বসার জন্য বেঞ্চ তৈরি করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পূর্ণতায় হাকালুকি পাড়ের পালেরমোড়া যেন এক সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি। বর্ষায় স্বচ্ছ জলের সঙ্গে মিতালি গড়ে সড়কে ঘেঁষা বাহারি প্রজাতির বৃক্ষলতার সবুজ গালিচা। হেমন্তে জল-ধুলার এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। শীতে দেশি-বিদেশি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় নির্জন এই জায়গা। দূর থেকে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি দেখলে মনে হয় যেন পানির উপর ভাসছে।
সৌন্দর্যমণ্ডিত এই এলাকায় বৈকালিক আড্ডায় ঘুরতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এমনকি সন্ধ্যা-রাতেও ঘুরতে আসছেন অনেকে। পর্যটকদের এই আসা-যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে এখানে বিভিন্ন দোকানপাট তৈরি হচ্ছে।
পালেরমোড়ার এ অপরূপ সৌন্দর্য বর্ষাতেই বেশি অবলোকন করা যায়। বর্ষার পর শুকনো মৌসুমে হাওরজুড়ে চলে চাষাবাদ। তখন আর অথৈ জলের দেখা মিলে না। চলে না নৌকাও। বর্ষায় ভরা পূর্ণিমার রাতে পালেরমোড়ায় গেলে ফিরে আসতে মন চাইবে না কারও। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ রেল ও সড়কপথে কুলাউড়ায় এসে সিএনজি, টমটম, রিকশা যোগে যেতে পারবেন। কুলাউড়া শহর থেকে ১০০-১২০ টাকা লাগবে।
স্থানীয় উদ্যমী কিছু ছাত্র-যুবক মিলে সাদামাটা এ ব্রিজসহ সড়কের আশেপাশের এলাকাকে আধুনিকায়ন করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ার কল্যাণে প্রকাশ পায়। ফলে প্রতিদিনই পালেরমোড়ায় ছুটে আসছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার কাদিপুরের শেষ অংশ ও ভুকশিমইলের অগ্রভাগে কুলাউড়া-ভুকশিমইল-বরমচাল সড়কের উপর পালেরমোড়া সেতুর অবস্থান। রেল, সড়ক ও নৌ সব ক্ষেত্রে রয়েছে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু অনেক সম্ভাবনার এই কুলাউড়া উপজেলায় পর্যটকদের আগমন ছিল নামমাত্র। তবে, গত কয়েক বছর ধরে পাল্টে যাচ্ছে কুলাউড়ার দৃশ্যপট। এরকম প্রকৃতিসৃষ্ট নয়নাভিরাম দৃশ্যের সব রকম উপমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুলাউড়া। তাই পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ কুলাউড়ার ‘পালেরমোড়া’। চারপাশে হাওরের অথৈ জলরাশি। জলের ওপর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ। সেই জলরাশির বুক চিরে বেরিয়ে এসেছে কুলাউড়া-ভুকশিমইল-বরমচাল আঞ্চলিক সড়ক। তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে সুদৃশ্য পাকা সেতু। লাল-সাদা রঙে আঁকা সেতুটি দূর থেকে দেখলে মনে হয় বিশালাকারের একটি সামুদ্রিক জাহাজ। সেতুটির একটু আগে রয়েছে নৌকাঘাট।
অথৈ জলরাশি ভেদ করে হরদম সেখানে যাতায়াত করছে ছোট-বড় সাইজের নৌকা। কেউ মাছ ধরার কাজে, কেউবা যাতায়াতের স্বার্থে নৌকাগুলো ব্যবহার করছেন। আবার হাওরের বুক চিরে বের হওয়া সড়কে চলছে শত শত ছোট-বড় গাড়ির বহর। চলতি বর্ষায় ভুকশিমইলে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে এমন সব নয়নাভিরাম দৃশ্য। কুলাউড়া-ভুকশিমইল-বরমচাল সড়ক সংস্কার ও বিভিন্ন কালভার্টের রঙ দেয়ার পর থেকে এই জায়গাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তাই পালেরমোড়া এখন একটি দর্শনীয় স্থান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকার নানা বয়সী যুবক, তরুণরা সময় পার করতে এখানে বেড়াতে আসছেন। কুলাউড়া শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর দিকে অবস্থিত পালেরমোড়া সেতু। অনেকের মতে, সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চেয়ে কোন অংশে কম নয় পালেরমোড়ার দৃশ্য। তাই বর্ষা শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই পালেরমোড়ায় বাড়ছে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়।
পালেরমোড়া ঘাটে দাঁড়িয়ে উত্তর, পূর্ব বা দক্ষিণের যেকোনো দিকে তাকালেই চোখে পড়বে সমুদ্রাকৃতির বিশাল হাওর হাকালুকির মনোরম দৃশ্য। চোখের দৃষ্টিসীমায় হাওরের সীমানা শেষ হবে না। আপাতদৃষ্টিতে অমিল মনে হবে না হাওর আর সমুদ্রের আকার-আকৃতির মধ্যেও। দূরে ঘন-কালো মেঘের মতো দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামগুলোকে মনে হবে একেকটা দ্বীপ। আর এর মধ্য দিয়ে ধারণা পাওয়া যাবে বর্ষায় প্রকৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার নিরন্তর সংগ্রাম সম্পর্কেও। লিলুয়া বাতাসের দিকে একটু কান পাতলে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের গর্জনও শোনা যাবে হামেশাই। পাকা ঘাটের দু’পাশে দাঁড়ালে স্বচ্ছ জলে ভিজে যাবে দুই পা। মন-প্রাণ তখন নেচে উঠবে অপার আনন্দে। মন চাইলে পালেরমোড়া থেকে ভাড়ায় চালিত নৌকা নিয়ে হাওরের মাঝখানেও যাওয়া যায়। কুলহীন হাওরের মাঝখানে গেলে দেখা যায় মাঝিদের মাছ ধরার দৃশ্য। ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুলতে থাকে মাঝিদের ছোট ছোট নৌকা।
হাকালুকি পাড় ঘেঁষা পালেরমোড়া এলাকার আশেপাশে বানের পানি আসায় পরিবেশটা আরো বেশি শান্ত ও মনোরম হয়ে উঠেছে। এছাড়াও এলাকায় মানুষের আগমনকে আরো ত্বরান্বিত করতে স্থানীয়রা পালেরমোড়া কালভার্টের আশেপাশে রঙতুলি, ফুলের গাছ রোপণ, আগত পর্যটকদের বসার জন্য বেঞ্চ তৈরি করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পূর্ণতায় হাকালুকি পাড়ের পালেরমোড়া যেন এক সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি। বর্ষায় স্বচ্ছ জলের সঙ্গে মিতালি গড়ে সড়কে ঘেঁষা বাহারি প্রজাতির বৃক্ষলতার সবুজ গালিচা। হেমন্তে জল-ধুলার এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। শীতে দেশি-বিদেশি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় নির্জন এই জায়গা। দূর থেকে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি দেখলে মনে হয় যেন পানির উপর ভাসছে।
সৌন্দর্যমণ্ডিত এই এলাকায় বৈকালিক আড্ডায় ঘুরতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এমনকি সন্ধ্যা-রাতেও ঘুরতে আসছেন অনেকে। পর্যটকদের এই আসা-যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে এখানে বিভিন্ন দোকানপাট তৈরি হচ্ছে।
পালেরমোড়ার এ অপরূপ সৌন্দর্য বর্ষাতেই বেশি অবলোকন করা যায়। বর্ষার পর শুকনো মৌসুমে হাওরজুড়ে চলে চাষাবাদ। তখন আর অথৈ জলের দেখা মিলে না। চলে না নৌকাও। বর্ষায় ভরা পূর্ণিমার রাতে পালেরমোড়ায় গেলে ফিরে আসতে মন চাইবে না কারও। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ রেল ও সড়কপথে কুলাউড়ায় এসে সিএনজি, টমটম, রিকশা যোগে যেতে পারবেন। কুলাউড়া শহর থেকে ১০০-১২০ টাকা লাগবে।