দেশ বিদেশ
পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
১১ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ৮:০৫ পূর্বাহ্ন
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীবাহী বাস ও মানুষের অতিরিক্ত চাপ পড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। ছোট-বড় যানবাহনের দীর্ঘ সারি ১০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। ফলে সকাল থেকেই ফেরি পারাপার হতে গিয়ে ঘাটে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ। রাতে ঘাটে আটকে পড়া যাত্রীবাহী বাসগুলো বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফেরি পার হতে পারেনি।
সরজমিন পাটুরিয়া ঘাটে দেখা গেছে, যাত্রী ভোগান্তির করুণ দৃশ্য। পুরো ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে বিপর্যস্ত পাটুরিয়া এলাকা। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাট থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। এছাড়া প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের সারি প্রায় ৮ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটের ট্রাক টার্মিনালে আটকে আছে ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। সব মিলিয়ে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পর্যন্ত সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে।
সোনার তরী পরিবহনের যাত্রী রাফিকুজ্জামান জিদনি বলেন, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছি। যাবো বরগুনা। রাতভর ঘাটে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হলেও দেখার কেউ নেই। একই বাসের যাত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, এবারের ঈদে দুর্ভোগ অনেক বেশি। ১০ ঘণ্টা পাটুরিয়া ঘাটে বসে আছি, ফেরির কাছেই পৌঁছাতে পারছি না। ঘাট ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। তাই আমরা এমন ভোগান্তিতে পড়েছি।
একই বাসের যাত্রী দীপক গাইন জানান, একদিকে এসি বাসে ৭০০ টাকার ভাড়া ১৩০০ টাকা অপর দিকে ঘাটে সারা রাত বসে থাকতে হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত ফেরির দেখা পাইনি। এর আগে এমন দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আহসান হাবিব জানান, দুর্ভোগ হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এমন দুর্ভোগ এর আগে দেখিনি। প্রায় ৯ ঘণ্টা ঘাটে কাটাতে হয়েছে। দুর্ভোগের পাশাপাশি এখানে খাবারের দাম দ্বিগুণ বেশি নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া টয়লেট ব্যবস্থা না থাকায় পরিবারের সদস্য নিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এদের মতো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী পাটুরিয়া ঘাটে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের সহব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের ছোট-বড় ১৯টি ফেরি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলাচল করছে। সকাল থেকে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ পড়েছে ঘাট এলাকায়। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও ৪ শতাধিক ট্রাকসহ সহস্রাধিক যানবাহন। এ ছাড়া নদীতে স্রোত থাকায় ফেরিগুলো আগের চেয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। ফলে ফেরির টিপ সংখ্যা কমে গেছে। এতে ক্রমেই যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘাট এলাকায়। এদিকে ৩৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হলে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড় সর্বক্ষণই লেগে থাকছে।
সরজমিন পাটুরিয়া ঘাটে দেখা গেছে, যাত্রী ভোগান্তির করুণ দৃশ্য। পুরো ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে বিপর্যস্ত পাটুরিয়া এলাকা। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাট থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। এছাড়া প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের সারি প্রায় ৮ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটের ট্রাক টার্মিনালে আটকে আছে ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। সব মিলিয়ে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পর্যন্ত সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে।
সোনার তরী পরিবহনের যাত্রী রাফিকুজ্জামান জিদনি বলেন, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছি। যাবো বরগুনা। রাতভর ঘাটে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হলেও দেখার কেউ নেই। একই বাসের যাত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, এবারের ঈদে দুর্ভোগ অনেক বেশি। ১০ ঘণ্টা পাটুরিয়া ঘাটে বসে আছি, ফেরির কাছেই পৌঁছাতে পারছি না। ঘাট ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। তাই আমরা এমন ভোগান্তিতে পড়েছি।
একই বাসের যাত্রী দীপক গাইন জানান, একদিকে এসি বাসে ৭০০ টাকার ভাড়া ১৩০০ টাকা অপর দিকে ঘাটে সারা রাত বসে থাকতে হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত ফেরির দেখা পাইনি। এর আগে এমন দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আহসান হাবিব জানান, দুর্ভোগ হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এমন দুর্ভোগ এর আগে দেখিনি। প্রায় ৯ ঘণ্টা ঘাটে কাটাতে হয়েছে। দুর্ভোগের পাশাপাশি এখানে খাবারের দাম দ্বিগুণ বেশি নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া টয়লেট ব্যবস্থা না থাকায় পরিবারের সদস্য নিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এদের মতো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী পাটুরিয়া ঘাটে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের সহব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের ছোট-বড় ১৯টি ফেরি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলাচল করছে। সকাল থেকে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ পড়েছে ঘাট এলাকায়। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও ৪ শতাধিক ট্রাকসহ সহস্রাধিক যানবাহন। এ ছাড়া নদীতে স্রোত থাকায় ফেরিগুলো আগের চেয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। ফলে ফেরির টিপ সংখ্যা কমে গেছে। এতে ক্রমেই যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘাট এলাকায়। এদিকে ৩৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হলে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড় সর্বক্ষণই লেগে থাকছে।