বাংলারজমিন
কাশ্মীরে ভারতীয় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১০ আগস্ট ২০১৯, শনিবার, ৮:১০ পূর্বাহ্ন
কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুক্রবার বাদ জুমআ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার। এতে অন্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নোমান আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মো. রুকন উদ্দিন, ইশা ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এমদাদুল্লাহ, ইসলামী যুব আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারী মাওলানা জাকির হোসাইন, সাবেক ছাত্র নেতা মাওলানা নাজিমুদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে কোন মুসলমান নিশ্চুপ থাকতে পারে না। সে পৃথিবীর যে প্রান্তের অধিবাসীই হোক না কেন। পরাধীনতার যে কি যাতনা, তা আমরা জানি। আগ্রাসী শক্তির অত্যাচারের বেদনা আমরা বুঝি। ‘৭১ পূর্ব হানাদার বাহিনী কর্তৃক হত্যা, ধর্ষণের শিকার আমরা হয়েছি। সেখান থেকেই আমরা পৃথিবীর সকল নিপীড়ন-নিষ্পেষণের বিরোধিতা করি। ‘৭১ এর চেতনাই আমাদেরকে কাশ্মিরীদের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে। সেই চেতনা থেকেই আমরা কাশ্মীরের স্বাধীনতা চেয়ে রাজপথে বিক্ষোভ করছি। বক্তারা আরো বলেন, কাশ্মীর সঙ্কট শুধু কাশ্মীরেরই নয়, এ সঙ্কট বাংলাদেশেরও। এজন্য বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিবাদমুখর হতে হবে। পাকিস্তানীরা যেভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, অনুরূপভাবে কাশ্মীরীদের অধিকারও মোদি সরকার কেড়ে নিয়েছে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, স্কুল-কলেজ বন্ধ এমনকি ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে কাশ্মীরের মুসলিম রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার, গৃহবন্দি, সৈন্য সমাবেশের মাধ্যমে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। সেখানে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্বনেতাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে দলীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক তৌহিদী জনতা অংশ নেন।