বিশ্বজমিন
সন্ত্রাসমুক্ত হবে জম্মু-কাশ্মীর: মোদি
মানবজমিন ডেস্ক
১০ আগস্ট ২০১৯, শনিবার, ৮:০৬ পূর্বাহ্ন
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে সন্ত্রাসমুক্ত হবে জম্মু ও কাশ্মীর। ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসবে সেখানে। ভোট হবে, কাশ্মীরের জনগণ নিজেরাই তাদের বিধায়ক নির্বাচিত করবেন। নতুন করে উন্নয়ন হবে রাজ্যের। বৃহস্পতিবার কাশ্মীর ইস্যুতে দেয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার পর এই প্রথম রাজ্যটি নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। ৩৭০ ধারা রদের ফলে ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ সুবিধাও হারিয়েছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার সেনা। পুরো অঞ্চল অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। জারি করা হয়েছে কারফিউ। প্রায় বন্দিদশায় দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এর মধ্যে সেখানে ইতিবাচকতার ভাষণ রাখলেন মোদি। মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বলেছে, রাজ্যটিকে ভেঙে আলাদা দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হবে। রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে তৈরি হচ্ছে আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
বৃহস্পতিবারের ভাষণে মোদি বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের যুব সম্প্রদায় অনেক এগিয়ে যাবে। এর ফলে খেলার দুনিয়ায় কাশ্মীরের যুবকরা দেশের মান আরো বাড়াতে পারবে। খেলাধুলায় প্রভূত উন্নতি হবে, সারা বিশ্বে তাদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবে। মোদি বলেন, বলিউড, তেলুগু, তামিল সিনেমার লোকজনকে আর্জি জানাবো, ফের কাশ্মীরে শুটিংয়ে আসতে। এবার নতুন ব্যবস্থাপনায় সেই অবস্থা আবার ফিরে আসবে। এতদিন অশান্তির জন্য সেটা বন্ধ ছিল। কিন্তু একটা সময় ছিল, সিনেমার শুটিংয়ের জন্য জম্মু-কাশ্মীরই ছিল অন্যতম গন্তব্য।
কাশ্মীরের অবরুদ্ধ অবস্থা নিয়েও কথা বলেন মোদি। জানান, ঈদের আগেই রাজ্যের বাইরে থাকা কাশ্মীরিরা ঘরে ফিরতে পারবে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে পারবে। সরকার থেকে এজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে সব ধরনের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় পরিবারের খোঁজ নিতে পারছেন না রাজ্যের বাইরে থাকা কাশ্মীরিরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকে। সোমবার সেখানে ঈদ উদ্যাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ধারণা করা হচ্ছে, ঈদের সময় কারফিউ থাকলে তা কাশ্মীরিদের মনে বড় ধরনের ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে।
তার বক্তব্যে কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্র অত্যন্ত দৃঢ়। কিন্তু দশকজুড়ে হাজারো, লাখো কাশ্মীরি লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিলেও বিধানসভাসহ আঞ্চলিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারতেন না, নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। অন্যান্য এলাকায় তো এমন হয় না। তাহলে এখানে এভাবে অন্যায়ের মধ্যে থাকবে তারা?
কাশ্মীরিদের উদ্দেশে মোদি বলেন, আপনাদের জনপ্রতিনিধি আপনাদের মধ্যে থেকেই আসবে। যেমন আগে মুখ্যমন্ত্রী হতো সামনেও এমন হবে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা সবাই মিলে সন্ত্রাসবাদ থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করবো, আমার বিশ্বাস।
বক্তব্যে মোদি জম্মু-কাশ্মীরকে সেরা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি লাদাখে আবিষ্কৃত নতুন ভেষজ নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই গাছ উচ্চ অক্ষাংশে থাকা মানুষের জন্য সঞ্জীবনী সুধার মতো। লাদাখে এক ধরনের গাছ আবিষ্কার হয়েছে, এর ভেষজ ঔষধি ও সবজি সারা বিশ্বে পৌঁছে দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আশ্বস্ত করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার আপনাদের খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠিত হবে। এই নতুন ব্যবস্থায় আমরা সবাই মিলে জম্মু-কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করবো। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে একটা কথা বলতে চাই, আপনাদের দ্বারাই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। আগে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ কোনো অধিকার, কোনো সুবিধা পেতেন না। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকে ভারতে যারা এসেছিলেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে তাদের সব অধিকার রয়েছে। সড়ক বা রেললাইনের কাজ হোক, সব কাজে গতি আসবে। এখানে দুর্নীতি দমন বিভাগ তৈরি হবে। আইআইটি, আইআইএম এই সব প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে। মোদি আরো জানান, স্থানীয় কাশ্মীরি যুবকদের চাকরির জন্য সরকার উদ্যোগ নেবে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এখানকার যুবকদের চাকরির বন্দোবস্ত করার জন্য বলা হবে। শূন্য পদগুলোতে খুব শিগগিরই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মতো বহু সুবিধা এখানকার মানুষ পাবেন।
বৃহস্পতিবারের ভাষণে মোদি বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের যুব সম্প্রদায় অনেক এগিয়ে যাবে। এর ফলে খেলার দুনিয়ায় কাশ্মীরের যুবকরা দেশের মান আরো বাড়াতে পারবে। খেলাধুলায় প্রভূত উন্নতি হবে, সারা বিশ্বে তাদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবে। মোদি বলেন, বলিউড, তেলুগু, তামিল সিনেমার লোকজনকে আর্জি জানাবো, ফের কাশ্মীরে শুটিংয়ে আসতে। এবার নতুন ব্যবস্থাপনায় সেই অবস্থা আবার ফিরে আসবে। এতদিন অশান্তির জন্য সেটা বন্ধ ছিল। কিন্তু একটা সময় ছিল, সিনেমার শুটিংয়ের জন্য জম্মু-কাশ্মীরই ছিল অন্যতম গন্তব্য।
কাশ্মীরের অবরুদ্ধ অবস্থা নিয়েও কথা বলেন মোদি। জানান, ঈদের আগেই রাজ্যের বাইরে থাকা কাশ্মীরিরা ঘরে ফিরতে পারবে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে পারবে। সরকার থেকে এজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে সব ধরনের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় পরিবারের খোঁজ নিতে পারছেন না রাজ্যের বাইরে থাকা কাশ্মীরিরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকে। সোমবার সেখানে ঈদ উদ্যাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ধারণা করা হচ্ছে, ঈদের সময় কারফিউ থাকলে তা কাশ্মীরিদের মনে বড় ধরনের ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে।
তার বক্তব্যে কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্র অত্যন্ত দৃঢ়। কিন্তু দশকজুড়ে হাজারো, লাখো কাশ্মীরি লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিলেও বিধানসভাসহ আঞ্চলিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারতেন না, নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। অন্যান্য এলাকায় তো এমন হয় না। তাহলে এখানে এভাবে অন্যায়ের মধ্যে থাকবে তারা?
কাশ্মীরিদের উদ্দেশে মোদি বলেন, আপনাদের জনপ্রতিনিধি আপনাদের মধ্যে থেকেই আসবে। যেমন আগে মুখ্যমন্ত্রী হতো সামনেও এমন হবে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা সবাই মিলে সন্ত্রাসবাদ থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করবো, আমার বিশ্বাস।
বক্তব্যে মোদি জম্মু-কাশ্মীরকে সেরা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি লাদাখে আবিষ্কৃত নতুন ভেষজ নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই গাছ উচ্চ অক্ষাংশে থাকা মানুষের জন্য সঞ্জীবনী সুধার মতো। লাদাখে এক ধরনের গাছ আবিষ্কার হয়েছে, এর ভেষজ ঔষধি ও সবজি সারা বিশ্বে পৌঁছে দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আশ্বস্ত করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার আপনাদের খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠিত হবে। এই নতুন ব্যবস্থায় আমরা সবাই মিলে জম্মু-কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করবো। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে একটা কথা বলতে চাই, আপনাদের দ্বারাই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। আগে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ কোনো অধিকার, কোনো সুবিধা পেতেন না। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকে ভারতে যারা এসেছিলেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে তাদের সব অধিকার রয়েছে। সড়ক বা রেললাইনের কাজ হোক, সব কাজে গতি আসবে। এখানে দুর্নীতি দমন বিভাগ তৈরি হবে। আইআইটি, আইআইএম এই সব প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে। মোদি আরো জানান, স্থানীয় কাশ্মীরি যুবকদের চাকরির জন্য সরকার উদ্যোগ নেবে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এখানকার যুবকদের চাকরির বন্দোবস্ত করার জন্য বলা হবে। শূন্য পদগুলোতে খুব শিগগিরই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মতো বহু সুবিধা এখানকার মানুষ পাবেন।