এক্সক্লুসিভ
নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ, ইমাম ও তার পাঁচ সহযোগী ৫ দিনের রিমান্ডে
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৯ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জে ঝাড়ফুঁকের জন্য মসজিদে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসাপড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সেই ইমাম ও তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। দুপুরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ইমাম ফজলুর রহমানসহ তার সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তারকৃত ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলাম নগরের চাঁদমারী এলাকার বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদের ইমাম। ওই ঘটনায় তার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলো- রমজান আলী, গিয়াস উদ্দিন, হাবিব এ এলাহী, মোতাহার হোসেন ও শরিফ হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আবদুল হাই বলেন, শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, মামলা দায়েরর পর গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গত ৫ই আগস্ট ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা এবং একই এলাকার একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ঝাড়ফুঁকের জন্য মাদ্রাসায় ডেকে নেয় ইমাম ফজলুর রহমান। পরে শিশুটির বাবাকে মোম-ও আগরবাতি আনতে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে মসজিদের তৃতীয় তলায় নিজের রুমে নিয়ে যায় শিশুটিকে। এরপর ফজলুর রহমান শিশু মেয়েটিকে হাত বেঁধে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আলামত নষ্ট করতে নিজেই পানি দিয়ে শিশুটির জখম ধুয়ে দেয়। পরে শিশুটির গলায় ছোরা ধরে এ কথা কাউকে না বলতে শাসিয়ে দেয়। এ কথা কাউকে জানালে জবাই করে হত্যারও হুমকি দেয়া হয় ধর্ষিতা শিশুটিকে। ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে ধর্ষিতা শিশু কন্যাকে হাসপাতাল থেকে অপহরণের চেষ্টা চালায় ইমাম ফজলুর রহমানের ৫ সহযোগী। ৬ই আগস্ট রাতে একপর্যায়ে শিশুটির বাবা হাসপাতালের এক নার্স এর কাছ থেকে একটি বোরকা চেয়ে নিয়ে পরে র্যাব-১১’র আদমজীস্থ অফিসে এসে অভিযোগ দেয়। পরে বুধবার ভোরে মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ইমাম ফজলুর রহমান ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আবদুল হাই বলেন, শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, মামলা দায়েরর পর গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গত ৫ই আগস্ট ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা এবং একই এলাকার একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ঝাড়ফুঁকের জন্য মাদ্রাসায় ডেকে নেয় ইমাম ফজলুর রহমান। পরে শিশুটির বাবাকে মোম-ও আগরবাতি আনতে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে মসজিদের তৃতীয় তলায় নিজের রুমে নিয়ে যায় শিশুটিকে। এরপর ফজলুর রহমান শিশু মেয়েটিকে হাত বেঁধে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আলামত নষ্ট করতে নিজেই পানি দিয়ে শিশুটির জখম ধুয়ে দেয়। পরে শিশুটির গলায় ছোরা ধরে এ কথা কাউকে না বলতে শাসিয়ে দেয়। এ কথা কাউকে জানালে জবাই করে হত্যারও হুমকি দেয়া হয় ধর্ষিতা শিশুটিকে। ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে ধর্ষিতা শিশু কন্যাকে হাসপাতাল থেকে অপহরণের চেষ্টা চালায় ইমাম ফজলুর রহমানের ৫ সহযোগী। ৬ই আগস্ট রাতে একপর্যায়ে শিশুটির বাবা হাসপাতালের এক নার্স এর কাছ থেকে একটি বোরকা চেয়ে নিয়ে পরে র্যাব-১১’র আদমজীস্থ অফিসে এসে অভিযোগ দেয়। পরে বুধবার ভোরে মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ইমাম ফজলুর রহমান ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।