এক্সক্লুসিভ

কোরবানি হাটের খবর

৯ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন

মাগুরায় জমে উঠেছে পশুর হাট
এস আলম তুহিন, মাগুরা থেকে: আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাগুরায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশু কোরবানির হাট। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে জেলার প্রতিটি পশু খামারি ভালো ও উন্নত মানের পশু হাটে তুলছেন। ঈদের আর মাত্র কয়েকদির বাকি। এরই মধ্যে অনেকেই পশু ক্রয় করেছেন। আবার অনেকেই ভালো পশু কেনার জন্য ছুটছেন এক হাট থেকে অন্য হাটে।

প্রতিটি হাটে উঠছে ছোট-বড় মাঝারি সাইজের হাজার-হাজার গরু। তবে দাম নিয়ে খুশি নয় কোনো পক্ষই। ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি। বিক্রেতা ও খামারিরা বলছেন, ভারত থেকে গরু আসায় তারা উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না। যে কারণে লোকষানের মুখে পড়েছেন তারা। তবে স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যাপারীদের কাছে চাহিদার সৃষ্টি করেছে গৃহস্থদের পালিত স্বাস্থ্যসম্মত দেশীয় জাতের গরু। যা স্থানীয় পশু হাটগুলোতে সবার কাছে ‘টাইট গরু’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় বসেছে গরুর হাট। তবে সদরের রামনগর, কাটাখালী, ইটখোলা বাজার, আলমখালী, শত্রুজিৎপুর, মহম্মদপুরের বেথুলিয়া, বেথুলিয়া, নহাটা, শালিখার আড়পাড়া, সীমাখালী, বুনাগাতী ও শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাধ, সারঙ্গদিয়ায় বসেছে জেলার বড় কোরবানির গরুর হাট। এসব হাটে উঠেছে ছোট-বড় সাইজের বিভিন্ন জাতের হাজার-হাজার গরু। সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি ব্যাপারীদের নজর কেড়েছে গৃহস্থদের পালিত মাঝারি সাইজের কেমিক্যাল মুক্ত দেশীয় গরু। মাগুরার পশু হাটগুলো যা পরিচিতি পেয়েছে টাইট গরু হিসেবে।

রামনগর, কাটাখালী, ইটখোলা বাজার পশু হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে থাকা এ ধরনের টাইট গরু ৭০ থেকে ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির জন্য কিনতে আসা অধিকাংশ ক্রেতাকেই দেখা গেছে এ ধরনের গরু কিনে বাড়ি ফিরতে।
মাগুরা হাসপাতাল পাড়া এলাকার আকিদুল ইসলাম জানান, তিনি আলোকদিয়ার হাট থেকে ৭০ হাজার টাকায় গৃহস্থের পালিত একটি টাইট গরু কিনেছেন। দাম একটু বেশি মনে হলেও কেমিক্যাল মুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত গরু কিনতে পেরে তিনি খুশি। জগদল এলাকা সাইফুল ইসলাম জানান, তার পালিত মাঝারি সাইজের দুইটি টাইট গরু কাটাখালী হাটে এনে প্রথমদিনেই বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে গরুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় তিনি বেশি লাভ করতে পারেন নি বলে জানান।

সাইদুর রহমান নামে এক ব্যাপারী বলেন, বাইরের জেলাগুলোতে মাগুরার কেমিক্যাল মুক্ত মাঝারি সাইজের গরুর ব্যাপক চাহিদা। তিনি কাটাখালী রামনগর হাট থেকে এ ধরনের ২০টি গরু কিনেছেন। যা সিলেট নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে জানান।
তবে হাটগুলোতে বড় সাইজের গরু নিয়ে আসা খামারিরা পড়েছেন বিপাকে। বেশি দামের অজুহাতে ক্রেতারা এ ধরনের বড় গরুর কাছে ভিড়ছেন না। খামারিরা বলছেন, ভারত থেকে গরু আসায় তারা বিপাকে পড়েছেন। কারণ খাবারের উচ্চ মূল্যের কারণে গরু প্রস্তুত করতে তাদের যে খরচ হয়েছে সে দামে গরু বিক্রি হচ্ছে না।

শৈলকুপা থেকে আসা খামারি আবুল হোসেন জানান, তিনি হাটে বড় সাইজের চারটি গরু এনেছেন। প্রতিটি গরু দুই লাখের উপরে দাম চেয়েছেন। ক্রেতারা একটির দাম ৯৬ হাজার ও অপরটির দাম দিয়েছে একলাখ ১০ হাজার টাকা। খারারসহ উপকরণের উচ্চ মূল্যর কারণে দেড় লাখের নিচে বেচলে তার খরচের টাকা উঠবে না।

আবুল কালাম নামে অপর খামারি জানান, কোরবানি সামনে রেখে বড় সাইজের ২০টি গরু প্রস্তুত করেছেন। ছোট গরুর চাহিদা থাকলেও কোনো হাটেই ক্রেতারা তার বড় গরুর উপযুক্ত দাম বলছে না। সব ক্রেতা-বিক্রেতায় মাঝারি সাইজের টাইট গরুর দিকে ছুটছেন। যে কারণে তাকে ব্যাপক লোকষানের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় গরু আমদানির ফলে দেশীয় খামারিরা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

সদরের রামনগর, কাটাখালী হাট ইজারাদার নূরে আলম সিদ্দিকী দিপু জানান, বর্তমানে হাটে ভালো উন্নত জাতের স্বাস্থ্যসম্মত গরু ৬০-৭০ হাজার টাকা দামে দেশীয় গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের গরুর চাহিদা কম। তবে ঈদের আগে দিন শেষ হাটে সব ধরনের গরু কেনার চাহিদা বাড়বে। বিক্রিও আরো জমজমাট হবে বলে তিনি আশা করছেন। প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতায় মাগুরা বিভিন্ন হাটে দালাল, পকেটমারদের আনাগোনা কম রয়েছে। পাশাপাশি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বিভিন্ন হাটে স্বাস্থ্যসম্মত পশু রয়েছে কি না তা তদারক করছেন।

চট্টগ্রামে এখনো জমেনি হাট
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে: কোরবানির বাকি আর মাত্র তিনদিন। অথচ এখনো জমেই উঠেনি চট্টগ্রামের পশুর হাটগুলো। হাটে সারি সারি পশু দেখা গেলেও বেচা-বিক্রি নেই। ফলে হতাশ ব্যাপারী ও হাটের ইজারাদাররা। তবে শুক্রবার থেকে পশুর হাট জমে ওঠার আশায় রয়েছেন তারা।

নগরীর সর্ববৃহৎ সাগরিকা গরুর বাজারের হাসিল কর্মী আনোয়ার বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, হাতে সময় আছে মাত্র তিনদিন। অথচ হাটে এখনো বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি গরু বিক্রি হচ্ছে মাত্র। প্রতিবছর চাঁদ দেখার শুরু থেকে এর চেয়ে অনেক বেশি গরু বিক্রি হতো বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা থেকে আসা খামারি দুলাল সওদাগর বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে চট্টগ্রামের সাগরিকা গরুর বাজারে কোরবানির গরু বিক্রি করছি। আগে আমরা এক সপ্তাহ আগে এসেও বাজারে জায়গা পেতাম না। এবার ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন। এখনো বাজারে বিক্রি শুরুই হয়নি।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার খামারি আমিরুল ইসলাম এবারই প্রথম গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন। সঙ্গে এনেছেন ১২টি গরু। বাকি আরো ১৫ গরু খামারে রেখে আসতে হয়েছে। কারণ বাজারে গরু রাখার মতো জায়গা নেই।
তিনি বলেন, বাজারে প্রচুর গরু, কিন্তু বিক্রি নেই। তাই নতুন গরু আনার কোনো সুযোগ নেই। শেষদিকে বিক্রি শুরু হলেও নতুন করে ফার্ম থেকে গরু আনা সমস্যা হয়ে যাবে।

সাগরিকা বাজারের সবচেয়ে বড় গরুগুলো আসে কুষ্টিয়া থেকে। তাই বাজারের একটি অংশে গড়ে উঠেছে কুষ্টিয়া মার্কেট।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জমির উদ্দিন সাগরিকা হাটে এসেছেন বাবার সঙ্গে গরু নিয়ে। তিনি জানান, পাঁচটি গরু নিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম এলেও এখনো একটি গরুও বিক্রি হয়নি। সবাই গরু নিয়ে এসেছেন শুধু তা নয়, সুদূর যশোর থেকে ১৫০টি ছাগল নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছেন রফিকুল। তিনি বলেন, আমার কাছে বিভিন্ন সাইজের ছাগল আছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ৮ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ছাগল পাওয়া যাবে। স্থানীয় বাজার থেকে কিনে ছাগল নিয়ে আমরা ১১ জন চট্টগ্রামে এসেছি। বেশকিছু বিক্রিও হয়েছে।

সাগরিকা গবাদিপশু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. অলিউল্লাহ বলেন, এখন যারা বাজারে এসেছেন তারা মূলত সবাই ব্যাপারী। চট্টগ্রামের স্থানীয় খামারিরা ঈদের দুই তিন দিন আগে বাজারে আসেন। ক্রেতারাও তাদের অপেক্ষায় আছেন। দেশি গরু বাজারে উঠলে জমবে পশুর হাট। বেচা-বিক্রিও বাড়বে। শুক্রবার-শনিবার পুরোপুরি ভাবে মানুষ বাজারমুখী হবেন।
নগরের বিবিরহাট গরুর বাজারের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম বলেন, হাটে এখনো ক্রেতাদের তেমন কোনো আনাগোনা নেই। কারণ চট্টগ্রাম শহরে গরু রাখার জায়গা নেই। তাই আগে-ভাগে গরু না কিনে ক্রেতারা ঈদের দুই-একদিন আগে গরু কিনবেন। সে কারণে হয়তো হাটে এখনো বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। তবে শুক্রবার থেকে বেচাকেনা হবে বলে আশা করেন তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবার তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি আরো ছয়টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ছয়টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে রয়েছে স্টিল মিল পশুর বাজার, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পশুর বাজার, কমল মহাজন হাট পশুর বাজার, বাকলিয়ার কর্ণফুলী পশুর বাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন বাজার এবং পতেঙ্গার প্রজাপতি পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের মাঠ। স্থায়ী তিন পশুর হাট হচ্ছে সাগরিকা গরুর বাজার, বিবিরহাট গরুর বাজার ও পোস্তারপাড় ছাগল বাজার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাগরিকা ও বিবিরহাট গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন প্রান্তে বেঁধে রাখা হয়েছে হাজার হাজার গরু। এদের অধিকাংশই গরু নিয়ে এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ব্যাপারীরা হাট পেরিয়ে বাজারের আশপাশ ভরিয়ে তুলেছেন গরুতে। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। যে কয়েকজন আসছেন তারা দাম দেখেই যাচ্ছেন, কিনছেন না। অনেকে হাটে এসেছেন উৎসুক জনতা হয়ে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জানান, চট্টগ্রাম জেলায় এবার ৬৩টি স্থায়ী এবং ১৪৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে ২ লাখের বেশি পশু চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। তাই এবার চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর ঘাটতি নেই।

দৌলতপুরে জমে উঠেছে হাট
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: আর মাত্র দু’দিন পরই ঈদ। তাই ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পশু হাটগুলো। প্রতিটি হাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। এবার সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুরের বিভিন্ন পশুহাটে ভারতীয় গরুর আমদানি না থাকলেও দেশি গরুর আমদানি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেই সঙ্গে পশুর দাম নিয়েও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারপরও পছন্দের পশুটি ক্রয় করতে পেরে যেমন খুশি ক্রেতারা তেমনি বিক্রয় করতে পেরেও বিক্রেতারা খুশি। তবে পশুর খাদ্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বাড়িতে পশু পালন করা কৃষকরা তাদের পশুর দাম হাঁকলেও ক্রেতারা সেটাকে মনে করছেন অনেক বেশি। ইব্রাহিম ম-ল নামে কোরবানির পশু ক্রেতা জানান, হাটে দেশি গরুর আমদানি বেশি হলেও তারা দাম হাঁকাচ্ছেন আকাশ ছোঁয়া। রুবেল ইসলাম নামে পশু বিক্রেতা জানান, হাটে বেশি পশু উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। ঈদের এখনো কয়েকদিন সময় আছে। হয়তো কয়েক হাট ঘুরে দেখে শুনে তাদের পছন্দের পশুটি ক্রয় করবেন তারা।

অপরদিকে বিভিন্ন পশু হাটে অসুস্থ কোরবানির গরু বা মহিষ বা ছাগল ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে কি না তার তদারকিসহ পশুর চিকিৎসা সেবা, জনসেচেতনতামূলক বিভিন্ন পরামর্শ ও তদারকি করছেন দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম।

শেরপুরে স্কুল মাঠে গরুর হাট
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুসজ্জিত ঘেরা মাঠের গেট খুলে সপ্তাহব্যাপী বসানো হয়েছে বিরাট গরু-ছাগলের হাট। হাটে আসা ব্যাপারি আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল ঘরের কোণে ছাতার আড়ালে ত্যাগ করছেন মলমুত্র। এ কারণে প্রচ- দুর্গন্ধে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে স্কুল মাঠে লাাগনো হাটের গরু-ছাগলের মলমুত্রের কারণে খোলা মাঠে পা- ফেলানোর সুযোগ নাই। জামাইল হাটের ইজারাদার ফরিদ হোসেন ঠা-ু জানান, গরু-ছাগলের হাট লাগানোর জায়গা না থাকায় স্কুল মাঠে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত হাট বসানো হয়েছে। সেজন্য গোটা স্কুলমাঠ ছমিয়ানা দিয়ে টানানো হয়েছে। মাঝে গরু-ছাগলের জন্য বাঁশের বেড়ার লাইন করা হয়েছে। স্কুল মাঠে হাট লাগানোর সরকারি বিধিবিধান আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটি মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। স্কুলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, হাট শেষে স্কুল মাঠ ব্লিসিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে স্কুল মাঠের ভেতরে গরু-ছাগলের হাট বসানোর মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান। শেরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. কাইয়ুম জানান, শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রেখে শুধুমাত্র ৬ই আগস্ট থেকে কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছিল।

সেখানে ছামিয়ানা দেয়ার অনুমতি নাই। দেশে এডিস মশার বংশ রোধ কল্পে সরকারের পক্ষ থেকে যখন ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য পত্র দেয়া হয়েছে বিদ্যালয় মাঠ পরিষ্কার রাখার জন্য। ঠিক সেই মুহূর্তে শেরপুরের জামাইল বাউন্ডারি ঘেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মানুষ আর প্রাণি একসঙ্গে মলমুত্র ত্যাগ করছেন খোলা মাঠে। স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শামীমা বেগম জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ম ও ২য় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশ বিজ্ঞান আর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা নাগাদ ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ বিজ্ঞান পরীক্ষা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই ছাত্ররা খাতা জমা দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় অভিভাবকরা জানায়, জামাইল হাটের জন্য নির্ধারিত স্থান আছে। ইজারাদার ফরিদ উদ্দিন ঠা-ু সেখানে হাট বসালে জোরপূর্বক টোল আদায় করতে পারবেন না বলে বাউন্ডারি ঘেরা মাঠে সপ্তাহব্যাপী পশুর হাট বসানো হয়েছে। এতে করে জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য আমাদের করণীয় কিছু নাই। আমরা সেখানে জিম্মি হয়ে চাকরি আমাদের প্রতিবাদ করে লাভ নাই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status