বিশ্বজমিন
কাশ্মীরে দফায় দফায় বিক্ষোভ গণগ্রেপ্তার, নিহত ১
মানবজমিন ডেস্ক
৮ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে কাশ্মীরে। ল্যান্ডলাইন, মোবাইল, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড ও ক্যাবল পরিষেবা বন্ধ থাকায় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে অঞ্চলটি। ফলে বিক্ষোভের প্রকৃত চিত্র এখনো তুলে ধরতে পারেনি কোনো গণমাধ্যম। তবে শ্রীনগর থেকে খবর আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার। আর তাতেই ধারণা করা হচ্ছে, এই উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন হলেও কাশ্মীরে বিক্ষোভের আশঙ্কা আগে থেকেই করা হচ্ছিল। সোমবার থেকেই জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তা ভেঙেই বুধবার শ্রীনগরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে যোগ দেন সাধারণ কাশ্মীরি নাগরিকরা। এতে পুলিশের হামলার ঘটনাও ঘটে। আনন্দবাজার জানিয়েছে, সেখান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে শতাধিক আন্দোলনকারীকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও। এর মধ্যে অনেকেই আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।
এর আগে, মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদকে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরবাসী। কিন্তু সকলেই যে খুশি নয় তা আঁচ করা গিয়েছিল আগেই। তার প্রমাণ মিললো বুধবার যখন ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় শ্রীনগরে। এদিন পুলিশ-সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে একাধিক দলের।
কাশ্মীর ফুঁসছে, শিগগিরই বিস্ফোরিত হবে: নিরাপত্তা কর্মকর্তা
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, একটি দলের সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। তার মধ্যেই একজনকে তাড়া করে পুলিশ। সেই তাড়া খেয়েই ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সংঘর্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হাসপাতালে অন্তত ৬ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানি কাশ্মীর ফুঁসছে, কিন্তু এটি শিগগিরই বিস্ফোরিত হবে। আমরা শুধু জানি না কখন।
এদিকে বিবিসি হিন্দির এক সাংবাদিক কাশ্মীর থেকে কিছু খবর পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন। আমীর পীরজাদা নামের ওই সাংবাদিক টেলিফোনে জানান, কাশ্মীর এখন ক্রোধে ফুটছে। তিনিও শ্রীনগরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে সরকারিভাবে এসব খবরের কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায় নি। আমীর পীরজাদা আরো জানিয়েছেন, আমরা শ্রীনগরে আছি, কিন্তু কাশ্মীরের অন্য জায়গায় কী হচ্ছে তা জানার কোনো উপায় নেই। কারণ কোনো যোগাযোগ নেই। বিপুল পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন হয়েছে এবং তারা সবকিছু চেক করছে। পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে কে কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে সবকিছু চেক করছে।
বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, কাশ্মীরের মানুষজন এখনো নিশ্চিত না ঠিক কী হয়েছে। তারা আতঙ্কিত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে। সামনে ঈদ আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঈদ উপলক্ষে কারফিউ তুলে নেবে ভারত সরকার। উৎসবের সময় তখন কী অবস্থা হতে পারে তা আঁচ করা যাচ্ছে না।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, বুধবারও শ্রীনগর জম্মু-কাশ্মীর সচিবালয়ে জাতীয় পতাকা এবং কাশ্মীরের পতাকা পাশাপাশি উড়তে দেখা যায়। এতদিন পর্যন্ত ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকা ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা পতাকা ছিল। কিন্তু ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে ভূস্বর্গের জন্য আলাদা আর কোনো পতাকা থাকার কথা নয়।
বিচ্ছিন্ন হলেও কাশ্মীরে বিক্ষোভের আশঙ্কা আগে থেকেই করা হচ্ছিল। সোমবার থেকেই জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তা ভেঙেই বুধবার শ্রীনগরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে যোগ দেন সাধারণ কাশ্মীরি নাগরিকরা। এতে পুলিশের হামলার ঘটনাও ঘটে। আনন্দবাজার জানিয়েছে, সেখান থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে শতাধিক আন্দোলনকারীকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও। এর মধ্যে অনেকেই আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।
এর আগে, মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদকে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরবাসী। কিন্তু সকলেই যে খুশি নয় তা আঁচ করা গিয়েছিল আগেই। তার প্রমাণ মিললো বুধবার যখন ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় শ্রীনগরে। এদিন পুলিশ-সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে একাধিক দলের।
কাশ্মীর ফুঁসছে, শিগগিরই বিস্ফোরিত হবে: নিরাপত্তা কর্মকর্তা
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, একটি দলের সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। তার মধ্যেই একজনকে তাড়া করে পুলিশ। সেই তাড়া খেয়েই ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সংঘর্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হাসপাতালে অন্তত ৬ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানি কাশ্মীর ফুঁসছে, কিন্তু এটি শিগগিরই বিস্ফোরিত হবে। আমরা শুধু জানি না কখন।
এদিকে বিবিসি হিন্দির এক সাংবাদিক কাশ্মীর থেকে কিছু খবর পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন। আমীর পীরজাদা নামের ওই সাংবাদিক টেলিফোনে জানান, কাশ্মীর এখন ক্রোধে ফুটছে। তিনিও শ্রীনগরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে সরকারিভাবে এসব খবরের কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায় নি। আমীর পীরজাদা আরো জানিয়েছেন, আমরা শ্রীনগরে আছি, কিন্তু কাশ্মীরের অন্য জায়গায় কী হচ্ছে তা জানার কোনো উপায় নেই। কারণ কোনো যোগাযোগ নেই। বিপুল পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন হয়েছে এবং তারা সবকিছু চেক করছে। পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে কে কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে সবকিছু চেক করছে।
বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, কাশ্মীরের মানুষজন এখনো নিশ্চিত না ঠিক কী হয়েছে। তারা আতঙ্কিত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে। সামনে ঈদ আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঈদ উপলক্ষে কারফিউ তুলে নেবে ভারত সরকার। উৎসবের সময় তখন কী অবস্থা হতে পারে তা আঁচ করা যাচ্ছে না।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, বুধবারও শ্রীনগর জম্মু-কাশ্মীর সচিবালয়ে জাতীয় পতাকা এবং কাশ্মীরের পতাকা পাশাপাশি উড়তে দেখা যায়। এতদিন পর্যন্ত ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকা ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা পতাকা ছিল। কিন্তু ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে ভূস্বর্গের জন্য আলাদা আর কোনো পতাকা থাকার কথা নয়।