দেশ বিদেশ
কাশ্মীর: ভারতের পদক্ষেপের নিন্দা আইসিজে’র
মানবজমিন ডেস্ক
৮ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশের বিচারপতি, আইনজীবী ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত বেসরকারি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট (আইসিজে)। তারা বলেছে, ভারতের সিদ্ধান্ত ভারতীয় সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে জনগণকে দেয়া অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরে ও ভারতে আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মানদণ্ডে মানেনি। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন।
খবরে বলা হয়, সোমবার ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মীর নিয়ে নতুন আইন পাস করেছে পার্লামেন্টে। একইদিন সরকারের সুপারিশে এক নির্দেশে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দ। ওই ধারার আওতায়, বেশ খানিকটা স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ সুবিধা পেতো কাশ্মীর। ধারাটি রদ হওয়ায় তা বাতিল হয়ে গেছে। রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়া হয়েছে- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যটি ঘিরে। সেখানে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভের খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তবে সরকারি সূত্রে, কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। পুরো রাজ্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার সামরিক সেনা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সকল প্রকারের ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা ও প্রচার মাধ্যম।
আইসিজে’র মহাসচিব স্যাম জারিফি কাশ্মীর ইস্যুতে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ভারত সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করে এই পরিবর্তন এনেছে। এর সঙ্গে অসংখ্য নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও ভ্রমণের ওপর আরোপ করেছে নতুন ড্রাকোনিয়ান নিষেধাজ্ঞা। তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা রদের বৈধতা অবশ্যি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় যাচাই করা হবে। বিচার ব্যবস্থার উচিত এই ধারা রদ করার ক্ষেত্রে যথাযথ বিধানিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা তা নিবিড়ভাবে যাচাই করা। সবার চোখ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দিকে থাকবে। তারা ভারতীয় সংবিধান ও কাশ্মীরের জনগণের অধিকার রক্ষায় নিজেদের কাজ ঠিকঠাকভাবে করছেন কিনা তা দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বাতিলের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ বেআইনি দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভারতীয় আইনজীবী।
খবরে বলা হয়, সোমবার ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মীর নিয়ে নতুন আইন পাস করেছে পার্লামেন্টে। একইদিন সরকারের সুপারিশে এক নির্দেশে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দ। ওই ধারার আওতায়, বেশ খানিকটা স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ সুবিধা পেতো কাশ্মীর। ধারাটি রদ হওয়ায় তা বাতিল হয়ে গেছে। রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়া হয়েছে- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যটি ঘিরে। সেখানে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভের খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তবে সরকারি সূত্রে, কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। পুরো রাজ্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার সামরিক সেনা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সকল প্রকারের ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা ও প্রচার মাধ্যম।
আইসিজে’র মহাসচিব স্যাম জারিফি কাশ্মীর ইস্যুতে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ভারত সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করে এই পরিবর্তন এনেছে। এর সঙ্গে অসংখ্য নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও ভ্রমণের ওপর আরোপ করেছে নতুন ড্রাকোনিয়ান নিষেধাজ্ঞা। তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা রদের বৈধতা অবশ্যি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় যাচাই করা হবে। বিচার ব্যবস্থার উচিত এই ধারা রদ করার ক্ষেত্রে যথাযথ বিধানিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা তা নিবিড়ভাবে যাচাই করা। সবার চোখ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দিকে থাকবে। তারা ভারতীয় সংবিধান ও কাশ্মীরের জনগণের অধিকার রক্ষায় নিজেদের কাজ ঠিকঠাকভাবে করছেন কিনা তা দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বাতিলের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ বেআইনি দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভারতীয় আইনজীবী।