এক্সক্লুসিভ
প্রটোকল সুবিধা চলমান রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
স্টাফ রিপোর্টার
৮ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ সাংবিধানিক পদাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সুবিধাদি (প্রটোকল) নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুসারে যারা এ ধরনের প্রটোকল সুবিধাদি পান, কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই তা চলমান রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট নিষ্পত্তি করে এসব নির্দেশনা দেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক, দেশের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেয়া হয়ছে। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিষয়ে সংবাদ প্রচার-প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও সতর্ক করা হয়েছে।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও ভিআইপি প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি’ অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের সূত্র ধরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহীনুর রহমান বুধবার রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী একরামুল হক টুটুল, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও তাপস কুমার বিশ্বাস। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আইনজীবী একরামুল হক টুটুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি শুনানিতে আদালতকে বলেছি কিছু সংবাদমাধ্যম প্রটোকল নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চকে মিসকোট করে সংবাদ প্রচার করেছে। একজন বিচারপতির সফর নিয়েও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হযেছে। এতে সুপ্রিম কোর্ট এবং সাংবিধানিক পদাধিকারীর মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ‘রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ ভিআইপি নন’ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের এ মন্তব্যকে কোনো কোনো গণমাধ্যমে আদালতের আদেশ বলে প্রচার করা হয়। ওই মন্তব্যের সূত্র ধরে কয়েকটি অনলাইনে ‘হাইকোর্ট ডিঙিয়ে প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি’-এ ধরনের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এমনকি সাংবিধানিক পদধারী ব্যক্তিদের প্রটোকল দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা দ্বিধাদ্বন্ধে পড়েন। এরপর গতকাল একটি রিটের চুড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ সাংবিধানিক পদাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সুবিধাদি (প্রটোকল) নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুসারে যারা এ ধরনের প্রটোকল সুবিধাদি পান, কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই তা চলমান রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়।’
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও ভিআইপি প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি’ অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের সূত্র ধরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহীনুর রহমান বুধবার রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী একরামুল হক টুটুল, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও তাপস কুমার বিশ্বাস। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আইনজীবী একরামুল হক টুটুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি শুনানিতে আদালতকে বলেছি কিছু সংবাদমাধ্যম প্রটোকল নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চকে মিসকোট করে সংবাদ প্রচার করেছে। একজন বিচারপতির সফর নিয়েও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হযেছে। এতে সুপ্রিম কোর্ট এবং সাংবিধানিক পদাধিকারীর মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ‘রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ ভিআইপি নন’ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের এ মন্তব্যকে কোনো কোনো গণমাধ্যমে আদালতের আদেশ বলে প্রচার করা হয়। ওই মন্তব্যের সূত্র ধরে কয়েকটি অনলাইনে ‘হাইকোর্ট ডিঙিয়ে প্রটোকল চাইলেন বিচারপতি’-এ ধরনের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এমনকি সাংবিধানিক পদধারী ব্যক্তিদের প্রটোকল দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা দ্বিধাদ্বন্ধে পড়েন। এরপর গতকাল একটি রিটের চুড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ সাংবিধানিক পদাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সুবিধাদি (প্রটোকল) নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুসারে যারা এ ধরনের প্রটোকল সুবিধাদি পান, কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই তা চলমান রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়।’