খেলা
রাফায়েলের অনন্য রেকর্ড
স্পোর্টস রিপোর্টার
৪ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
পরপর দুই আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে নতুন রেকর্ড গড়েছেন নাইজেরিয়ান ফুটবলার রাফায়েল ওডোইন। গত মৌসুমে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের জার্সি গায়ে ১৫ গোল করে সতীর্থ গাম্বিয়ান সলোমন কিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এবার শেখ রাসেলের জার্সি গায়ে নিজেকে তুলেছেন আরো উপরে। ২২ গোল করে হয়েছেন আসরের স্ট্রাইকারদের রাজা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে আগে কেউ দুইবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেননি। এবার এ রেকর্ড গড়ার বড় সুযোগ ছিল আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবারও। ২০ গোল করে প্রিমিয়ার লীগ শেষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার সিলেটে নাটকীয়ভাবে সানডেকে পেছনে ফেলেন তারই স্বদেশি রাফায়েল। শেষ ম্যাচে বিজেএমসির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে নাটকীয়ভাবে রাফায়েল হয়ে যান সর্বোচ্চ গোলদাতা। সানডের চেয়ে এক গোলে পিছিয়ে শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন রাফায়েল। একটি গোল পেলে তিনি সানডের সঙ্গে যৌথভাবে হতেন সর্বোচ্চ গোলদাতা; কিন্তু তিনি যে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব হারাতে চাননি। তিনি চাননি গোল্ডেন বুটের ভাগ কাউকে দিতে। তাইতো শেষ ম্যাচে সিলেট স্টেডিয়ামে মরণ কামড় দিয়েছিলেন গতবারের গোল্ডেন বুটজয়ী রাফায়েল। শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে সানডে সিজুবাকে টপকে শীর্ষ গোলদাতাদের তালিকায় সবার উপরে উঠে যান রাফায়েল ওডোইন। তার কল্যাণেই তালিকার তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে শেখ রাসেল। গোলদাতার শীর্ষ পাঁচে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ঢাকা আবাহনীর নাবীব নেওয়াজ জীবন। ১৭ গোল করে তিন নম্বরে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড। লীগে একটি হ্যাটট্রিকও করেছেন আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড। দেশি ফুটবলারদের মধ্যে ১৩ গোল করেছেন বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়া।
এবারের লীগে ১০টি হ্যাটট্রিক হয়েছে। তিনটি করেছেন আবাহনীর জীবন, আরামবাগের জাহিদ হোসেন ও বসুন্ধরার মতিন মিয়া। বাকী সাতটির মালিক বিদেশিরা। দুটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন নোফেল স্পোটিং ক্লাবের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা ও শেখ রাসেলের রাফায়েল ওডোইন। একটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন মুক্তিযোদ্ধার আইভোরি কোস্টের ফরোয়ার্ড বাল্লো ফামোসা, আবাহনীর নাইজেরিয়ান সানডে সিজুবা ও আরামবাগের ম্যাথু চিনম্বু।
নেমে গেছে নোফেল ও বিজেএমসি
নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর- তিন জেলার কয়েকজন ক্রীড়া সংগঠক মিলে নোফেল নামে দল গঠন করে গত বছর অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে। সেখানে রানার্সআপ হয়ে এবারই প্রথমবারের মতো খেলেছে প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে। কিন্তু প্রিমিয়ারে দলটির স্থায়িত্ব হলো মাত্র এক মৌসুম। প্রিমিয়ার লীগ থেকে নেমে গেল নোফেল। ১১ পয়েন্ট নিয়ে আগেই অবনমন নিশ্চিত হয়েছিল বিজেএমসির। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১১ সালে ফুটবলে ফেরে টিম বিজেএমসি। এরপর পেশাদার লীগের টানা সাত আসরে দাপটের সঙ্গে অংশ নেয়ার পর আবারও নেমে গেল তারা।
লীগে দল অবনমনের সংখ্যা একটি করার দাবি
এতদিন প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ থেকে অবনমন হতো একটি দলের। কিন্তু এ মৌসুমের শুরুতে পেশাদার লীগ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় দুটি দল নেমে যাবে এবার। এরই মধ্যে বিজেএমসি আর নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের প্রিমিয়ার থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে অবনমন নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু এখন সিদ্ধান্তটা পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে রহমতগঞ্জ, নোফেল এবং সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাব তিনটির দাবি, দুটির বদলে একটি ক্লাবের অবনমন হোক প্রিমিয়ার লীগ থেকে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে চিঠিও দিয়েছে তারা। নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগ থেকে অবনমনের আগেই লীগ কমিটির কাছে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা চাই দুটির পরিবর্তে একটি ক্লাবের যেন অবনমন হয়। এর ফলে আগামী মৌসুমে ১৪টি দল খেলতে পারবে লীগে। জোড় সংখ্যার দল থাকলে সবারই সুবিধা হবে। তাহলে লীগের বিরতিতে কোনও ক্লাবকে পরের ম্যাচের জন্য বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না। এতে করে ক্লাবগুলোর খরচও কমবে।’ এ সম্পর্কে বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারি বলেন, লীগে দল অবনমনের সংখ্যা দুটির পরিবর্তে একটি করতে কয়েকটি ক্লাব আমাদের চিঠি দিয়েছে। লীগ কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
গোলদাতার তালিকা
নাম দল গোল
রাফায়েল ওডোইন শেখ রাসেল ২২
সানডে সিজুবা আবাহনী ২০
নাবীব নেওয়াজ জীবন আবাহনী ১৭
মার্কোস ভিনিয়াস বসুন্ধরা কিংস ১৩
সিও জুনাপিও রহমতগঞ্জ ১২
ইসমাইল বাঙ্গুরা নোফেল ১২
মতিন মিয়া বসুন্ধরা কিংস ১১
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের রোল অব অনার
সাল চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ তৃতীয় স্থান
২০০৭ ঢাকা আবাহনী মোহামেডান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
২০০৮-০৯ ঢাকা আবাহনী মোহামেডান শেখ রাসেল
২০০৯-১০ ঢাকা আবাহনী মোহামেডান শেখ রাসেল
২০১০-১১ শেথ জামাল মুক্তিযোদ্ধা শেখ রাসেল
২০১২ ঢাকা আবাহনী মুক্তিযোদ্ধা মোহামেডান
২০১২-১৩ শেখ রাসেল শেখ জামাল ঢাকা আবাহনী
২০১৩-১৪ শেখ জামাল ঢাকা আবাহনী মুক্তিযোদ্ধা
২০১৪-১৫ শেখ জামাল শেখ রাসেল মোহামেডান
২০১৬ ঢাকা আবাহনী চট্টগ্রাম আবাহনী শেখ রাসেল
২০১৭-১৮ ঢাকা আবাহনী শেখ জামাল চট্টগ্রাম আবাহনী
২০১৮-১৯ বসুন্ধরা কিংস ঢাকা আবাহনী শেখ রাসেল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে আগে কেউ দুইবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেননি। এবার এ রেকর্ড গড়ার বড় সুযোগ ছিল আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবারও। ২০ গোল করে প্রিমিয়ার লীগ শেষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার সিলেটে নাটকীয়ভাবে সানডেকে পেছনে ফেলেন তারই স্বদেশি রাফায়েল। শেষ ম্যাচে বিজেএমসির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে নাটকীয়ভাবে রাফায়েল হয়ে যান সর্বোচ্চ গোলদাতা। সানডের চেয়ে এক গোলে পিছিয়ে শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন রাফায়েল। একটি গোল পেলে তিনি সানডের সঙ্গে যৌথভাবে হতেন সর্বোচ্চ গোলদাতা; কিন্তু তিনি যে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব হারাতে চাননি। তিনি চাননি গোল্ডেন বুটের ভাগ কাউকে দিতে। তাইতো শেষ ম্যাচে সিলেট স্টেডিয়ামে মরণ কামড় দিয়েছিলেন গতবারের গোল্ডেন বুটজয়ী রাফায়েল। শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে সানডে সিজুবাকে টপকে শীর্ষ গোলদাতাদের তালিকায় সবার উপরে উঠে যান রাফায়েল ওডোইন। তার কল্যাণেই তালিকার তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে শেখ রাসেল। গোলদাতার শীর্ষ পাঁচে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ঢাকা আবাহনীর নাবীব নেওয়াজ জীবন। ১৭ গোল করে তিন নম্বরে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড। লীগে একটি হ্যাটট্রিকও করেছেন আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড। দেশি ফুটবলারদের মধ্যে ১৩ গোল করেছেন বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়া।
এবারের লীগে ১০টি হ্যাটট্রিক হয়েছে। তিনটি করেছেন আবাহনীর জীবন, আরামবাগের জাহিদ হোসেন ও বসুন্ধরার মতিন মিয়া। বাকী সাতটির মালিক বিদেশিরা। দুটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন নোফেল স্পোটিং ক্লাবের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা ও শেখ রাসেলের রাফায়েল ওডোইন। একটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন মুক্তিযোদ্ধার আইভোরি কোস্টের ফরোয়ার্ড বাল্লো ফামোসা, আবাহনীর নাইজেরিয়ান সানডে সিজুবা ও আরামবাগের ম্যাথু চিনম্বু।
নেমে গেছে নোফেল ও বিজেএমসি
নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর- তিন জেলার কয়েকজন ক্রীড়া সংগঠক মিলে নোফেল নামে দল গঠন করে গত বছর অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে। সেখানে রানার্সআপ হয়ে এবারই প্রথমবারের মতো খেলেছে প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে। কিন্তু প্রিমিয়ারে দলটির স্থায়িত্ব হলো মাত্র এক মৌসুম। প্রিমিয়ার লীগ থেকে নেমে গেল নোফেল। ১১ পয়েন্ট নিয়ে আগেই অবনমন নিশ্চিত হয়েছিল বিজেএমসির। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১১ সালে ফুটবলে ফেরে টিম বিজেএমসি। এরপর পেশাদার লীগের টানা সাত আসরে দাপটের সঙ্গে অংশ নেয়ার পর আবারও নেমে গেল তারা।
লীগে দল অবনমনের সংখ্যা একটি করার দাবি
এতদিন প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ থেকে অবনমন হতো একটি দলের। কিন্তু এ মৌসুমের শুরুতে পেশাদার লীগ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় দুটি দল নেমে যাবে এবার। এরই মধ্যে বিজেএমসি আর নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের প্রিমিয়ার থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে অবনমন নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু এখন সিদ্ধান্তটা পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে রহমতগঞ্জ, নোফেল এবং সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাব তিনটির দাবি, দুটির বদলে একটি ক্লাবের অবনমন হোক প্রিমিয়ার লীগ থেকে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে চিঠিও দিয়েছে তারা। নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগ থেকে অবনমনের আগেই লীগ কমিটির কাছে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা চাই দুটির পরিবর্তে একটি ক্লাবের যেন অবনমন হয়। এর ফলে আগামী মৌসুমে ১৪টি দল খেলতে পারবে লীগে। জোড় সংখ্যার দল থাকলে সবারই সুবিধা হবে। তাহলে লীগের বিরতিতে কোনও ক্লাবকে পরের ম্যাচের জন্য বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না। এতে করে ক্লাবগুলোর খরচও কমবে।’ এ সম্পর্কে বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারি বলেন, লীগে দল অবনমনের সংখ্যা দুটির পরিবর্তে একটি করতে কয়েকটি ক্লাব আমাদের চিঠি দিয়েছে। লীগ কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
গোলদাতার তালিকা
নাম দল গোল
রাফায়েল ওডোইন শেখ রাসেল ২২
সানডে সিজুবা আবাহনী ২০
নাবীব নেওয়াজ জীবন আবাহনী ১৭
মার্কোস ভিনিয়াস বসুন্ধরা কিংস ১৩
সিও জুনাপিও রহমতগঞ্জ ১২
ইসমাইল বাঙ্গুরা নোফেল ১২
মতিন মিয়া বসুন্ধরা কিংস ১১
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের রোল অব অনার
সাল চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ তৃতীয় স্থান
২০০৭ ঢাকা আবাহনী মোহামেডান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
২০০৮-০৯ ঢাকা আবাহনী মোহামেডান শেখ রাসেল
২০০৯-১০ ঢাকা আবাহনী মোহামেডান শেখ রাসেল
২০১০-১১ শেথ জামাল মুক্তিযোদ্ধা শেখ রাসেল
২০১২ ঢাকা আবাহনী মুক্তিযোদ্ধা মোহামেডান
২০১২-১৩ শেখ রাসেল শেখ জামাল ঢাকা আবাহনী
২০১৩-১৪ শেখ জামাল ঢাকা আবাহনী মুক্তিযোদ্ধা
২০১৪-১৫ শেখ জামাল শেখ রাসেল মোহামেডান
২০১৬ ঢাকা আবাহনী চট্টগ্রাম আবাহনী শেখ রাসেল
২০১৭-১৮ ঢাকা আবাহনী শেখ জামাল চট্টগ্রাম আবাহনী
২০১৮-১৯ বসুন্ধরা কিংস ঢাকা আবাহনী শেখ রাসেল