ষোলো আনা
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত- ৬ লাখ বাড়িঘর, দেড় লাখ হেক্টর কৃষিজমি
রিফাত আহমেদ
২ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
ছবি- শাহরিয়ার রোমিও
বাংলাদেশে বন্যা প্রতিবছরের চিত্র। তবে এবারের উত্তরাঞ্চলের বন্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৯৮৮ ও ২০১৭ সালের বন্যার ভয়াবহতা। গোটা দেশে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬ লাখ বাড়িঘর। সেইসঙ্গে ১ লাখ ৬০ হাজার কৃষিজমি। বন্যাক্রান্ত এলাকায় খাবার ঘাটতি প্রবল। গেল বুধবার এমনটাই তথ্য জানিয়েছে- ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস (আইএফআরসি)।
আইএফআরসি’র বরাত দিয়ে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সির এক খবরে বলা হয়, মৌসুমি বন্যায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ঝুঁকিতে রয়েছে ৭৬ লাখের বেশি মানুষ। অধিকাংশেরই বাস এখন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। বিশুদ্ধ খাবার পানির চাহিদা সর্বত্র। অধিকাংশ এলাকায় নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। ফলে ব্যাপকভাবে রোগ-বালাইয়ের বিস্তার হচ্ছে।
আইএফআরসি’র বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান আজমত উল্লাহ্ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, আমি চলতি সপ্তাহে বগুড়ায় ছিলাম। সেখানে থাকাকালে আমি হাজারহাজার গৃহহারা পরিবার দেখেছি। যারা রাস্তার ধারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন। তারা মূলত বছরে দুইবার শস্য চাষ করে থাকেন। এবারের বন্যায় শস্য নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় সকলের। পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়।
বন্যাক্রান্তদের সাহায্য করতে জরুরি ত্রাণ তহবিল খুলেছে আইএফআরসি। তাতে প্রায় ৭০ লাখ ডলার অনুদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। যাতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বন্যাক্রান্ত ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তা করতে পারে।