দেশ বিদেশ
জল ও স্থল উভয়দিক থেকেই ইরান আক্রমণ করবে যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
২৮ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা যদি যুদ্ধে গড়ায় তাহলে দেশটিতে জল ও স্থল থেকে হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। এশিয়া মহাদেশে ভূমিতে যে কোনো যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ফলপ্রসূ হবে না। তাই জল ও স্থলে উভয় ক্ষেত্রেই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে মার্কিন বাহিনীকে। মার্কিন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ক লেখক কেইল মিজোকামির সামপ্রতিক এক লেখায় এই কৌশলের কথাই উঠে এসেছে। এতে তিনি জানিয়েছেন, ইরানের একটি বিস্তৃত উপকূল আছে। তাই পেন্টাগনের টুলবক্সে কী কী অস্ত্র আছে তা বুঝতে পারলেই ইরান আক্রমণে মার্কিন কৌশল বোঝা সহজ হবে।
ইরানের উপকূল দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫৫০ মাইল। ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন ও ওয়াশিংটনের উপকূল একত্রেও এর সমান না। এই দীর্ঘ সমুদ্রসীমা ইরানের জন্য ক্ষমতা প্রদর্শনের অসাধারণ ক্ষেত্র। কিন্তু এটি একটি দু’ধারি তলোয়ারও বটে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে এই বিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষা করতে যে সক্ষমতা দরকার তা ইরানের নেই বলেই মনে করা হয়।
মার্কিন নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়াই হয় বড় ধরনের যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই। পাইলট থেকে শুরু করে বাহিনীর সকল সদস্যই সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে। যদি ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতেই থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যুদ্ধ ছাড়াও আরো একটি অপশন আছে। সেটি হলো, ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেয়া। উপকূলজুড়ে ইরানের ব্যাপক পরিমাণ সামরিক স্থাপনা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ইরানি নৌবাহিনী ও দেশটির রেভ্যুলুশনারি গার্ড আইআরজিসি। এরমধ্যে নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে হরমুজ প্রণালীর পূর্বাংশ। অপরদিকে আইআরজিসি নিয়ন্ত্রণ করে পশ্চিমাংশ ও সমগ্র পারস্য উপসাগর। নৌবাহিনীর জাহাজগুলো থাকে বেশ বড় ও ভারী অস্ত্রসজ্জিত। কিন্তু আইআরজিসি’র বোটগুলো থাকে ছোট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেসামরিক সিপডবোটের সঙ্গে অস্ত্রসজ্জিত করে এগুলো প্রস্তুত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় মূলত টার্গেট করা হবে ইরানের দ্বীপগুলো, তেল উৎপাদন কেন্দ্র ও উপকূলে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলোকে। এছাড়া, যেসব স্থাপনা বা অঞ্চল সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের হানি ঘটাতে সক্ষম তাই হবে মার্কিন টার্গেট। যুক্তরাষ্ট্র যদি সংঘর্ষে জড়িয়েই পড়ে তাহলে দেশটি ইরানের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আর এটি মাথায় রেখেই টার্গেট নির্ধারণ করবে ওয়াশিংটন।
ইরানের উপকূল দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫৫০ মাইল। ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন ও ওয়াশিংটনের উপকূল একত্রেও এর সমান না। এই দীর্ঘ সমুদ্রসীমা ইরানের জন্য ক্ষমতা প্রদর্শনের অসাধারণ ক্ষেত্র। কিন্তু এটি একটি দু’ধারি তলোয়ারও বটে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে এই বিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষা করতে যে সক্ষমতা দরকার তা ইরানের নেই বলেই মনে করা হয়।
মার্কিন নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়াই হয় বড় ধরনের যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই। পাইলট থেকে শুরু করে বাহিনীর সকল সদস্যই সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে। যদি ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতেই থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যুদ্ধ ছাড়াও আরো একটি অপশন আছে। সেটি হলো, ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেয়া। উপকূলজুড়ে ইরানের ব্যাপক পরিমাণ সামরিক স্থাপনা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ইরানি নৌবাহিনী ও দেশটির রেভ্যুলুশনারি গার্ড আইআরজিসি। এরমধ্যে নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে হরমুজ প্রণালীর পূর্বাংশ। অপরদিকে আইআরজিসি নিয়ন্ত্রণ করে পশ্চিমাংশ ও সমগ্র পারস্য উপসাগর। নৌবাহিনীর জাহাজগুলো থাকে বেশ বড় ও ভারী অস্ত্রসজ্জিত। কিন্তু আইআরজিসি’র বোটগুলো থাকে ছোট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেসামরিক সিপডবোটের সঙ্গে অস্ত্রসজ্জিত করে এগুলো প্রস্তুত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় মূলত টার্গেট করা হবে ইরানের দ্বীপগুলো, তেল উৎপাদন কেন্দ্র ও উপকূলে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলোকে। এছাড়া, যেসব স্থাপনা বা অঞ্চল সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের হানি ঘটাতে সক্ষম তাই হবে মার্কিন টার্গেট। যুক্তরাষ্ট্র যদি সংঘর্ষে জড়িয়েই পড়ে তাহলে দেশটি ইরানের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আর এটি মাথায় রেখেই টার্গেট নির্ধারণ করবে ওয়াশিংটন।