বিশ্বজমিন

বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানের বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা অনেক বেশি

মানবজমিন ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:২৫ অপরাহ্ন

সম্প্রতি ২২তম বারের মতো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৬০০ কোটি ডলারের বেইলআউট বা ঋণ সহায়তা নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এই নির্ভরশীলতা কমাতে পাকিস্তানকে অবশ্যই রপ্তানি বাড়াতে হবে। বর্তমানে দেশটির মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৮৪০০ কোটি ডলার। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ২৩০০ কোটি ডলার পাকিস্তান রপ্তানি করে থাকে। বাকি সবটাই আমদানি।

এই চরম বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমানো নিয়ে পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় লিখেছেন দেশটির দুই বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক মারুফ আলি সৈয়দ ও মাহা রেহমান। প্রথমজন সেন্টার ফর ইকোনমিক রিসার্চ ইন পাকিস্তান-এর প্রধান নির্বাহী ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এভিডেন্স ফর পলিসি রিসার্চ প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো। মাহা রেহমান একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি পাকিস্তান অ্যাকুমেন ফেলো ২০১৬। ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল অ্যাঙ্গেল: হাউ ডাটা ক্যান হেল্প পাকিস্তান ফিক্স ইটস ট্রেড ইমব্যালান্স’ শীর্ষক নিবন্ধে তারা পাকিস্তানের বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার ওপর আলোকপাত করেছেন। তারা যুক্তি দেখিয়েছেন, তথ্য উপাত্ত এই ভারসাম্যহীনতা কমিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।  

এই দুই বিশেষজ্ঞ লিখেছেন, রপ্তানি বৃদ্ধির দিক থেকে পাকিস্তানের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০০৫ থেকে ২০১৭,  এই ১২ বছরে পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। অপরদিকে ভারতের বেড়েছে ২১৬ শতাংশ, আর বাংলাদেশের ২৫০ শতাংশ। ভিয়েতনামের বেড়েছে ৫১৯ শতাংশ। দুই বিশেষজ্ঞ আরও লিখেছেন, ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত, বিশ্বের সমস্ত দেশের রপ্তানির যত শতাংশ পাকিস্তানের ছিল, তা আরও কমেছে। অপরদিকে বাংলাদেশের বেড়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status