বাংলারজমিন

বানভাসিরা আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত রোগে, বাড়ছে দুর্ভোগ

বাংলারজমিন ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুর্গতরা। কুড়িগ্রামে সাড়ে ৯ লাখ মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। তিস্তা নদীর ভাঙনে রংপুরের তিন হাজার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন তারা। সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ ত্রাণ দেয়া হচ্ছে তা যৎসামান্য। এদিকে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব। ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ, ফসলি জমি। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-
কুড়িগ্রামে সাড়ে ৯ লাখ বানভাসির দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে: কুড়িগ্রাম জেলার সাড়ে ৯ লাখ বানভাসি মানুষ চরম দুর্ভোগে। নেই বিশুদ্ধ পানি। অপ্রতুল ত্রাণ। বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট, বাঁধ ও ঘরবাড়ি। নেই শৌচকর্মের মতো নিরাপদ ব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ বালাই। সব মিলিয়ে এ জনপদের কয়েক লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বন্যার ফলে ৩টি পৌরসভাসহ ৬০টি ইউনিয়নে ৮৯৪টি গ্রামের ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭২টি পরিবার পানিবন্দি। পরিবার প্রতি ৪ জন হিসাবে বানভাসি মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮৮ জন। প্রায় ১০ দিন ধরে এ মানুষগুলো বন্যায় আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ হাজার হেক্টর। বন্যায় এক হাজার ২৪৫ কি.মি রাস্তা, ৪০ কি.মি বাঁধ ও ৪১টি ব্রিজ-কার্লভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪টি। প্রায় ২ লক্ষাধিক গবাদিপশু পানিবন্দি। বন্যার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ মিলে এক হাজার ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ। ‘একটি দল সামাজিক দায়িত্ব পালন না করে শুধু সরকারের সমালোচনা করছে’

‘দুর্ভাগ্যজনক হলো একটি দল যারা রাজনৈতিক দায়িত্ব, সামাজিক দায়িত্ব ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন না করে তারা শুধু সরকারের সমালোচনা করছে।’ সোমবার সকালে কুড়িগ্রামে বন্যাদুর্গতদের সহায়তা করতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চিলমারী, উলিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, রৌমারী ও রাজীবপুরে কয়েক হাজার বন্যাদুর্গতকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, চিলমারী উপজেলা পরিষদের
তিস্তায় ৩ হাজার ঘরবাড়ি
নদীগর্ভে বিলীন
জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে: তিস্তা নদীর পানি কমলেও তীব্র স্রোতে রংপুরে ৩ হাজার ঘরবাড়িসহ ফসলের ক্ষেত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গঙ্গচড়া উপজেলার বিনবিনার চরের ৫০০ মিটার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে গুচ্ছগ্রাম, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ নির্মাণ করলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। চলতি বছরের শুরুর দিকে তিস্তা নদীর পানি আলাদা চ্যানেল দিয়ে মূল নদীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নদী খনন হলেও সেটি কার্যকর না হওয়ায় ক্ষোভ এলাকাবাসীর মনে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তিস্তার পানি কমে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বেড়েছে নদী ভাঙন। ভাঙনের কবলে পড়ে চর চিলাখাল, বিনবিনার চর, চর মটুকপুরের ৩ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি, ভুট্টা ক্ষেত, সবজি ক্ষেত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে ভাঙনকবলিতরা খোলা আকাশের নিচে, উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বাড়িভিটা, ফসলের মাঠ হারিয়ে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নদীর তীব্র স্রোতে বিনবিনার চর এলাকায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধের ৫০০ মিটার ভেঙে গেছে। নদীর অব্যাহত ভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে দিশাহারা ভুক্তভোগীরা। এদিকে নদী কাছে চলে আসায় ভাঙনের মুখে লক্ষ্মীটারী গুচ্ছগ্রামের ২ শতাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদসহ অন্যান্য অবকাঠামো।

চরবাসীকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে তিস্তার মূল চ্যানেলে পানি প্রবাহের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিনবিনার চর থেকে মহিপুর শেখ হাসিনা সেতু পর্যন্ত পানি প্রবাহের জন্য ২৪০০ মিটার ও নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া এলাকায় ১৬০০ মিটার নদী খননের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ খনন কাজ করেছে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনূস অ্যান্ড ব্রাদার্স। সেই সময় অপরিকল্পিতভাবে তিস্তা নদী খননের অভিযোগ উঠে। খনন করা বালু পাইপের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ ফুট দূরে ফেলার অভিযোগ এনে বর্ষা মৌসুমে ওই খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার শংকা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ চরের মানুষজন নদী ভাঙন রোধে বেড়ি বাঁধ নির্মাণের দাবিও জানান।

সরজমিনে বিনবিনার চর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তিস্তা নদীতে যে খনন কাজ করা হয়েছিল সেই চ্যানেলটি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী বলছেন কোনো কাজেই আসেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেই খনন কাজ। উজানের স্রোতের কারণে খনন এলাকা বালুমাটিতে ভরাট হয়ে গেছে।

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদ সীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাবিত হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যাদুর্গতদের জন্য ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দশ হাজার আট শত ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, রেললাইন থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় গতকাল সোমবার ভোর থেকে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ পথে ইসলামপুর স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশনে এখনও বন্যার পানি থাকায় ইসলামপুর হতে দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে জামালপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত  রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে এখনও পানি থাকায় জামালপুর হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে।

বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত পঁচিশ হাজার আটশ’ ৪৫ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন বীজতলা দুই হাজার ৮শ’ ৬০ হেক্টর, আউস ধান পাঁচহাজার ৩০ হেক্টর, পাট বারো হাজার ৯শ’ ১২ হেক্টর, সবজি চার হাজার ছয়শ’ ৩১ হেক্টর, মরিচ একশ’ ৯০ হেক্টর, কলার বাগান একশ’ ৭ হেক্টর, ভুট্টা ৩৫ হেক্টর এবং আখ ৮০ হেক্টর।
ইসলামপুরে আওয়ামী লীগের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
ইসলামপুরের নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সংসদ সদস্য  ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল ভানবাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

সিরাজগঞ্জে বন্যার্তদের পাশে পুলিশ সুপার
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজিপুরে বন্যাকবলিত ৩ শতাধিক অসহায়, দুস্থ ও বানভাসি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকালে জেলা সদরের রানীগ্রাম ও কাজিপুর থানা এলাকায় পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী বন্যাদুর্গত মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। বিতরণকৃত ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে প্রতিজনকে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি আলু, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি ও দিয়াইশলাই প্রদান করা হয়। এ সময় সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ গোলাম মোস্তফা, জেলা বিশেষ শাখার পরিদর্শক রেজাউল করিম, ডিবি পুলিশের ওসি ওয়াহেদুজ্জামান ও সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ, কাজিপুর থানার ওসি একেএম লুৎফুর রহমান ও কাজিপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান টিএম আতিকুর রহমান নান্নুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শাহ্‌জাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: শাহজাদপুরে যমুনা নদীর পানি সামান্য কমেছে। উপজেলার যমুনা তীরবর্তী সোনাতনী, গালা, রূপবাটি, কৈজুরী, জালালপুর এসব এলাকার বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। সামান্য পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। গতকাল উপজেলার নৌবন্দর এলাকার রূপবাটি ইউনিয়নের চর আন্ধারমানিক, আন্ধারমানিক ও সন্তোষ গ্রাম এখনও সম্পূর্ণ পানির নিচে। এ সব গ্রামের শতাধিক পরিবারের লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁধের ওপর মানববতার জীবন-যাপন করছেন। এদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায়  লোকজন বেকার হয়ে পড়েছে। কাজকর্ম না থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে। খোলা আকাশের নিচে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে এদের পরিবার। বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা আরও কঠিন। অপরদিকে, রূপবাটি ইউনিয়নের সন্তোষ গ্রাম আন্ধারমানিক ও চর আন্ধারমানিক গ্রামের ৩ শতাধিক বন্যায় ডুবে যাওয়া অসহায়-দুস্থ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খান।

সরিষাবাড়ীতে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে  চলমান ভায়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়দের মাঝে দুই দিনব্যাপী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন বন্যাদুর্গত এলাকায় এ ত্রাণ বিতরণ করেছেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ ডা. মুরাদ হাসান।
গতকাল উপজেলা পিংনা উচ্চ বিদ্যালয়, আওয়না ইউনিয়নের ২নং জেটি ঘাট, পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া ব্রিজপাড় ও কামরাবাদ ইউনিয়নে র‌্যালি ব্রিজ এ চার স্থানে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উপস্থিত থেকে এ ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণে প্রত্যেকটি স্থানে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status