বাংলারজমিন
লাল বিবির আফসোস
হুম্মুত করি তলে গেল স্কুল
সিদ্দিক আলম দয়াল, উত্তরাঞ্চল থেকে
২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৮:৩০ পূর্বাহ্ন
এক মুহূর্তেই তলে গেল বাহে বিশাল রং করা চকচকে দোতলা স্কুলটা। কারো মায়া দয়া নাই। মায়া দয়া থাকলে ভাঙনের মুখে থাকা স্কুলটা আগেই সরানো সম্ভব ছিল। বসার চেয়ার টেবিল বেঞ্চ, আসবাবপত্র, সার্টিফিকেট বাঁচানো যেত। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আমরা অনেক বলেছি কিন্তু মাস্টাররা শোনেনি। অবশেষে সরকারকা মাল দরিয়া মে ঢাল অবস্থা। হুম্মুত করি পানির নিচে তলে গেল এতো বড় স্কুল। একইভাবে তিন উপজেলায় ১০টি সরকারি প্রাইমারি স্কুল নদীতে ধসে গেছে। এ কথা বলেন এলাকার বৃদ্ধ লাল বিবি। তার না খাওয়ার কষ্টের চেয়েও বেশি কষ্ট স্কুলটি নদীত গেল। কেউ আফসোস করলো না।
গাইবান্ধার সবগুলো নদীর পানি কিছুটা কমলেও সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একদিকে থৈ থৈ পানি অন্যদিকে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। মাত্র ৭ দিনে তিস্তা যমুনার পানিতে বিলীন হয়েছে অন্তত ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি। নদী ভাঙনে গাইবান্ধার ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে। অনিশ্চিত হযে পড়েছে কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখা। স্থগিত করা হয়েছে পরীক্ষা।
গাইবান্ধা পৌর এলাকা ও সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি। ১৮০টি আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে বাঁধ ও অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে গবাদি পশুসহ। এসব এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া, কাতলামারী, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের অনেক এলাকায়।
গত ৭ দিনে পানির নিচে তলিয়ে গেছে এলাকার ৩ শতাধিক বাড়িঘর ও সরকারি ৭ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। স্কুলগুলো হলো- চিথুলিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারোডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধলিপাটা ধোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেতকির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১০টি। এসব বিদ্যালয়ের ১৬১২ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়গুলোর অস্তিত্ব সামান্য দেখা যায় পানির উপর থেকে। স্কুলের মূল্যবান কাগজপত্রসহ শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট চলে গেছে নদীগর্ভে। স্কুলগুলোর মালামাল সরিয়ে নেয়া বা স্কুলগুলো নিলামে বিক্রি করার অনেক সুযোগ থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির। তিনি বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ বেতন পান চাকরি করেন। তাই চরাঞ্চলের গতরখাটা মানুষের সন্তানদের পড়ালেখা নিয়ে ভাবার দরকার নাই বলে মনে করেন। এলাকাবাসী হাবিবুর রহমান বলেন, একটা শব্দ হয়েই পানির নিচে তলিয়ে গেল কেতকিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একইভাবে আরো ৬টি নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। ওই গ্রামের তলিয়ে কয়েকটি গ্রামের শত শত ঘরবড়ি। কোথাও ঠাঁই না পেয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কোনোমতে দিন পাড়ি দিচ্ছি। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, নদী ভাঙনে স্কুল ভেঙে গেছে। স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করলে আগামী দিনে আবারো নতুন করে সাজানো যাবে।
গাইবান্ধার সবগুলো নদীর পানি কিছুটা কমলেও সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একদিকে থৈ থৈ পানি অন্যদিকে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। মাত্র ৭ দিনে তিস্তা যমুনার পানিতে বিলীন হয়েছে অন্তত ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি। নদী ভাঙনে গাইবান্ধার ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে। অনিশ্চিত হযে পড়েছে কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখা। স্থগিত করা হয়েছে পরীক্ষা।
গাইবান্ধা পৌর এলাকা ও সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি। ১৮০টি আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে বাঁধ ও অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে গবাদি পশুসহ। এসব এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া, কাতলামারী, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের অনেক এলাকায়।
গত ৭ দিনে পানির নিচে তলিয়ে গেছে এলাকার ৩ শতাধিক বাড়িঘর ও সরকারি ৭ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। স্কুলগুলো হলো- চিথুলিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হারোডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধলিপাটা ধোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেতকির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১০টি। এসব বিদ্যালয়ের ১৬১২ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়গুলোর অস্তিত্ব সামান্য দেখা যায় পানির উপর থেকে। স্কুলের মূল্যবান কাগজপত্রসহ শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট চলে গেছে নদীগর্ভে। স্কুলগুলোর মালামাল সরিয়ে নেয়া বা স্কুলগুলো নিলামে বিক্রি করার অনেক সুযোগ থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির। তিনি বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ বেতন পান চাকরি করেন। তাই চরাঞ্চলের গতরখাটা মানুষের সন্তানদের পড়ালেখা নিয়ে ভাবার দরকার নাই বলে মনে করেন। এলাকাবাসী হাবিবুর রহমান বলেন, একটা শব্দ হয়েই পানির নিচে তলিয়ে গেল কেতকিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একইভাবে আরো ৬টি নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। ওই গ্রামের তলিয়ে কয়েকটি গ্রামের শত শত ঘরবড়ি। কোথাও ঠাঁই না পেয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কোনোমতে দিন পাড়ি দিচ্ছি। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, নদী ভাঙনে স্কুল ভেঙে গেছে। স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করলে আগামী দিনে আবারো নতুন করে সাজানো যাবে।