অনলাইন

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অত:পর......

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে

২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৪:৫৪ পূর্বাহ্ন

বিয়ের প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে আতœহননের পথ বেছে নিলেন মাহমুদা খাতুন ঐশী (১৯)। সে যশোর সরকারি এমএম কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।  ঐশির পিতা আছাদুজ্জমানের দাবি, বিয়ের প্রলোভনে তার মেয়েকে ধর্ষণ করার ফলে আড়াই মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে ঐশী। পরে  বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জোর পূর্বক গর্ভপাত করানোর জন্য ওষুধ খাওয়ানোর কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় জন্য যশোরের উপশহর এস ব্লকের ২৪ ও ২৫ নম্বর বাড়ির মালিক সৈয়দ রওশন আলীর ছেলে সৈয়দ শামীমকে দায়ী করেছেন তিনি। একই সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে শামীমের অপর দুই ভাই নাসিম ও নাঈমের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ  মামলার ২ নম্বর আসামী নসিমকে আটক করেছে।

কোতয়ালি থানায় দায়েরকরা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নাসিম ও নাঈমের সঙ্গে ঐশী একই কলেজে পড়াশোনা করতো। তাদের মাধ্যমে বড়ভাই সৈয়দ শামীমের সঙ্গে পরিচয় হয় ঐশির। এরপর থেকে তার সঙ্গে ঐশৗর কথাবার্তা চলতো। এক পর্যায়ে শামীম ও ঐশির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ৩ মে কলেজ ছুটির পর ঐশিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় শামীম। তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১২ জুলাই ঐশী শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু সে কাউকে কিছু বলতে চায়না। এক পর্যায়ে ঐশী শামীমকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে অস্বীকার করে। পরে শামীম জোর করে ঐশীকে গর্ভপাত ঘটানোর ওষুধ খাইয়ে দেয়। ১৭ জুলাই খুববেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঐশিকে যশোরের কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার অপারেশন করা হয়। পর দিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঐশী মারা যান। সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
এই বিষয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, গতকাল সকালে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শামীমকে আটক করা যায়নি। তবে তার ছোট ভাই নাসিমকে আটক করা হয়েছে। সে এই মামলার দুই নম্বর আসামি।

এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) শামসুদ্দোহা জানান, ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই একটি মামলা রেকর্ড করে। এখন মৃত্যু হওয়ায় নতুন ধারা যোগ হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status