প্রথম পাতা
নেত্রকোনায় কাটা মাথা উদ্ধার ও গণপিটুনি
দুই মামলা, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ পুলিশের
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
নেত্রকোনা শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে শিশু সজীবের গলা কাটা মস্তক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো শিশু হত্যাকারী যুবক রবিন নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় শিশু সজীবের পিতা রইস উদ্দিন বাদী হয়ে রবিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। গণপিটুনিতে শিশু হত্যাকারী রবিন নিহত হওয়ার ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানার এএসআই রফিক বাদী হয়ে অজ্ঞাত সংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশ গতকাল বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকরা ঘটনার বাস্তবচিত্র তুলে ধরলেও উক্ত হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কতিপয় লোক ছেলে ধরা ও পদ্মা সেতুতে ছেলে শিশুদের মাথা দেয়ার কথা বলে যে গুজব ছড়াচ্ছে, তা আদৌ সত্য নয়, নিতান্তই অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ধরনের গুজব না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান। পাশাপাশি সব অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ প্রদান করেন। তবে, প্রেস ব্রিফিংয়ে কি কারণে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা এখনো বলতে পারেন নি তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রবিন শিশু সজীবকে হত্যা করে তার মস্তক (মুণ্ডু) নিয়ে জেলা শহরের বারহাট্টা রোডস্থ শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে মেথর পট্টিতে মদ পান করে মাতলামি করার সময় তার ব্যাগ থেকে শিশুর গলাকাটা মস্তক মাটিতে পড়ে যায়। তা দেখে উত্তেজিত জনতা তাকে ধাওয়া করে নিউটাউন পচা পুকুর (অনন্ত পুকুর) পাড়ে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে।
নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় শিশু সজীবের পিতা রইস উদ্দিন বাদী হয়ে রবিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। গণপিটুনিতে শিশু হত্যাকারী রবিন নিহত হওয়ার ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানার এএসআই রফিক বাদী হয়ে অজ্ঞাত সংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশ গতকাল বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকরা ঘটনার বাস্তবচিত্র তুলে ধরলেও উক্ত হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কতিপয় লোক ছেলে ধরা ও পদ্মা সেতুতে ছেলে শিশুদের মাথা দেয়ার কথা বলে যে গুজব ছড়াচ্ছে, তা আদৌ সত্য নয়, নিতান্তই অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ধরনের গুজব না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান। পাশাপাশি সব অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ প্রদান করেন। তবে, প্রেস ব্রিফিংয়ে কি কারণে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা এখনো বলতে পারেন নি তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রবিন শিশু সজীবকে হত্যা করে তার মস্তক (মুণ্ডু) নিয়ে জেলা শহরের বারহাট্টা রোডস্থ শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে মেথর পট্টিতে মদ পান করে মাতলামি করার সময় তার ব্যাগ থেকে শিশুর গলাকাটা মস্তক মাটিতে পড়ে যায়। তা দেখে উত্তেজিত জনতা তাকে ধাওয়া করে নিউটাউন পচা পুকুর (অনন্ত পুকুর) পাড়ে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]