দেশ বিদেশ
ডেঙ্গু ভাবাচ্ছে সবাইকে
রোগীর সঠিক হিসাব নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে!
স্টাফ রিপোর্টার
২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগী। তাই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে সর্বত্র এখন আতঙ্ক। অথচ এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে কতজন আক্রান্ত ও মারা গেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। সরকারি হিসাবে অর্থাৎ মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান মতে, চলতি বছর ১৯শে জুলাই পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নারী-পুরুষ ও শিশু রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩২ জন। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬১৭ জন। ঢাকায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোগে অনেকের মৃত্যু হলেও সরকারি হিসাবে তাদের সবার তথ্য আসছে না। আসছে না আক্রান্ত হওয়ার সঠিক পরিসংখ্যানও। ১৯শে জুলাই পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এপ্রিলে দু’জন, জুনে দু’জন ও জুলাই মাসে একজন মারা যান। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত চারগুণ হবে। বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। জুন মাসে ১৭৭০ জন ডেঙ্গু জ্বরের রোগী চিহ্নিত হয়েছেন। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আছেন ১১৭৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ৪৩৮ জন। গত বছর সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সঠিক সংখ্যা তাদের কাছে নেই। কারণ রাজধানীর সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তথ্য পাচ্ছেন না। তাদের অসহযোগিতার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মারার যাওয়ার সংখ্যার তথ্যগত গরমিল দেখা দেয়। বর্তমানে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে দেশব্যাপী সবাই চিন্তিত। সরকারের অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রায় সব মন্ত্রী, সচিব, ঢাকার মেয়র এমনকি বাংলাদেশস্থ আমেরিকান রাষ্ট্রদূত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা সবাই এখন মশা নিয়ে আলোচনা করছেন। সবাই একবাক্যে বলছেন, ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা নিধন ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ডেঙ্গু এখন চিন্তার বিষয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তারের কাছে ডেঙ্গু সংক্রান্ত তথ্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, সব জায়গা থেকে তথ্য দিচ্ছে না। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরও যেটুকু আসছে সেটা দিতে পারছি। অনেককে ফোন করে তথ্য নিতে হয়। এতে তারা বিরক্তবোধ করেন। কোনো কোনো হাসপাতালে জনবল সংকটের অজুহাত তুলে তথ্য দিতে চান না। ২০১৮ সালের আইনের বরাতে চিঠি দিয়েও লাভ হচ্ছে না। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের কাছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে ডেঙ্গু-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে পাঠানোর কথা থাকলেও হাসপাতালগুলো তথ্য পাঠাচ্ছে না বলে তিনি জানান। মৃতদের সঠিক তথ্য প্রসঙ্গে ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, আইইডিসিআর নিশ্চিত না করলে আমরা তথ্য দিতে পারি না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ বুলেটিন-২০১৮ এর হিসাব অনুসারে, রাজধানীসহ সারাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক ৫ হাজার ৫৪টি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ৯ হাজার ৫২৯টি। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বেশির ভাগই রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তথ্য জানায় না। শত শত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে অর্ধশতাধিকের কাছ থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বারডেম, বিএসএমএমইউ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিজিবি হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশ মেডিকেল, ইবনে সিনা, স্কয়ার, কমফোর্ট, শমরিতা, ডেল্টা, ল্যাব এইড, মনোয়ারা, সেন্ট্রাল, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ওমেন্স মেডিকেল, গণস্বাস্থ্য, গ্রীন লাইফ, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ইউনাইটেড, খিদমা, রাশমনো, সিকদার, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল, এ্যাপোলো, আদ-দ্বীন, ন্যাশনাল, ইউনিভার্সেল, বিআরবি, আজগর আলী, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক, কমিউনিটি হাসপাতাল, সালাউদ্দিন, পপুলার, উত্তরা ক্রিসেন্ট, আনোয়ার খান মর্ডান, এসএম ইব্রাহিম, শাহাবুদ্দিন, নিবেদিতা শিশু এসব হাসপাতালের অধিকাংশ থেকে কমবেশি ডেঙ্গু রোগীর তথ্য নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে। হাতে গোনা এ কয়েকটি হাসপাতাল থেকে পাওয়া এ তথ্য সামগ্রিক ডেঙ্গু রোগীর তথ্য বহন করে না। মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সূত্র বলছে, প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় কোনো ডেঙ্গু রোগী পেলে রক্ত সংগ্রহ করে তাদের কাছে নমুনা ও রোগী-সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে বলা হলেও তারা পাঠাচ্ছেন না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সঠিক সংখ্যা তাদের কাছে নেই। কারণ রাজধানীর সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তথ্য পাচ্ছেন না। তাদের অসহযোগিতার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মারার যাওয়ার সংখ্যার তথ্যগত গরমিল দেখা দেয়। বর্তমানে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে দেশব্যাপী সবাই চিন্তিত। সরকারের অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রায় সব মন্ত্রী, সচিব, ঢাকার মেয়র এমনকি বাংলাদেশস্থ আমেরিকান রাষ্ট্রদূত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা সবাই এখন মশা নিয়ে আলোচনা করছেন। সবাই একবাক্যে বলছেন, ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা নিধন ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ডেঙ্গু এখন চিন্তার বিষয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তারের কাছে ডেঙ্গু সংক্রান্ত তথ্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, সব জায়গা থেকে তথ্য দিচ্ছে না। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরও যেটুকু আসছে সেটা দিতে পারছি। অনেককে ফোন করে তথ্য নিতে হয়। এতে তারা বিরক্তবোধ করেন। কোনো কোনো হাসপাতালে জনবল সংকটের অজুহাত তুলে তথ্য দিতে চান না। ২০১৮ সালের আইনের বরাতে চিঠি দিয়েও লাভ হচ্ছে না। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের কাছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে ডেঙ্গু-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে পাঠানোর কথা থাকলেও হাসপাতালগুলো তথ্য পাঠাচ্ছে না বলে তিনি জানান। মৃতদের সঠিক তথ্য প্রসঙ্গে ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, আইইডিসিআর নিশ্চিত না করলে আমরা তথ্য দিতে পারি না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ বুলেটিন-২০১৮ এর হিসাব অনুসারে, রাজধানীসহ সারাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক ৫ হাজার ৫৪টি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ৯ হাজার ৫২৯টি। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বেশির ভাগই রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তথ্য জানায় না। শত শত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে অর্ধশতাধিকের কাছ থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বারডেম, বিএসএমএমইউ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিজিবি হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশ মেডিকেল, ইবনে সিনা, স্কয়ার, কমফোর্ট, শমরিতা, ডেল্টা, ল্যাব এইড, মনোয়ারা, সেন্ট্রাল, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ওমেন্স মেডিকেল, গণস্বাস্থ্য, গ্রীন লাইফ, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ইউনাইটেড, খিদমা, রাশমনো, সিকদার, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল, এ্যাপোলো, আদ-দ্বীন, ন্যাশনাল, ইউনিভার্সেল, বিআরবি, আজগর আলী, বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক, কমিউনিটি হাসপাতাল, সালাউদ্দিন, পপুলার, উত্তরা ক্রিসেন্ট, আনোয়ার খান মর্ডান, এসএম ইব্রাহিম, শাহাবুদ্দিন, নিবেদিতা শিশু এসব হাসপাতালের অধিকাংশ থেকে কমবেশি ডেঙ্গু রোগীর তথ্য নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে। হাতে গোনা এ কয়েকটি হাসপাতাল থেকে পাওয়া এ তথ্য সামগ্রিক ডেঙ্গু রোগীর তথ্য বহন করে না। মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সূত্র বলছে, প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় কোনো ডেঙ্গু রোগী পেলে রক্ত সংগ্রহ করে তাদের কাছে নমুনা ও রোগী-সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে বলা হলেও তারা পাঠাচ্ছেন না।