শেষের পাতা
মাঠ পর্যায়ে দুদকের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব ডিসিদের
টিআইবি’র উদ্বেগ প্রত্যাহারের আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার
২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন
মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রম দেখভাল করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) হাতে দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল টিআইবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনকেন্দ্রিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুদকের ওপর অর্পিত আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরূপ আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যানুযায়ী, পাঁচ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ-সম্পর্কিত আলোচনায় অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, জেলা প্রশাসকদের সংশ্লিষ্ট জেলার সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দুদকের কার্যক্রম দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরূপ সিদ্ধান্ত যদি হয়ে থাকে, তবে তা বিশেষ করে স্থানীয় দুদকের কার্যক্রমে অনাকাঙ্খিত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং অনৈতিক ও দুর্নীতি সহায়ক প্রভাবের যুক্তি সৃষ্টি করবে। দুদকের যতটুকু ক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা বজায়ের সুযোগ আইনগতভাবে দেয়া হয়েছে তাও সম্পূর্ণভাবে বিসর্জিত হবে। দুদকের জন্য এরূপ সিদ্ধান্ত অপরিণামদর্শী ও আত্মঘাতী।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দুদক চেয়ারম্যান যৌক্তিকভাবেই উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসকগণ যদি দুদকের কোনো গাফিলতি বা দুর্নীতি দেখেন তা দুদককে জানাতে হবে। এটা তাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হাতে দুদকের দেখভালের এখতিয়ার অর্পিত হলে তা ব্যাপক স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি করবে। আবার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ও অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনের পথ চিরতরে রুদ্ধ হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি তাই হয় তবে কি অনুমান করা যায় না যে, জাতীয় পর্যায়ে দুদক নিজেকে প্রশাসন কর্তৃক দেখভালের ক্ষমতা দিতে প্রস্তুত। তাহলে দুদক নামক বিশেষায়িত দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠান থাকার যথার্থতা কোথায় থাকবে?
এমন আবেগপ্রসূত ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত পরিহার করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রশাসনের সঙ্গে দুদকের সম্পর্ক নির্ধারণে উচিত হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সম্পর্কিত করে সম্ভাব্য সকল প্রকার প্রভাব ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত পারস্পারিক পেশাগত অবস্থানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশক ও সীমারেখা নিরূপণ করা। দুদক যেন তার আইনগত ভিত্তির ওপর নির্ভর করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যানুযায়ী, পাঁচ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ-সম্পর্কিত আলোচনায় অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, জেলা প্রশাসকদের সংশ্লিষ্ট জেলার সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দুদকের কার্যক্রম দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরূপ সিদ্ধান্ত যদি হয়ে থাকে, তবে তা বিশেষ করে স্থানীয় দুদকের কার্যক্রমে অনাকাঙ্খিত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং অনৈতিক ও দুর্নীতি সহায়ক প্রভাবের যুক্তি সৃষ্টি করবে। দুদকের যতটুকু ক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা বজায়ের সুযোগ আইনগতভাবে দেয়া হয়েছে তাও সম্পূর্ণভাবে বিসর্জিত হবে। দুদকের জন্য এরূপ সিদ্ধান্ত অপরিণামদর্শী ও আত্মঘাতী।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দুদক চেয়ারম্যান যৌক্তিকভাবেই উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসকগণ যদি দুদকের কোনো গাফিলতি বা দুর্নীতি দেখেন তা দুদককে জানাতে হবে। এটা তাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হাতে দুদকের দেখভালের এখতিয়ার অর্পিত হলে তা ব্যাপক স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি করবে। আবার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ও অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনের পথ চিরতরে রুদ্ধ হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি তাই হয় তবে কি অনুমান করা যায় না যে, জাতীয় পর্যায়ে দুদক নিজেকে প্রশাসন কর্তৃক দেখভালের ক্ষমতা দিতে প্রস্তুত। তাহলে দুদক নামক বিশেষায়িত দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠান থাকার যথার্থতা কোথায় থাকবে?
এমন আবেগপ্রসূত ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত পরিহার করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রশাসনের সঙ্গে দুদকের সম্পর্ক নির্ধারণে উচিত হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সম্পর্কিত করে সম্ভাব্য সকল প্রকার প্রভাব ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত পারস্পারিক পেশাগত অবস্থানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশক ও সীমারেখা নিরূপণ করা। দুদক যেন তার আইনগত ভিত্তির ওপর নির্ভর করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]