খেলা
শ্রীলঙ্কা সফরে চ্যালেঞ্জ দেখছেন মাশরাফি
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
বিশ্বকাপ শেষে শ্রীলঙ্কায় ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আজ দ্বীপ রাষ্ট্রটির উদ্দেশে রওয়ানা হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এই সিরিজকে সামনে রেখে গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন মাশরাফি ও ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। মাশরাফি জানান, শ্রীলঙ্কা সফরটা সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। ব্যক্তিগতভাবে মাশরাফির লক্ষ্য থাকবে এই সিরিজে নিজের সেরাটা দেয়া। কারণ এটাই তার শেষ সিরিজ। মাশরাফি বলেন, ‘অবসরের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এতটুকু বলতে পারি এটাই আমার শেষ সিরিজ।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনো দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। লঙ্কানদের মাটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ২টি ওয়ানডে জিতেছে টাইগাররা। চলতি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের ওপরে থেকে শেষ করে। মাশরাফি বলেন, ‘সিরিজটা আসলে কারো জন্যই সহজ হবে না। দুই দলই সমতায় থাকবে। যেহেতু শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে খেলছে এবং ঘরের মাঠে তারা বরাবরই ভালো খেলে। তাদের যে দলটা আছে সেটাও অনেকদিন ধরে একসঙ্গে খেলছে। তারাও বেশ ব্যালেন্সে আসছে। বিশ্বকাপে তাদেরও কিন্তু ভালো স্মৃতি আছে। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। কিছু ম্যাচ ওরা খুব ভালো খেলেছে।’
গত বছর শ্রীলঙ্কা মাটিতে নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। ওই সিরিজে প্রসঙ্গ টেনে মাশরাফি বলেন, ‘নিদাহাস ট্রফির পর দুটি দলের (বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা) ম্যাচে বেশ উত্তেজনা কাজ করে। এটাও কিন্তু গণনা হয়। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় কারো জন্যই সহজ হবে না। তিনটা ম্যাচেই নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে।’
বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব বাদ দিলে আর কিছুই ভালো হয়নি তার। ও নিয়ে এখনো হতাশ মাশরাফি। হতাশ দলের পারফরম্যান্স নিয়েও। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে শুরুর পরও বাংলাদেশ ১০ দলের মধ্যে অষ্টম হয়ে শেষ করে। বাংলাদেশের ব্যর্থতার দায় স্বভাবতই পড়েছে মাশরাফির ওপর। মাশরাফিও সব দোষ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। হতাশা মেশানো কন্ঠে তিনি বলেন, ‘সত্যি করে বললে আমি হতাশ। ভীষণ হতাশ। অনেকেই হয়তো বলবেন, এটা নিয়ে মন খারাপ না করতে, মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে। তবে যদি বলি মন খারাপ হয়নি, এটাই হবে লজ্জার কথা। অবশ্যই মন খারাপ হয়েছে। আমার দুটি দায়িত্ব ছিল, অধিনায়ক আর পারফরমার হিসেবে। পারফরমার হিসেবে কিছুই করতে পারিনি।’ বিশ্বকাপ চলাকালীন মাশরাফির শরীর খুব একটা ভালো ছিল না। মনের জোরেই খেলেছেন প্রতিটা ম্যাচ। বিশ্বকাপের পর দুদিন অনুশীলন করেছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘তেমন কোনো ব্যথা হয়নি।’ তার মানে ফিটনেস ফিরে পাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে থাকছেন বিসিবি ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। যদিও এক সিরিজের জন্য দায়িত্ব নিতে চাননি সুজন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে পুরনো কথাটাই নতুন করে শোনালেন সাবেক এই ক্রিকেটার। সুজন বলেন, ‘বোর্ডের এখন একটা ক্রাইসিস চলছে। সেজন্য দায়িত্ববোধ থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচের চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।’
যে কারণে স্থায়ী কোচ হতে চান সুজন
শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ফেরার পর একজন স্থায়ী কোচ নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, স্থায়ী দায়িত্বটা চাইছেন বিসিবির ম্যানজার। যদিও এখনো বিসিবি কাছে কোনো আবেদন করেননি বলে সংবাদসম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে নিজেকে স্থায়ী কোচ হওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন সুজন। তিনি বলেন, সব বিভাগে আসলে বিদেশি কোচই আসে। স্থানীয় কোচদের ওপর বোর্ডের এখনো তেমন আস্থা তৈরি হয়নি। আমি কতটা যোগ্য জানি না। তবে আমি মনে করি একটা টিমকে কোচিং করানো কোনো রকেট সেন্স নয়। আমিও লেভেল-৩ শেষ করেছি ২০০৬ সালে। করার পর যে বসে থেকেছি তা নয়, মাঠে কাজ করেছি। ক্রিকেটটা কিন্তু ফিক্সড ট্যাকটিকস গেম। ব্যাপারটা হচ্ছে আপনার প্ল্যানিং কী? আর আমি যেহেতু এ দেশে বড় হয়েছি, এ ছেলেদের সঙ্গে খেলেছি। আমি মনে করি, আমার জন্য প্ল্যানিং করা সহজ হবে। আমি এদের মেন্টালিটিটা সহজে বুঝতে পারি। ১১টা প্লেয়ার মনস্তত্ত্ব এক করে সেখান থেকে একটা টিম স্পিরিট তৈরি করে ম্যাচ জেতানোর একটা ব্যাপার থাকে। আমি মনে করি, সেটা আমি পারি। এটা আমার বাড়তি দক্ষতা হতে পারে। একটা নতুন কোচ আসলে যা হয় একটা টিমকে চেনা, নতুন প্লেয়ারকে চেনা, তাদেরকে বুঝা। এটা করতে করতে হয়ত অনেক সময় চলে যায়। যেটা হয়তবা আমার লাগবে না। আর জাতীয় দলের বাইরে যদি যাই, জুনিয়র টিমের সবার সঙ্গে কাজ করে অভ্যস্ত আমি। সেটাও আমার একটা প্লাস পয়েন্ট। আর আমি কোচিং পেশায় আছি ১৩-১৪ বছর হয়ে গেল। আর আমি বিপিএলে গত ৫-৬ বছর ধরে হেড কোচ হিসেবে আছি। কাজেই আমার একটা অভিজ্ঞতা আছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনো দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। লঙ্কানদের মাটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ২টি ওয়ানডে জিতেছে টাইগাররা। চলতি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের ওপরে থেকে শেষ করে। মাশরাফি বলেন, ‘সিরিজটা আসলে কারো জন্যই সহজ হবে না। দুই দলই সমতায় থাকবে। যেহেতু শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে খেলছে এবং ঘরের মাঠে তারা বরাবরই ভালো খেলে। তাদের যে দলটা আছে সেটাও অনেকদিন ধরে একসঙ্গে খেলছে। তারাও বেশ ব্যালেন্সে আসছে। বিশ্বকাপে তাদেরও কিন্তু ভালো স্মৃতি আছে। ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। কিছু ম্যাচ ওরা খুব ভালো খেলেছে।’
গত বছর শ্রীলঙ্কা মাটিতে নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। ওই সিরিজে প্রসঙ্গ টেনে মাশরাফি বলেন, ‘নিদাহাস ট্রফির পর দুটি দলের (বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা) ম্যাচে বেশ উত্তেজনা কাজ করে। এটাও কিন্তু গণনা হয়। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় কারো জন্যই সহজ হবে না। তিনটা ম্যাচেই নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে।’
বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব বাদ দিলে আর কিছুই ভালো হয়নি তার। ও নিয়ে এখনো হতাশ মাশরাফি। হতাশ দলের পারফরম্যান্স নিয়েও। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে শুরুর পরও বাংলাদেশ ১০ দলের মধ্যে অষ্টম হয়ে শেষ করে। বাংলাদেশের ব্যর্থতার দায় স্বভাবতই পড়েছে মাশরাফির ওপর। মাশরাফিও সব দোষ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। হতাশা মেশানো কন্ঠে তিনি বলেন, ‘সত্যি করে বললে আমি হতাশ। ভীষণ হতাশ। অনেকেই হয়তো বলবেন, এটা নিয়ে মন খারাপ না করতে, মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে। তবে যদি বলি মন খারাপ হয়নি, এটাই হবে লজ্জার কথা। অবশ্যই মন খারাপ হয়েছে। আমার দুটি দায়িত্ব ছিল, অধিনায়ক আর পারফরমার হিসেবে। পারফরমার হিসেবে কিছুই করতে পারিনি।’ বিশ্বকাপ চলাকালীন মাশরাফির শরীর খুব একটা ভালো ছিল না। মনের জোরেই খেলেছেন প্রতিটা ম্যাচ। বিশ্বকাপের পর দুদিন অনুশীলন করেছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘তেমন কোনো ব্যথা হয়নি।’ তার মানে ফিটনেস ফিরে পাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে থাকছেন বিসিবি ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। যদিও এক সিরিজের জন্য দায়িত্ব নিতে চাননি সুজন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে পুরনো কথাটাই নতুন করে শোনালেন সাবেক এই ক্রিকেটার। সুজন বলেন, ‘বোর্ডের এখন একটা ক্রাইসিস চলছে। সেজন্য দায়িত্ববোধ থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচের চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।’
যে কারণে স্থায়ী কোচ হতে চান সুজন
শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ফেরার পর একজন স্থায়ী কোচ নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, স্থায়ী দায়িত্বটা চাইছেন বিসিবির ম্যানজার। যদিও এখনো বিসিবি কাছে কোনো আবেদন করেননি বলে সংবাদসম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে নিজেকে স্থায়ী কোচ হওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন সুজন। তিনি বলেন, সব বিভাগে আসলে বিদেশি কোচই আসে। স্থানীয় কোচদের ওপর বোর্ডের এখনো তেমন আস্থা তৈরি হয়নি। আমি কতটা যোগ্য জানি না। তবে আমি মনে করি একটা টিমকে কোচিং করানো কোনো রকেট সেন্স নয়। আমিও লেভেল-৩ শেষ করেছি ২০০৬ সালে। করার পর যে বসে থেকেছি তা নয়, মাঠে কাজ করেছি। ক্রিকেটটা কিন্তু ফিক্সড ট্যাকটিকস গেম। ব্যাপারটা হচ্ছে আপনার প্ল্যানিং কী? আর আমি যেহেতু এ দেশে বড় হয়েছি, এ ছেলেদের সঙ্গে খেলেছি। আমি মনে করি, আমার জন্য প্ল্যানিং করা সহজ হবে। আমি এদের মেন্টালিটিটা সহজে বুঝতে পারি। ১১টা প্লেয়ার মনস্তত্ত্ব এক করে সেখান থেকে একটা টিম স্পিরিট তৈরি করে ম্যাচ জেতানোর একটা ব্যাপার থাকে। আমি মনে করি, সেটা আমি পারি। এটা আমার বাড়তি দক্ষতা হতে পারে। একটা নতুন কোচ আসলে যা হয় একটা টিমকে চেনা, নতুন প্লেয়ারকে চেনা, তাদেরকে বুঝা। এটা করতে করতে হয়ত অনেক সময় চলে যায়। যেটা হয়তবা আমার লাগবে না। আর জাতীয় দলের বাইরে যদি যাই, জুনিয়র টিমের সবার সঙ্গে কাজ করে অভ্যস্ত আমি। সেটাও আমার একটা প্লাস পয়েন্ট। আর আমি কোচিং পেশায় আছি ১৩-১৪ বছর হয়ে গেল। আর আমি বিপিএলে গত ৫-৬ বছর ধরে হেড কোচ হিসেবে আছি। কাজেই আমার একটা অভিজ্ঞতা আছে।