দেশ বিদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের উদ্বেগ
জিএসপি ফেরতে সিনেটরের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৯ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্র সফরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার দিনভর সিরিজ বৈঠক করেছেন নিউইয়র্কে। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা আলোচনা করেছেন। জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরো জোরালো ভূমিকা চেয়েছেন মন্ত্রী। কমিউনিটি প্রোগ্রামসহ বাংলাদেশ মিশনের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছেন। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠক হয়েছে নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেট ডিস্ট্রিক-৩২ এর সিনেটর লুইস্ সেপুলভেদার সঙ্গে। ওই বৈঠকে মন্ত্রী জিএসপি ফেরাতে সিনেটের সহায়তা চেয়েছেন। ‘জিএসপি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণের পরও এটি ফেরত পায়নি’ ঢাকার তরফে প্রায়শ এমন বক্তব্য দেয়ার মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি সিনেটরের বিবেচনায় উপস্থাপন করলেন। শুধু তাই নয়, তিনি সিনেটর লুইসকে এ-ও বললেন, আপনার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ব্যবহার করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখুন। সিনেটর অবশ্য মন্ত্রীকে হতাশ করেননি। তিনি এ নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর সিরিজ বৈঠকের বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- মহাসচিব আন্তোনিও গুতেঁরেজের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে। সেখানে চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পুঞ্জিভূত এ সঙ্কটের টেকসই সমাধানে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো সহায়তা চাইলে গুতেঁরেজ বলেন, এই সঙ্কটের সমাধানে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বৈঠকে এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বেশকিছু বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- মহাসচিব রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের উদারতা ও মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করার বিষয়ে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা এবং মহাসচিবের অংশগ্রহণ এবং উপস্থিতির অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ বিষয়ে নিউইয়র্কে যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে তাতে অংশগ্রহণের জন্য মহাসচিবকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রীর সঙ্গে সিনেটর লুইস্ সেপুলভেদার বৈঠক: এদিকে বাংলাদেশ মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মতে, সিনেটর লুইস্ সেপুলভেদার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বাংলাদেশ মিশনে যান। সেখানে এক বৈঠকে সিনেটর বাংলাদেশের প্রতি তাঁর আগ্রহের কথা তুলে ধরে সিনেটরদের একটি টিম নিয়ে ঢাকা সফরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এসময় মিশনে উপস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। স্পিকারও সিনেটরদের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সিনেটরের বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হয়। এ সময় মন্ত্রী বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিষয়ে ব্রিফ করেন। প্রাকৃতিক তন্ত্ত পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের সুফল এবং এসকল দ্রব্য ও পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে সিনেটরদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জিএসপি’র বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সিনেটর লুইস্কে বলেন, তিনি যেন তাঁর ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ব্যবহার করে এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। লুইস এ বিষয়টির সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন মর্মে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। এছাড়া রোহিঙ্গা বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারাকে আরও সম্পৃক্ত করতে সিনেটর লুইসসহ অন্যান্য সিনেটর ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
পালাও প্রজাতন্ত্রের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন-চুক্তি: এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়- বাংলাদেশ ও পালাও এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ মিশনে পালাও এর প্রেসিডেন্ট থমাস এসাং রেমেনগেসাউ জুনিয়র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের উপস্থিতিতে ওই চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে নিযুক্ত পালাও এর স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত নেডিকাস ওলাই উলুডং সই করেন। চুক্তি মতে, বাংলাদেশ ও পালাও মধ্যে বন্ধুত্বের সূদৃঢ় সম্পর্কের কেবল সূচনাই হবে না, বরং পারস্পরিক সহযোগিতার দিগন্ত বিস্তৃত করবে। পাশাপাশি এটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনে পারস্পরিক বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে।
মিশনে মতবিনিময়: এদিকে, জাতিসংঘের চলতি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে নিউইয়র্ক সফররত সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এমপি ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে নিউইয়র্ক সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক যৌথ মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
মন্ত্রীর সঙ্গে সিনেটর লুইস্ সেপুলভেদার বৈঠক: এদিকে বাংলাদেশ মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মতে, সিনেটর লুইস্ সেপুলভেদার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বাংলাদেশ মিশনে যান। সেখানে এক বৈঠকে সিনেটর বাংলাদেশের প্রতি তাঁর আগ্রহের কথা তুলে ধরে সিনেটরদের একটি টিম নিয়ে ঢাকা সফরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এসময় মিশনে উপস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। স্পিকারও সিনেটরদের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সিনেটরের বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হয়। এ সময় মন্ত্রী বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিষয়ে ব্রিফ করেন। প্রাকৃতিক তন্ত্ত পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের সুফল এবং এসকল দ্রব্য ও পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে সিনেটরদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জিএসপি’র বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সিনেটর লুইস্কে বলেন, তিনি যেন তাঁর ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ব্যবহার করে এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। লুইস এ বিষয়টির সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন মর্মে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। এছাড়া রোহিঙ্গা বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারাকে আরও সম্পৃক্ত করতে সিনেটর লুইসসহ অন্যান্য সিনেটর ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
পালাও প্রজাতন্ত্রের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন-চুক্তি: এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়- বাংলাদেশ ও পালাও এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ মিশনে পালাও এর প্রেসিডেন্ট থমাস এসাং রেমেনগেসাউ জুনিয়র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের উপস্থিতিতে ওই চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে নিযুক্ত পালাও এর স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত নেডিকাস ওলাই উলুডং সই করেন। চুক্তি মতে, বাংলাদেশ ও পালাও মধ্যে বন্ধুত্বের সূদৃঢ় সম্পর্কের কেবল সূচনাই হবে না, বরং পারস্পরিক সহযোগিতার দিগন্ত বিস্তৃত করবে। পাশাপাশি এটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনে পারস্পরিক বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে।
মিশনে মতবিনিময়: এদিকে, জাতিসংঘের চলতি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে নিউইয়র্ক সফররত সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এমপি ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে নিউইয়র্ক সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক যৌথ মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।