দেশ বিদেশ

আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার

১৮ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন

আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলেছেন, তা নাহলে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এর বিকল্প কোন পথ নেই। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনাসমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহ-সভাপতি নুরুল আলম রুহুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। তার পুত্র ও বিএনপি নেতা তারেক রহমান দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে ফেরারী জীবন যাপন করছেন। তিনি বলেন, আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর গড়া এ দলকে বিএনপির আন্দোলনের হুমকি দেয়া হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। বেগম জিয়াকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা দেখে মনে হয়, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সঙ্গে জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত। যাতে দেশে আর কখনো এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন ভাল আছে। দলের তৃণমূলও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময় দলে যে বিভক্তি ছিল, এখন সে সংকট নেই। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারবে না। সভায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সংস্কারের নামে আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতা সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সহযোগিতা করে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে নির্লজ্জভাবে সরাতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য দলের অনেক সিনিয়র আইনজীবীও কোনো প্রচেষ্টা চালাননি। সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ জুনিয়র বেশ কিছু আইনজীবী নিয়ে অইনি লড়াই চালিয়ে যান। সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, দেশের জনগণ চেয়েছিল বলেই ১/১১ -এর সেনাসমর্থিত সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status