বিশ্বজমিন

নেপালে বন্যা ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫

মানবজমিন ডেস্ক

১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:০৬ পূর্বাহ্ন

নেপালে গত তিনদিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩৮ জন। বৃহসপতিবার থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দেশটিতে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল। এ ছাড়া মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ভারতে প্রাণ হারিয়েছে আরো ১১ জন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
সোমবার নেপাল পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, হতাহতের পাশাপাশি নেপালে নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় সংস্থাগুলোকে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি বাড়িঘর। বৃহসপতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে নেপালি পুলিশ।
নেপালের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে আরো ভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেপালের কোসি নদীর পানির স্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এতে আক্রান্ত হবে ভারতের বিহারও। নদীটি নেপাল হয়ে ওই অঞ্চল দিয়ে ঢুকেছে। ২০০৮ সালে নদীটির গতিপথ ভেঙে পরিবর্তিত হয়। ডুবে যায় বিহারের বিস্তৃত এলাকা। সে সময় ৫০০’র বেশি মানুষ মারা যায়।
এদিকে, ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আসামে মারা গেছেন ৬ জন ও অরুণাচল প্রদেশে মারা গেছেন ৫ জন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষাকালের প্যাটার্নে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এই অঞ্চলে আবহাওয়া আরো বৈরীভাব ধারণ করবে। আসন্ন মাসগুলোতে তীব্র খরা ও ভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভারত, চীন ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ইতিমধ্যে পানির গ্রাসে ভারতের আসামে তলিয়ে গেছে ১ হাজার ৮০০’র বেশি গ্রাম। আসামের পানিসমপদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখানকার অবস্থা খুবই গুরুতর।
উল্লেখ্য, ভারত ও নেপালে সাধারণত জুন মাস থেকে বর্ষাকালীন বৃষ্টি শুরু হয় ও তা চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়টুকু উভয় দেশের জন্য বেশ সংকটপূর্ণ। প্রায় প্রতি বছরই এই মৌসুমে অঞ্চলটিতে মারা যায় অসংখ্য মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিপুল পরিমাণ জমি। গত বছর আসাম ও কেরালায় বন্যা, ভূমিধস ও বৃষ্টি সংক্রান্ত কারণে প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০’র বেশি মানুষ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status