ভারত
দিনহাটার পেয়ারার শেষ জনাজায় অংশ নিতে ভাইপোরা ঢাকায়
কলকাতা প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৭:২৫ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি
পশ্চিমবঙ্গের দিনহাটার মানুষের কাছে তিনি পেয়ারা নামেই পরিচিত ছিলেন। সেই পেয়ারা তথা হুসেইন মহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর খবর রবিবার দুপুরেই পৌঁছেছিল দিনহাটায় এরশাদের ভাইয়ের পরিবার এবং বাল্য বন্ধুদের কাছে। সেই থেকে শোকস্তব্ধ ভাইয়ের পরিবার। রবিবার কোনও রান্নাই হয়নি সেই পরিবারে। এরশাদের শেষ জানাজায় যোগ দিতে জন্মভূমি থেকে রবিবারই গিয়েছেন ভাইপো আহসান হাবিব। আজ সোমবার পৌঁছেছেন আর এক ভাইয়ের ছেলে জাকারিয়া হোসেন ও বোন বেগম নাজিমা আসমানি। দিনহাটা শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এরশাদের পৈতৃক বাড়ি। এই বাড়িতেই বসবাস করেন তাঁর দুই চাচাত ভাই তোজাম্মেল হোসেন, মোসাব্বের হোসেন ও তাদের পরিবার। এরশাদের ভ্রাতৃবধূ জেবুন্নেসা বলেছেন, বড়দা বাড়িতে এলেই বরোলি মাছের ঝোল ও খেজুরের রসের মিস্টি খেতে ভালবাসতেন । কৈশোরের সহপাঠী ও বন্ধুদের মধ্যে যে কয়জন বেঁচে রয়েছেন তাদের মুখে এখন শুধুই পুরনো দিনের কথা। যতবার দিনহাটায় এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে থাকতেন। ছেলে এরিককে সঙ্গে নিয়ে আসতেন। শোনাতেন দিনহাটার গল্প। এমনকি ডুয়ার্সেও ঘুরে গিয়েছেন। এরশাদ নেই জানার পর দিনহাটায় এরশাদের আপনজনদের মধ্যে গভীর শূণ্যতা।
জেবুন্নেসাই বলছিলেন, পরিবারের ছাদ ছিলেন বড়দা। দুই মাস আগেই ভাইদের পরিবারের সকলে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। দিনহাটার পরতে পরতে এরশাদের অনেক স্মৃতি রয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটাতেই এরশাদের জন্ম। কৈশোরের একটা বড় সময় কাটিয়েছেন দিনহাটাতেই। দিনহাটায় এরশাদের পিতা ছিলেন খুবই প্রভাবশালী ব্যাক্তি। তবে দেশভাগের সময় এরশাদের পিতা সীমান্তের ওপারে চলে গেলেও এরশাদের চাচারা থেকে গিয়েছেন দিনহাটাতেই। আর ছোটবেলায় কাটানো এই দিনহাটার টানে মাঝে মাঝেই চলে আসতেন তিনি দিনহাটায়।
প্রথমে ২০০৯ সালে এবং পরে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনি দিনহাটায় এসেছিলেন। দিনহাটা হাই স্কুলে পড়াশোনা করার সময় তাঁর সহপাঠী ছিলেন রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কমল গুহ, চিকিৎসক প্রয়াত অসিত চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী প্রয়াত সুনীল দাস ছাড়াও দিনহাটা পুঁটিমারী হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুধীর সাহা প্রমুখ। দিনহাটায় এলেই বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠতেন পুরনো দিনের আলোচনায়। সাইকেলে চড়ে দিনহাটা ঘুরে বেড়ানোর দিনগুলিতে ফিরে যেতে চাইতেন। এমনই জানিয়েছেন তার বাল্যবন্ধু সুধীর সাহা। দিনহাটায় এলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে সম্বর্ধনা দিলে তিনি খুশি হতেন। এরশাদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেছেন, বাবার সহপাঠী ছিলেন এরশাদ। যে কয়বার তিনি দিনহাটা এসেছেন ততবারই তার সাথে কথা হয়েছে।
জেবুন্নেসাই বলছিলেন, পরিবারের ছাদ ছিলেন বড়দা। দুই মাস আগেই ভাইদের পরিবারের সকলে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। দিনহাটার পরতে পরতে এরশাদের অনেক স্মৃতি রয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটাতেই এরশাদের জন্ম। কৈশোরের একটা বড় সময় কাটিয়েছেন দিনহাটাতেই। দিনহাটায় এরশাদের পিতা ছিলেন খুবই প্রভাবশালী ব্যাক্তি। তবে দেশভাগের সময় এরশাদের পিতা সীমান্তের ওপারে চলে গেলেও এরশাদের চাচারা থেকে গিয়েছেন দিনহাটাতেই। আর ছোটবেলায় কাটানো এই দিনহাটার টানে মাঝে মাঝেই চলে আসতেন তিনি দিনহাটায়।
প্রথমে ২০০৯ সালে এবং পরে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনি দিনহাটায় এসেছিলেন। দিনহাটা হাই স্কুলে পড়াশোনা করার সময় তাঁর সহপাঠী ছিলেন রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কমল গুহ, চিকিৎসক প্রয়াত অসিত চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী প্রয়াত সুনীল দাস ছাড়াও দিনহাটা পুঁটিমারী হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুধীর সাহা প্রমুখ। দিনহাটায় এলেই বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠতেন পুরনো দিনের আলোচনায়। সাইকেলে চড়ে দিনহাটা ঘুরে বেড়ানোর দিনগুলিতে ফিরে যেতে চাইতেন। এমনই জানিয়েছেন তার বাল্যবন্ধু সুধীর সাহা। দিনহাটায় এলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে সম্বর্ধনা দিলে তিনি খুশি হতেন। এরশাদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেছেন, বাবার সহপাঠী ছিলেন এরশাদ। যে কয়বার তিনি দিনহাটা এসেছেন ততবারই তার সাথে কথা হয়েছে।