দেশ বিদেশ
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে বিক্ষোভ চট্টগ্রামে
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
ধর্ষণের শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড চেয়ে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। দেশজুড়ে অব্যাহত ধর্ষণের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা- ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, ধর্ষকমুক্ত বাংলাদেশ চাই, ধর্ষণের আইন ফাঁসি চাই, এই ধরনের বিভিন্ন স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। এর আগে শনিবারও শিক্ষার্থীরা নগরীর ওয়াসা মোড়ে জড়ো হয়ে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে বিক্ষোভ করেন। তবে, তারা সড়কে গাড়ি চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবিও তুলে ধরেন। দাবির মধ্যে রয়েছে- সব ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত শেষ করে অবিলম্বে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া, প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এমনকি এলাকাতেও ইভটিজিং, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ ঠেকাতে সামাজিক টিম গঠন, যেকোনো বয়সী নারী কোনো ধরনের সমস্যা অনুভব করলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা। পাশাপাশি রাস্তাঘাটে ইভটিজিং বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া, নারীদের জন্য আলাদা গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা, এক মাসের মধ্যে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন করা, উচ্চ আদালতে আলাদা বেঞ্চ স্থাপন করা। আক্রান্ত নারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া, আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আক্রান্ত নারী অথবা তার পরিবারকে দেয়া এবং ধর্ষক-হত্যাকারীর আইনি সুযোগ পাবার অধিকার নিয়ন্ত্রণে রাখা। চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহেদ বিন জাওয়াদ বলেন, আমরা গত দু’দিন রাজপথে নেমে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। এরপর আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেব। ধাপে ধাপে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, কিছু শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এসে ধর্ষণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। সড়কে নামেন নি। প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে নিজেরাই আবার চলে গেছেন। পুলিশ এ সময় তাদের সহযোগিতা দিয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, ওমরগণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, কিছু শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এসে ধর্ষণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। সড়কে নামেন নি। প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে নিজেরাই আবার চলে গেছেন। পুলিশ এ সময় তাদের সহযোগিতা দিয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, ওমরগণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।