বাংলারজমিন
নোয়াখালীতে বিচারপ্রার্থী নারীকে ধর্ষণ
সেই ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিচারপ্রার্থী নারীকে ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণ ও মারধরের মামলায় অভিযুক্ত সেই উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মোজা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সহযোগীর নাম রবিউল হোসেন প্রকাশ নবির উদ্দিন। তারা দুজনই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। গতকাল রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ গোলাম ফারুক নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ওই চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান গত বছরের ২৬শে মার্চ আদালতে ফাইনাল প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে ফাইনাল প্রতিবেদন গ্রহণ না করে স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলাটি জ্যেষ্ঠ কর্মকতা দিয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। জানতে চাইলে বিচারপ্রার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনসহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক মানবজমিনকে তিনি বলেন, আদালতের আদেশে যেসব বিষয় আমলে নেয়া হয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করে তিনি এজাহারভূক্ত দুই আসামির বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। ২০১৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর রাতে সুবর্ণচরের চরবাটা ইউপির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের কাছে বিচার চাইতে যান এক নারী। পরদিন ৫ই অক্টোবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে চরজব্বর থানায় মামলা করেন ওই নারী। মামলায় রবিউল নামের অপর একজনকেও আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে নির্যাতিত নারীর পরিবারকে চেয়ারম্যান ও তাঁর গুণ্ডাপাণ্ডা ও সন্ত্রাসীরা মামলা প্রত্যাহারে নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে সাংবাদিক ইমাম হোসেন সুমনের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।