ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
ফাইনালেও কি ভাগ্যের ছোঁয়া পাবে কিউইরা?
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করলেও দিন শেষে ভাগ্যের সহায়তা দরকার হয়’- কথাটা নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিডের। এবারের বিশ্বকাপে ভাগ্যের সহায়তা তো পাচ্ছেই কিউইরা। আর তাদের শুরুটা বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে নিশ্চিত রানআউট থেকে বেঁচে গেলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তার উইকেটটা বড় পার্থক্য গড়ে দিল শেষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কার্লোস ব্রাথওয়েটের ব্যাটিং তাণ্ডবে পরাজয় যখন সুনিশ্চিত তখন আবার ভাগ্যের ছোঁয়া লাগলো কিউই শিবিরে। বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়লেন ব্র্যাথওয়েট। ইনিংসের তখনো বাকি ৬ বল। ম্যাচের পর আফসোস করে ব্র্যাথয়েট বলেছিলেন, ‘কয়েক গজের জন্য হলো না।’ তারপর আরো নাটক। টানা ৩ ম্যাচ হার দেখলো নিউজিল্যান্ড। ৯ ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে সমান ১১ দাঁড়ালো। কিন্তু নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় কিউইরা পৌঁছে গেলো সেমিফাইনালে। এরপর ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কিউইরা উঠলো ফাইনালে। ‘টস’ এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতের বিপক্ষে সেটিও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ছিল।
বৃষ্টি বিঘ্নিত সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে গতবার ফাইনাল খেলে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের জন্য বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে এলো এবারও। বৃষ্টির কারণে রাউন্ড রবিন লীগে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। তাতে ১ পয়েন্ট অর্জন করে দলটি। ওই পয়েন্টটা কতটা কাজে দিয়েছে তা তো বুঝা গেছে সেমিফাইনালের সমীকরণেই। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে রাউন্ড রবিন লীগের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই অনেক রান দেখা গেছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টারের উইকেট হয়ে উঠলো বোলিং সহায়ক। যা নিউজিল্যান্ডের পেসারদের জন্য একেবারে আদর্শ ছিল। মুভমেন্টটা কাজে লাগাতে সক্ষম হয় কিউই পেসাররা। ২৩৯ রানের পুঁজিটাকেই তাড়া ৩৫০ বানিয়ে ফেলে।
চলতি আসরে মাত্র একবার আড়াইশ’ ছাড়ানো দলীয় ইনিংস খেলতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। দলের ব্যাটসম্যান বলতে কেবল অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আর রস টেলর। কিন্তু দুই ব্যাটসম্যানের দল নিয়েও বোলারদের কল্যাণে আজ তাড়া ফাইনালে। তিন পেসার লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট আর ম্যাট হেনরি ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন। আজ ফার্গুসন তো কাল বোল্ট, পরশুদিন হেনরি। তিনজন মিলেই নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৪৮ উইকেট! তবে শুধু ভাগ্যের কথা বললে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বকে ছোট করা হবে। কিউইদের ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে তারও। ৯ ম্যাচে ৫৪৮ রান সংগ্রহ করেছেন উইলিয়ামসন। দুটি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে জিতিয়েছেন দলকে। আর প্রতিটি ম্যাচ পরিচালনা করছেন ঠান্ডা মাথায়। সেমিফাইনালেও খেলেছেন দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য উইলিয়ামসনের সঙ্গে অন্যদের দু-একটা ভালো ইনিংস আর একটু খানি ভাগ্যের ছোঁয়া লাগবে নিউজিল্যান্ডের। লর্ডসে কি সেটা পাবে না কিউইরা?
কিউইদের প্রেরণা লর্ডস ভেন্যু
লর্ডসের উইকেট পেসারদের বেশ সুবিধা দিচ্ছে। যা নিউজিল্যান্ডের জন্য ইতিবাচক। এ মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৬ রানে হেরেছিল তারা। তবে দারুণ বোলিং করেন বোল্ট-ফার্গুসনরা। হ্যাটট্রিকসহ বোল্ট নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। পরে অবশ্য স্টার্কের ৫ উইকেটে ম্লান হয়ে যায় তার অর্জন। লর্ডসে সর্বশেষ পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচেও দাপট দেখিয়েছেন পেসাররা। বাঁহাতি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি ৬ উইকেট নেন। লর্ডসে ৫ ম্যাচের ৩টিতেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। তিনবারই প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
বৃষ্টি বিঘ্নিত সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে গতবার ফাইনাল খেলে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের জন্য বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে এলো এবারও। বৃষ্টির কারণে রাউন্ড রবিন লীগে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। তাতে ১ পয়েন্ট অর্জন করে দলটি। ওই পয়েন্টটা কতটা কাজে দিয়েছে তা তো বুঝা গেছে সেমিফাইনালের সমীকরণেই। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে রাউন্ড রবিন লীগের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই অনেক রান দেখা গেছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টারের উইকেট হয়ে উঠলো বোলিং সহায়ক। যা নিউজিল্যান্ডের পেসারদের জন্য একেবারে আদর্শ ছিল। মুভমেন্টটা কাজে লাগাতে সক্ষম হয় কিউই পেসাররা। ২৩৯ রানের পুঁজিটাকেই তাড়া ৩৫০ বানিয়ে ফেলে।
চলতি আসরে মাত্র একবার আড়াইশ’ ছাড়ানো দলীয় ইনিংস খেলতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। দলের ব্যাটসম্যান বলতে কেবল অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আর রস টেলর। কিন্তু দুই ব্যাটসম্যানের দল নিয়েও বোলারদের কল্যাণে আজ তাড়া ফাইনালে। তিন পেসার লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট আর ম্যাট হেনরি ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন। আজ ফার্গুসন তো কাল বোল্ট, পরশুদিন হেনরি। তিনজন মিলেই নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৪৮ উইকেট! তবে শুধু ভাগ্যের কথা বললে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বকে ছোট করা হবে। কিউইদের ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে তারও। ৯ ম্যাচে ৫৪৮ রান সংগ্রহ করেছেন উইলিয়ামসন। দুটি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে জিতিয়েছেন দলকে। আর প্রতিটি ম্যাচ পরিচালনা করছেন ঠান্ডা মাথায়। সেমিফাইনালেও খেলেছেন দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য উইলিয়ামসনের সঙ্গে অন্যদের দু-একটা ভালো ইনিংস আর একটু খানি ভাগ্যের ছোঁয়া লাগবে নিউজিল্যান্ডের। লর্ডসে কি সেটা পাবে না কিউইরা?
কিউইদের প্রেরণা লর্ডস ভেন্যু
লর্ডসের উইকেট পেসারদের বেশ সুবিধা দিচ্ছে। যা নিউজিল্যান্ডের জন্য ইতিবাচক। এ মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৬ রানে হেরেছিল তারা। তবে দারুণ বোলিং করেন বোল্ট-ফার্গুসনরা। হ্যাটট্রিকসহ বোল্ট নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। পরে অবশ্য স্টার্কের ৫ উইকেটে ম্লান হয়ে যায় তার অর্জন। লর্ডসে সর্বশেষ পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচেও দাপট দেখিয়েছেন পেসাররা। বাঁহাতি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি ৬ উইকেট নেন। লর্ডসে ৫ ম্যাচের ৩টিতেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। তিনবারই প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।