বিশ্বজমিন
বৃটিশ তেলের ট্যাংকার আটকের চেষ্টার অভিযোগ ইরানের বিরুদ্ধে
মানবজমিন ডেস্ক
১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪০ পূর্বাহ্ন
ইরানের বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগরে একটি বৃটিশ তেলের ট্যাংকার আটকের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে বৃটেন। অভিযোগটি অস্বীকার করেছে ইরান। প্রাথমিকভাবে দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটা জানায়। পরবর্তীতে তাদের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দেয় বৃটেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও আল জাজিরা।
বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বৃহ¯পতিবার পারস্য উপসাগরে একটি বৃটিশ তেলের ট্যাংকারের পথ আটকানোর চেষ্টা করে তিনটি ইরানি জাহাজ। তবে বৃটিশ রয়্যাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজ তাদের দিকে কামান তাক করে মাইকে সতর্ক করলে ইরানি জাহাজগুলো রাস্তা থেকে সরে যায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ইরানের এই কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী বলে উল্লেখ করেছে। উপসাগরের আবু মুসা দ্বীপের নিকটে এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে বৃটেন।
বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, তাদের ধারণা ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাদের বিশ্বাস, তেলের ট্যাংকারটির দিকে এগিয়ে আসা ইরানি জাহাজগুলো আইআরজিসি’র।
অভিযোগ অস্বীকার ইরানের
বৃটেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। আইআরজিসি’র নৌবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা ফার্স এক টুইটে জানিয়েছে, আইআরজিসি আমেরিকান সূত্রের দাবি করা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃটিশসহ কোনো বিদেশি জাহাজের সঙ্গে আমাদের কোনো সংযোগ ঘটেনি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারি বলেন, যুক্তরাজ্য উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য এই দাবি করেছে। এই দাবিগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।
ইরান-বৃটেন উত্তেজনা
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বৃটেনের সঙ্গেও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে ইরানের। দুই দেশের স¤পর্কে চলছে তীব্র টানাপড়েন। চলতি বছর ইরান নিয়ন্ত্রিত হরমুজ প্রণালিতে দুই সৌদি ট্যাংকারে হামলার পেছনে ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ লাগার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বৃটেনও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে দাবি করে, তারা প্রায় নিশ্চিত যে, এই হামলার জন্য ইরানই দায়ী। এরপর গত সপ্তাহে বৃটিশ রয়্যাল ম্যারিনরা জিব্রালটারে একটি তেলের ট্যাংকার আটক করে। তারা দাবি করে, ট্যাংকারটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরিয়ায় অপরিশোধিত তেল নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি জিব্রালটার কর্তৃপক্ষ। ইরানি এক কর্মকর্তা ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে জানায়, যদি ওই ট্যাংকারটিকে মুক্ত করে দেয়া না হয়, তাহলে ইরানের উচিত একটি বৃটিশ ট্যাংকার জব্দ করে নেয়া। এছাড়া, ইরানে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকেও তলব করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বৃহ¯পতিবার পারস্য উপসাগরে একটি বৃটিশ তেলের ট্যাংকারের পথ আটকানোর চেষ্টা করে তিনটি ইরানি জাহাজ। তবে বৃটিশ রয়্যাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজ তাদের দিকে কামান তাক করে মাইকে সতর্ক করলে ইরানি জাহাজগুলো রাস্তা থেকে সরে যায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ইরানের এই কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী বলে উল্লেখ করেছে। উপসাগরের আবু মুসা দ্বীপের নিকটে এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে বৃটেন।
বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, তাদের ধারণা ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাদের বিশ্বাস, তেলের ট্যাংকারটির দিকে এগিয়ে আসা ইরানি জাহাজগুলো আইআরজিসি’র।
অভিযোগ অস্বীকার ইরানের
বৃটেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। আইআরজিসি’র নৌবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা ফার্স এক টুইটে জানিয়েছে, আইআরজিসি আমেরিকান সূত্রের দাবি করা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃটিশসহ কোনো বিদেশি জাহাজের সঙ্গে আমাদের কোনো সংযোগ ঘটেনি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারি বলেন, যুক্তরাজ্য উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য এই দাবি করেছে। এই দাবিগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।
ইরান-বৃটেন উত্তেজনা
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বৃটেনের সঙ্গেও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে ইরানের। দুই দেশের স¤পর্কে চলছে তীব্র টানাপড়েন। চলতি বছর ইরান নিয়ন্ত্রিত হরমুজ প্রণালিতে দুই সৌদি ট্যাংকারে হামলার পেছনে ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ লাগার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বৃটেনও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে দাবি করে, তারা প্রায় নিশ্চিত যে, এই হামলার জন্য ইরানই দায়ী। এরপর গত সপ্তাহে বৃটিশ রয়্যাল ম্যারিনরা জিব্রালটারে একটি তেলের ট্যাংকার আটক করে। তারা দাবি করে, ট্যাংকারটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরিয়ায় অপরিশোধিত তেল নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি জিব্রালটার কর্তৃপক্ষ। ইরানি এক কর্মকর্তা ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে জানায়, যদি ওই ট্যাংকারটিকে মুক্ত করে দেয়া না হয়, তাহলে ইরানের উচিত একটি বৃটিশ ট্যাংকার জব্দ করে নেয়া। এছাড়া, ইরানে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকেও তলব করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।