এক্সক্লুসিভ
ঘাতক সৎ মা’র স্বীকারোক্তি
‘বায়েজিদকে গলা চেপে মৃত্যু নিশ্চিত করি’
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, ৮:০৬ পূর্বাহ্ন
বায়েজিদ প্রায় সময় আমাকে ও আমার শিশু সন্তানকে অনেকভাবে যন্ত্রণা দিতো। ঘটনার আগের দিন আমার শিশু সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর সময় বাটির দুধ ফেলে দেয়। তখন থেকেই আমি সিদ্ধান্ত নেই বায়েজিদকে আর দুনিয়ায় রাখবো না। ঘটনার দিন সকালে বায়েজিদকে উঠান থেকে মজা খাওয়ার কথা বলে একা ঘরে ডেকে নিয়ে গলা টিপে ধরি। বায়েজিদ বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। আমি তার গলা টিপে ধরার পর বায়েজিদ ছটফট করতে থাকে। এক সময় ছটফট বন্ধ হয়ে গেলে আমি তার গলা ছেড়ে দেই। মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আমি প্রচার করি বায়েজিদ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আদালতে বিচারকের সামনে এভাবেই সৎ ছেলে খুনের বিবরণ দিলেন ঘাতক সৎ মা’ পান্না বেগম। গতকাল সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বায়েজিদের ঘাতক সৎ মা’ পান্না বেগম ১৬৪ ধারায় খুনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। আদালতের বিচারক সুলতান পাটোয়ারী তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের জুনাইদ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী পান্না বেগম গত ২৫শে জুন সৎ পুত্র চার বছরের শিশু বায়েজিদকে গলা টিপে হত্যা করে। এ ঘটনায় বায়েজিদের মা নিলুফা বেগম বাদী হয়ে পান্না বেগমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ পান্না বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে রিমান্ড শেষে গত বুধবার হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে পান্না বেগম ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।